সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ কেমন তা আজকে আলোচনা করব। সুন্দবন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস লিমিটেড বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ৬৪ জেলায় সর্বমোট ৫৬০ টি লোকাল অফিস এবং দেশের বাহিরে ১৬৫ টি রয়েছে।বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস কার্যক্রম সফলতার সাথে পরিচালনা করে আসছে । সুন্দবন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস দেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন জায়গায় পার্সেল, কন্ডিশন, হোম ও অফিস ডেলিভার সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ ২০২২
অনেকে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে যে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ হতে পারে ।কুরিয়ার সার্ভিস খরচ সমূহ এখানে উল্লেখ করেছি । এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন কোন জিনিস প্রেরণ করতে কত টাকা লাগে ।যদি আপনি কোন প্রডাক্ট এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে চান তাহলে নিচের খরচ তালিকাটি খেয়াল করুন।এখানে সকল তথ্য দেখানো হয়েছে।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ প্রতি কেজি ১০ টাকা হারে পার্সেলের ভাড়া নেওয়া হয়ে থাকে । সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ এ দেশের ভিতরে ১৬ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো হয়ে থাকে এই কোম্পানির মাধ্যমে নগদ টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে পাঠানো মূল টাকার ৫% কমিশন প্রদান করতে হয় এবং এখানে পণ্য প্যাকেজিং এর মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হয়ে থাকে। ছোট কার্টুন ৩০ টাকা এবং বড় কার্টুন ৮০ টাকা হারে প্রদান করতে হয়।দেশের বাইরেও মোট ১৫৫ টি দেশে পণ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা রয়েছে সুন্দরবন কুরিয়ার।আপনাদের সুবিধার্থে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কয়েকটি পার্সেলের খরচ সমূহ নিম্নে দেওয়া হল:
স্থান | পণ্যর ধরন | ওজন | পণ্যর খরচ | পৌঁছানোর সময় |
---|---|---|---|---|
ভারত | যেকোনো পণ্য | ১ কেজি | ৫০০ টাকা | ৪৮ ঘন্টা |
পাকিস্তান | যেকোনো পণ্য | ১ কেজি | ১৮০০ টাকা | ৭২ ঘন্টা |
সৌদি আরব | যেকোনো পণ্য | ১ কেজি | ২ ০০০টাকা | ৭২ ঘন্টা |
আমেরিকা | যেকোনো পণ্য | ১ কেজি | ২৮০০ টাকা | ৭২ ঘন্টা |
কুরিয়ার করার প্রক্রিয়া
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এর কর্যপ্রনালি সম্পর্কে জানব। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিবউশন পয়েন্ট থেকে চিঠি, পার্সেল এবং ডকুমেন্টসমূহ অন বোর্ড কুরিয়ার (OBC) এর মাধ্যমে জোনাল অফিসে পৌছে দেওয়া হয়। জোনাল অফিস সেগুলো যাচাই-বাছাই এবং এলাকা অনুসারে পার্সেল, ডকুমেন্ট পৃথকীকরন করে,সাব-জোনাল অফিস সেগুলো এলাকা অনুসারে সংগ্রহ করে। সাব-জোনাল অফিস তার কুরিয়ার কর্মীদের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চিঠি, পার্সেল এবং ডকুমেন্টসমহু প্রাপকের নিকট পৌছে দেয়।কুরিয়ার সেবা প্রদানে সকল জোনাল অফিস এবং সাব-জোনাল অফিসের সাথে কুরিয়ার হেড অফিসের লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত থাকে। সকল জোনাল অফিস এবং সাব-জোনাল অফিস কুরিয়ার সেবা প্রদানে কুরিয়ার সার্ভিসের নিকট দায়বদ্ধ থাকে। জোনাল অফিস এবং সাব-জোনাল অফিস কর্তৃক চিঠি, পার্সেল এবং ডকুমেন্টসমূহ বিতরণে কোন সমস্যা হলে কুরিয়ার সার্ভিসের এলাকা ভিত্তিক রিপ্রেজেন্টেটিভ দ্বারা সমস্যার তনন্ত সাপেক্ষে সমাধান করা হয়।
মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ এ এখানে মাল-পত্র বুকিংয়ের সময় এর বিল নগদ টাকায় পরিশোধ করতে হয়। ক্রেডিট কার্ডে বিল পরিশোধ করা যায় না।
টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ
কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় ,তবে তার জন্য টাকার পরিমানের সাথে এবং কোথায় পাঠাবেন সেটা জেনে সার্ভিস চার্জ ধার্য করা হয় . যাকে পাঠাবেন তার এলাকার কুরিয়ার অফিস থেকে সঠিক ফোন নম্বর বলে (চাইলে অন্যান্য তথ্য ) তাকে টাকা সংগ্রহ করতে হয়।এদের আবার ২ ধরনের সার্ভিস আছে একটা ১ .দ্রুত ২. একটু সময় লাগে । তবে অবশ্যই দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য চার্জ বেশি । ওদের অফিস এ গিয়ে টাকা পাঠাতে চাই বললেই ওরা প্রক্রিয়া বলে দেবে তার পরেও নীচে কিভাবে টাকা পাঠানো যায় তা নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি।
টাকা পাঠানোর নিয়মঃ
আপনাকে গ্রাহকের নাম ও একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে, গ্রাহক তার নিকটস্থ সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার সার্ভিসের শাখায় গিয়ে তার নাম্বার প্রমান সাপেক্ষ টাকা গ্রহন করতে পারবেন। আপনি টাকা দিলে আপনাকে একটি বুকিং রিসিট দেয়া হবে, রিসিট হচ্ছে আপনার দলিল।যদি কোন কারনে টাকা না গিয়ে থাকে তবে রিসিটের সিরিয়াল নাম্বার বললে টাকার অবস্থান জানিয়ে দেয়া হবে বা কোন সমস্যা থাকলে জানতে পারবেন।রিসিট যদি হারিয়ে যায় আর কোন সমস্যার মুখোমুখি হন তবে অভিযোগ করেও লাভ হবে না।বিকাশের ক্ষেত্রে ঘরে বসে টাকা নেবার কোন সুবিধা আছে, কুরিয়ার সার্ভিসে সেই সুযোগ নেই তাই বর্তমানে কুরিয়ার সার্ভিসের বাজার একটু কমতির দিকে।
আপনাকে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে যে, গ্রাহকের মোবাইল নাম্বারটি সঠিকভাবে হতে হবে,যদি কোন কারনে ভুল হয় তবে শোধরানোর সুযোগ আছে তবে একদিন সময় বেশি লাগবে এবং দুইবার অফিসে যেতে হবে প্রেরক আর গ্রাহক উভয়কেই।তবে, পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি অর্থ স্থানান্তরের কাজও করছে কোম্পানিগুলো। অথচ দেশের কোনো আইন কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিকে অর্থ স্থানান্তরের এখতিয়ার দেয়নি। ফলে আপনি যদি কুরিয়ার সার্ভিসে টাকা পাঠান এবং প্রাপক তা না পায়, তাহলে আপনি কোথাও অভিযোগ করতে পারবেন না।দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অর্থ স্থানান্তর সম্পর্কিত আইন রয়েছে দুটি। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এবং ডাকঘর আইন, ১৮৯৮। এই দুই আইনেই কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি অর্থ স্থানান্তর করতে পারে না।
ডাকঘর আইনের আওতায় সর্বশেষ মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস বিধিমালা করা হয় ২০১৩ সালে। এতেও অর্থ স্থানান্তরের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিকে।সরকার বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা বা বৈদেশিক মুদ্রা পরিবহণ সম্পর্ণ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। মূলত এদেশে সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতার মধ্যেই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস খাতটি বিকশিত হয়েছে। কিন্তু সরকার বর্তমানে এ খাতকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বেসরকারি পর্যায়ে চিঠিপত্র ও পণ্য আনা-নেওয়া শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। তবে প্রায়ই কোম্পানীর দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা সহ কর্মচারীদের কর্তব্যে গাফিলতি,অনিয়মের ফলে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ মিলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে অতি জরুরী ডকুমেন্টস,ডাক ও পার্সেল ধ্যার্য কৃত অর্থ পরিশোধ এর বিনিময়ে দ্রুত গ্রাহকের দ্বার গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে নানা হয়রানী মূলক অভিযোগ রয়েছে।
সুন্দরবনের উচিত এসব হয়রানী আমলে নিয়ে তাদের সার্ভিসের উন্নয়ন ঘটানো। সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে। কারণ কোনো আইন বা বিধি ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন আইনের ফলে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে একই সাথে বেসরকারি ডাকসেবাও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাচ্ছে। এজন্য এখন থেকে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই লাইসেন্স না নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা চালাতে পারবে না।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ সম্পর্কে আশা করি আপনি সামান্য ধারনা পেয়েছেন । যদি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খরচ সম্পর্কে আরো জানার থাকে তবে হেল্প লাইনে যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন।