চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি {অবশ্যই যা খাবেন}

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি {অবশ্যই যা খাবেন}

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি {অবশ্যই যা খাবেন}

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সমূহ। বর্তমান যুগে এমন কোন লোক নেই যে গ্যাস্টিকের যন্ত্রনায় ভুগছেন না। প্রত্যেকটি মানুষ গ্যাস্টিকের যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। গ্যাস্টিকের মূল কারণ হচ্ছে ভাজাপোড়া খাওয়া, তেলে ভাজা খাবা,র অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার ইত্যাদি এবং এসবের কারণে আমাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দেয়।

তাই প্রচুর পরিমানের লোক গ্যাস্টিকের নিয়ে ভুগে থাকেন। গ্যাস্ট্রিক মারাত্মক একটি রোগ। গ্যাস্টিকের যন্ত্রণা খুবই খারাপ। বুক ব্যথা বুক জ্বালাপোড়া করা বমি বমি ভাব হওয়া বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে এই গ্যাস্টিকের কারণে। তাই কিভাবে কিভাবে চিরতরের জন্য গ্যাস্ট্রিক দূর করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা গ্যাস্টিকের যন্ত্রণা এত পরিমান যে তারা যত পছন্দের খাবার হোক না কেন কখনো এই খাবারটি খেতে চান না। মনে মনে একটি ভয় চলে আসে যে এই খাবারটা খেলে হয়তো আমার গ্যাস্টিকের সমস্যাটা আরও বেড়ে যাবে এজন্য তারা যত প্রিয় খাবার রয়েছে সে খাবারগুলোকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে থাকেন।

কিন্তু আমরা যদি শুরু থেকে গ্যাস্ট্রিকের এই বিষয়ে চিন্তা করে ভালো যে খাবারগুলো রয়েছে সে খাবার গুলো প্রথম থেকে খাওয়া খুবই উচিত। আপনি যদি প্রথম থেকে নিয়মিত খাবার খেতে পারেন এবং তেলেভাজার যেসব খাবার রয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে আপনার কোনদিনও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে না।

তাই আজকে আলোচনা করব চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সমূহ। কিভাবে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিরতরের জন্য গ্যাস্ট্রিক দূর করবেন। কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা গ্যাস্ট্রিক চিরতরের জন্য দূর করার ঔষধ খুঁজে থাকেন। কিন্তু আমরা হয়তো তা জানিনা যে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে।

যে কোন সমস্যা এর জন্য আপনি প্রথমে হোম রেমেডি সন্ধান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় এতে কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার ভাই থাকেনা । গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জানতে চান তাহলে হোম রেমেডি ব্যবহার করুন।

চলুন তাহলে জেনে নেই চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়।

 গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কিঃ

আমরা অনেকেই হয়ত গ্যাস্ট্রিক একটি রোগ হিসেবে ধরে থাকি। কিন্তু গ্যাস্টিক আসলে রোগ না। আমরা যদি গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য কিছু বদঅভ্যাস দূর করতে পারি তাহলে আমাদের কখনো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিবে না। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে কোন কোন কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যে কারণগুলোর জন্য গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দেয় আপনাকে অবশ্য এই সমস্যা গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। ভাজাপোড়া খাবার বা তেলেভাজা যেকোনো খাবার অতিরিক্ত খাবার ইত্যাদি এসবের কারণে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বুক জ্বালাপোড়া করা পেটে ব্যথা বমি বমি ভাব বুকে ব্যথা ইত্যাদি গ্যাস্টিকের কারণে। গ্যাস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই এই খাবারগুলো কে এড়িয়ে চলতে হবে।

 গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুনঃ

শরীরের পানি শূন্যতার কারণে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গ্যাস্টিক নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খায় তার দক্ষতা সাথে হজম এবং শোষণের জন্য শরীরের পানি প্রয়োজন হয়।  শরীরে পানির পরিমাণ যদি কম হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও ঔষধ বিভাগের সুপারিশ মতে একজন প্রাপ্ত বয়সের নারী দিনে প্রায় 2.7 লিটার পানি পান করতেন। শুধুমাত্র গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য। গ্যাস্ট্রিক রোগ না কিন্তু্েএর থেকেও গ্যাস্ট্রিক খুবই ভয়ঙ্কর। গ্যাস্ট্রিক খুব খারাপ তাই আপনাকে গ্যাস্টিক নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।

পক্ষান্তরে পুরুষদের প্রায়ই 3.7 লিটার এর প্রায় 20% খাদ্য থেকে আসবে বাকি অংশ সরাসরি পানীয় থেকে আসবে। তাই বড়দের থেকে ছোটদের পানির পরিমাণ একটু কমিয়ে খেতে হবে।

যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা হাইটেক রস থাকা অপরিহার্য। ডায়রিয়া ও বমি খুব দ্রুত পানি শূন্যতার দিকে নিয়ে যেতে পারে উপসর্গ ব্যক্তিদের পানি পান করা দরকার। গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি আপনি যদি খুঁজতে যান তাহলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং আপনার গ্যাস্টিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন। গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য এবং গ্যাস্ট্রিক সেরে যাওয়ার সহজ একটি উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

 

 পুদিনাঃ গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়কে কার্যকর করার জন্য পুদিনা পাতার ব্যবহার। পুদিনা পাতা কাঁচা এবং রান্না উভয় ভাবেই খাওয়ার উপযোগী। তবে ঐতিহ্যগতভাবে আমরা প্রায়ই চা তৈরির জন্য এলাচ দিয়ে পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে থাকি। কিন্তু এছাড়াও পুদিনা পাতার গুঁড়ো বা রস এবং অন্যান্য চা, পানীয় বা খাবারের সাথে মিশিয়েও খাওয়া সম্ভব।শ্বাসকে মসৃণ করার পাশাপাশি পুদিনায় থাকা মেন্থল বমি এবং ডায়রিয়া প্রতিরোধ, অন্ত্রের মধ্যে পেশী স্প্যাম হ্রাস এবং ব্যথা উপশমে সহায়তা করতে পারে। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, ইরান, পাকিস্তান এবং ভারতে বদহজম, গ্যাস এবং ডায়রিয়ার জন্য পুদিনা ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

 

আদাঃ প্রাচীনকাল থেকেই গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য আদার উপকারিতা চলে এসেছে। গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য আপনি আদা খেতে পারেন। বদহজম ও পেট খারাপ হওয়ার কারণে আপনি আধা ব্যবহার করতে পারেন খেতে পারেন। গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য আবার মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো বমি বমি ভাব বমি এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করবে। যদি পেট খারাপ হয় তাহলে আপনি খাবারের  সঙ্গে আদা খেয়ে নিন। আদা চা খেতে পারেন।

 

বেকিং পাউডার ও  লেবুর রস এবং পানির মিশ্রণ ঃগবেষণায় দেখা গিয়েছে যে অল্প পরিমাণে বেকিং পাউডার এর সঙ্গে পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে যদি খেতে পারেন তাহলে হজমের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই মিশ্রণটি কার্বনিক এসিড উৎপন্ন করা হয়েছে আপনার গ্যাসের সমস্যা ও বদহজম কমাতে সাহায্য করবে। যদি লিভারের সমস্যা থাকে লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য আপনি লেবুর রস বেকিং সোডা এবং পানির মিশ্রণ খেতে পারেন। এই মিশ্রণটি জন্য 1 চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ বেকিং সোডা এবং পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে খেতে পারেন। এই মিশ্রণটি আপনার গ্যাস্টিকের যেই সমস্যা রয়েছে সেই সমস্যার দ্রুত দূর করতে সাহায্য করবে।

দারচিনিঃদারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার হজমের  জন্য খুবই কার্যকরী। পাকিস্তানি তে জ্বালাপোড়া ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মধ্যে রয়েছে। ইউ চেনেল।দারচিনি আপনার বেলচিং কমাতে সাহায্য করবে। বদহজম দূর করতে সাহায্য করবে ইত্যাদি।যদি পেট খারাপ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি দারচিনির গুঁড়া এক চা চামচ 4 সঙ্গে এবং গরম পানির সঙ্গে খেতে পারেন। দারচিনির এই মিশ্রণটি  প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে হবে। আপনার বদহজম দূর হতে সাহায্য করবে।

 লবঙ্গঃলবঙ্গ গ্যাস্টিকের খুবই কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য আপনি লবঙ্গ খেতে পারেন। লবঙ্গ এমন পদার্থ থাকে যা পেটে গ্যাস কমাতে সাহায্য করবে। লবঙ্গ আপনার বদহজম কে দূর করতে সাহায্য করবে। লবঙ্গ বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করবে।পেট খারাপ হওয়া ব্যক্তি দিনে একবার ঘুমানোর আগে এক চা-চামচ লবণ গুড়া এর সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে তারপর খেতে পারেন। লবঙ্গ ফুটন্ত পানিতে দিয়ে তারপর চা তৈরি করে নিন। এই চা খেয়ে নিন।

 

গোলমরিচঃ বদহজম দূর করার জন্য সারা বিশ্বেরPaper-made যা ব্যবহার করে থাকেন। গোল মরিচ গাছের পাতা থেকে তৈরি বিশ্বের এক ধরনের চাকে পেপার মিনিট যা বলা হয়। আপনার বদহজম এর সমস্যা যদি থেকে যায় সেটা দূর করতে সাহায্য করবে।Paper-made আপনার শরীরের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া প্রভাব তৈরি করে যা বমি বমি ভাব বদহজমের পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে এবং দুর্গন্ধ থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারবেন। খাবারের পর আপনি চাইলে এক কাপ  পেপার্মিন্ট চা খেতে পারেন।

 অ্যাপেল  সিডার ভিনেগারঃসাধারণত আমরা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যবহারের নিয়ম জানা রয়েছে। সেগুলো  চুলের জন্য  ত্বকের জন্য ইত্যাদি তে আমরা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেক হয়তো জানিনা যে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আপনার বদহজম দূর করতে সাহায্য করবে আজকের এই আলোচনার অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে কিভাবে আপনি বদহজম দূর করবেন সেগুলো জেনে নিন। কিভাবে ঘরে বসে তৈরি করে নেবেন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। পানিতে এক থেকে দুই চা-চামচ কাঁচা আনপেস্টুরাইজড আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন ।তারপর এই মিশ্রণটি খেয়ে নিন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আপনার বমি বমি ভাব গলা জ্বালাপোড়া রক্তের শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

মৌরি  বীজঃমৌরি বীজ আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শহীদ করবে। খাবারের পর যে বদহজম থেকে যায় মৌরি বীজ সেই বদহজম দূর করতে সাহায্য করবে।মৌরি বীজ আপনার শরীরের পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, ফুসকুড়ি, ইত্যাদি এসব থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।  মৌরি বীজ পরিমাণ মত পানিতে রেখে দিন। খাওয়ার আগে 10 মিনিট  মৌরি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখা সেগুলো একটু ফুটিয়ে নিন।আপনি চাইলে  মৌরি  বীজ চা পান করতে পারেন।মৌরি বীজঃআপনার বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।

পানীয়ঃচিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করবে আরও একটি উপাদান সেটি হচ্ছে পানীয়। গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য পানীয় খুবই কার্যকরী। এর মধ্যে রয়েছে বাটার মিল্ক পুদিনার রস লেমন জুস ঠান্ডা দুধ ইত্যাদি। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করলে এসিডিটি এসিডিটি থেকে পাওয়া যায়।দুধের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা কেবল এসিডকে দমন করতে সাহায্য করে। উৎপাদনকে বাধা দিতে সক্ষম এবং প্রতিরোধ করে খাবারের আগে বা খাবারের সময় ঠান্ডা মাখন খাওয়া পেটে গ্যাস্টিক এর বিরুদ্ধে একটি পুরো ঘরোয়া পত্রিকা হিসেবে  পরিচিত। এটি আপনার গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করবে।

 গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য নিচে আরও কিছু উপায় সমূহ জেনে নিনঃ

খাবার খাওয়ার সময় আমরা মাঝে মাঝে অল্প সময়ে নিয়ে খাবার খেতে বসি। যার ফলে খাবারগুলো বেশি চাবানো হয়না। যে কোন খাবার খেতে হলে বা খাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে চাবিয়ে খেতে হবে।

চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারলে আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিবে না। আপনি যদি চিবিয়ে চিবিয়ে খাবার খেতে পারেন অল্প সময়ের মধ্যে আপনার খাবার হজম হতে সাহায্য করবে। তাই যদিও সময় না থাকে তবুও একটু চেষ্টা করবেন খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য।

যে খাবারগুলো দেরিতে হজম হয় সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন। যে খাবারগুলো আপনি এড়িয়ে চলবেন সেই খাবারগুলো জেনে নিন চর্বিযুক্ত খাবার ফ্যাটযুক্ত খাবার আইটেম এবং ভাজাপোড়া তেলে ভাজা খাবার ইত্যাদি এসব খাবার থেকে আপনি দূরে থাকুন।

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। ধূমপান ও মদ্যপান খুবই ক্ষতিকারক। ধূমপান করলে গলা জ্বালাপোড়া করে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসব বাজে খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

কলাতে রয়েছে পটাসিয়াম ভিটামিন ডি। এই পোস্টগুলো খিঁচুনি ব্যথা পেশির খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অন্তত পক্ষে দুটি করে কলা খেতে পারেন।

কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন ও হিটিং ব্যাগ ব্যবহার করুন।

নারিকেলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম তাই বিশুদ্ধ নারিকেলের পানি ব্যবহার করুন। নারিকেলের পানি আপনার বদহজম দূর করতে সাহায্য করবে।

 সর্বশেষ কথাঃ

ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো জানতে পেরেছি যে গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমূহ। আশা করব আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে যে গ্যাস্টিকের সমস্যা গুলো বোঝানো হয়েছে একটু হলেও কাজে লাগবে। তাই গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য আমাদের এই পোষ্টের নিয়মগুলো মেনে চলুন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে আপনি আপনার গ্যাস্ট্রিক দূর করবেন সেই উদ্দেশ্যে আজকের এই আলোচনা আপনাদের জন্য। এবং ঘন ঘন বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি সকলেই মনোযোগ দিয়ে আমাদের এই  পোস্ট পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা গুলো সেই সমস্যাগুলো আপনাকে দিনে দিনে কিভাবে ক্ষতি করছে।

গ্যাস্টিক এমন এক মারাত্মক আপনার পছন্দের খাবার খেতে বাধা সৃষ্টি করে।

সর্বশেষে আবারও কিছু কথা বলে যাচ্ছি সেগুলো কথা হচ্ছে কখনো ভাজাপোড়া খাবার খেতে যাবেন না তেলে ভাজা খাবার খেতে যাবেন না মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে যাবেন না ইত্যাদি এসব খাওয়ার ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবশ্যই দেখা দিবে।

তাই এই খাবারগুলো থেকে আপনাকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আমাদের এই পোস্টে যেই নিয়ম গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেই নিয়ম অনুসারে যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে ডাক্তারের কোন পরামর্শ আপনার প্রয়োজন পড়বে না।

তাই আমি আশা করব আমাদের এই বিস্তারিত আলোচনার সঙ্গে থাকুন। এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে ধৈর্যসহকারে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *