বাচ্চারা মিথ্যা কথা বলা শুরু করলে যে ভাবে বন্ধ করবেন

বাচ্চারা মিথ্যা কথা বলা শুরু করলে যে ভাবে বন্ধ করবেন

আজকে আলোচনা করব বাচ্চারা মিথ্যা কথা বলা শুরু করলে যে ভাবে বন্ধ করবেন সেই সম্পর্কে। বাচ্চারা কোন না কোন সময় কোন না কোন দিন তারা কিছু না কিছু মিথ্যা কথা বলে থাকেন। তারা যে সব সময় সচেতন হয়ে থাকে তা কিন্তু কোনভাবেই সম্ভব না বাচ্চারা মিথ্যা কথা বলবেই এবং বাচ্চারা চোখের সামনে যেটা দেখবে সেটাই বলবে তাঁরা বাস্তব যেটা সেটাই বলে ।

মিথ্যা কথা খুব খারাপ একটি ভাষা মিথ্যা কথা প্রথমে আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে শুরু হয় তারপর তার জীবনটা শুধু মিথ্যা দিয়েই শুরু হয়ে যায়। এই মিথ্যা কথাগুলো দিন দিন বেড়ে চলে বাধা দেওয়ার কেউ থাকেনা যার ফলে একটি বাদশা একদিন সে নষ্ট দিকে চলে যায় তাই সময় থাকতে আপনি আপনার বাচ্চাকে মিথ্যা কথা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

আপনি যত দ্রুত এই মিথ্যা থেকে সরাতে পারবেন ততই ভাল হবে আপনার এবং আপনার সন্তানের। আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই বাচ্চাদের এই মিথ্যা কথা বলা শুরু করলে শেষ যেভাবে বন্ধ করবেন সে ভাবে বন্ধ করতেই হবে।

মিথ্যা কথা ভালো মানুষের কথা না। মিথ্যা কথা থেকে দূরে থাকুন সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন সত্য পথে চলার চেষ্টা করুন এটাই হচ্ছে মুসলমানদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।

যদি এই সমস্যা থেকে আপনি আপনার সন্তানকে বেরিয়ে না আনতে পারেন সে ক্ষেত্রে বয়স দিন দিন বেড়ে যাবে তার মিথ্যা কথাও দিন দিন বেড়ে যাবে এবং এই মিথ্যা শব্দটা রয়ে যাবে যার ফলে আপনাকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে খুব দ্রুত মিথ্যা কথা থেকে কিভাবে আপনার সন্তানকে বের করে আনবেন সেই চেষ্টাই আপনার করতে হবে।

আপনি যদি এই কাজটুকু না করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার সন্তান ভবিষ্যতে অনেক বড় বিপদে পড়তে পারে ।অবশ্যই বাচ্চাদেরকে মিথ্যা বলা থেকে দূরে রাখতে হবে।

রোল মডেল    হোক সত্যটাঃ

মিথ্যা বলা খুবই খারাপ একটি বিষয় অনেক ভালো। আপনার বাচ্চাকে অবশ্য সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন। আপনার সন্তান যদি মিথ্যা কথা বলে সে ক্ষেত্রে আপনার সন্তান বড় হয়ে ভবিষ্যতে সে অনেক বেশি পরিমাণে মিথ্যা কথা বলবে যার ফলে আপনার সন্তানের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হতে পারে।

তাই এইরকম মিথ্যা যদি তার মনে ছোটবেলা থেকে সৃষ্টি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে   সে  আর সত্য পথে ফিরে আসতে পারবে না। সমাজে যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে তাকে কেউ পছন্দ করেনা সত্যবাদীকে সবাই পছন্দ করে এবং ভালবাসে ভালো মর্যাদা দিয়ে থাকেন।

যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে তার জীবনে কখনো সুখ শান্তি আসবে না। মিথ্যা কথা বলা ব্যক্তিদের কখনো শান্তি ফিরে আসে না মিথ্যা কথা বলা ব্যক্তিদের কখনো আল্লাহ পছন্দ করেন না এবং তারা জান্নাতবাসি হতে পারে না তাই সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন সব সময়।

সত্য বললে পুরস্কারঃ

আপনাকে বুঝতে হবে বাচ্চারা কেন মিথ্যা কথা বলছে প্রথমে সেই জায়গাটা তাকে দিতে হবে যাতে সে সত্য বলতে ভয় না পায়। তাকে বোঝাতে হবে ঘটনাটা যত খারাপ হোক না কেন সত্যি বলতে সে যেন কখনো ভয় না পায়। সেটাই হবে আপনার সবথেকে ভালো একটি পথ সবসময় আপনাকে চেষ্টা করতে হবে আপনার শিশুকে মিথ্যা কথা থেকে দূরে রাখার। সত্য কথার এত ফজিলত এবং এতো ছোয়াব এত ভালো একটি কাজ এ জন্য আপনাকে অবশ্যই সত্য কথা বলতে হবে।

কথা থেকে আপনার সন্তানকে সাবধান করে রাখুন।

 সাবধান করুনঃ

একটি বাচ্চা যখন মিথ্যা কথা বলবে তখন তাকে ভয় না দেখিয়ে বরঞ্চ তাকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। এই মিথ্যা কথাগুলো বাচ্চাটা বলতেছে তাকে ভয় কখনো দেখাবেন না বরঞ্চ চেষ্টা করবেন সত্য কথা কিভাবে বলতে হয় সে উপদেশ বাচ্চাদেরকে শিখিয়ে দেবেন।

বাচ্চাকে পরিষ্কারভাবে এবং ছোট ছোট শব্দ উচ্চারণ করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন কখনো বাচ্চাদেরকে শাস্তি দিয়ে কোন কিছু শেখানোর চেষ্টা করবেন না। কারণ বাচ্চারা যদি ভয় পায় সে ক্ষেত্রে তারা কোনো কিছু শিখতে পারে না। যেমন ধরেন আগামি ছুটিতে তাকে নিয়ে হয়তো কোথাও বেড়ানোর কথা ছিল কিন্তু সে সেটাকে মিথ্যা বলে প্রকাশ করেছেন এর জন্য আপনি তাকে শাস্তি দিতে পারেন। কিন্তু ভয় দেখান

বিশ্বাস ফিরিয়ে আনুনঃ

মিথ্যা বলার পর সে যদি সত্যটা স্বীকার করে নেয় তাহলে তাকে যতটা সম্ভব পুরস্কার দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তার চেয়ে বেশি কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন তাতে তার বিশ্বাস বেড়ে যাবে। তখন সে বাচ্চাটা বা যে কেউ মিথ্যা কথা যদি বলে থাকেন সে মুহুর্তে সে সত্য কথা বলার চেষ্টা করবে এবং সত্য কথা কত মূল্যবান সেটা সে বুঝবেন তারপরে সেই মিথ্যা কথা ছেড়ে দিয়ে সত্য কথা বলার চেষ্টা করবেন।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শঃ

আপনি যদি দেখেন আপনার বাচ্চা কোনোভাবেই বা কোন পদ্ধতিতে বা কোনো চেষ্টা করেও সেই মিথ্যা কথা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না তাহলে মনোবিদ এর পরামর্শ নিন। কারণ তিনিই বলতে পারেন কোন থেরাপির মাধ্যমে কিভাবে তার মিথ্যা বলার অভ্যাস বন্ধ করা যায়সেই বিষয়ে চেষ্টা করতে পারেন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি আপনি আপনার বাচ্চাকে মিথ্যা কথা থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে আপনি এই কাজটি করতে পারেন যার ফলে আপনার বাচ্চা আর কোনদিনও বা কখনো মিথ্যা কথা বলবে না ।