কোঁকড়া চুল সোজা করার উপায়
নারীদের সবথেকে বেশি নজরকাড়া মনকাড়া এবং সৌন্দর্য হচ্ছে চুল। চুল লম্বা ঘন কাল সিল্কি একদম সোজা চুল বানাতে কার না মন চায়। তাই আজকে তাদের জন্য কোঁকড়া চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে। আলোচনা করব যেকোন দেশের সিনেমাতে কাটুন নাটকে লক্ষ্য করা যায় যে প্রধান চরিত্র গুলোর মধ্যে চুল সব সময় সোজা থাকে। আর ভিলেনদের চরিত্রের সময় থাকে কোকড়ানো চুলের কেউ। কোঁকড়ানো চুলের মেয়েদেরকে হতাশ করে ফেলে।
বাংলাদেশের মানুষ কোকড়ানো চুল বেশি পছন্দ করেন না তাই আজ আমরা চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে। আলোচনা করব বাংলাদেশ বাংলাদেশের লোকের চুলের ক্ষেত্রে তারা চায় যে সোজা চুল কালো ঘন লম্বা এসব নিয়ে অনেক কৌতুহল থাকেন তাই আজকে তাদের জন্য আলোচনা করব যে কোঁকড়া চুল কিভাবে সোজা করা যায়।
এখন যারা কোঁকড়া চুল নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে থাকেন আজকে তাদের জন্য কোঁকড়া চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে। বলব কোঁকড়া চুল সোজা করার উপায় কাজে লাগানোর জন্য জন্য আমরা পার্লারে গিয়ে অনেক পরিমাণের টাকা খরচ করে থাকে এবং কুকরা চুল সোজা করার জন্য অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। আজেবাজে জিনিস ব্যবহারের কারণে চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা চেষ্টা করবো ঘরে বসে কিভাবে কোঁকড়া চুল সোজা করা যায়।
কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য আমরা ঘরে বসে যে কাজগুলো করব সেগুলো যদি আমরা নিয়মমতো করতে পারি তাহলে আমাদের কোঁকড়া চুল সোজা হতে সাহায্য করবে।
নারিকেল তেল ও কাস্টার্ড অয়েল এর উপকারিতাঃ
কাস্টার ওয়েল চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা পালন করে থাকেন। নারিকেল তেল চুলকে সুরক্ষিত রাখেন। এবং চুলের গোড়া শক্ত করে রাখেন। কোঁকড়া চুলের জন্য এই দুইটি তেল খুব উপকারী তাই আপনি চাইলে কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য এই দুটি তেল ব্যবহার করতে পারবেন। কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য গরম তেলের উপকারিতা। নারিকেল তেল কাস্টার ওয়েল একত্রে গরমপানি করে তা মিশিয়ে নিন। অল্প একটু গরম পানি।
এই কাজটি আপনার চুলকে সাহায্য করবে। পার্লারে গিয়ে কোঁকড়া চুল সোজা করতে সময় লাগবে অল্প এবং বাজারে যে কোন মেডিসিন দিয়ে কোঁকড়া চুল সোজা করতে সেটাতেও সময় লাগবে কম কিন্তু এতে করে আপনার চুলের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হতে সাহায্য করবো। কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য একটু কষ্ট করে ঘরে বসে তৈরি করে নিন।
ঘরে তৈরি করে যে মিশ্রণটি আপনি ব্যবহার করবে সেটা দিয়ে কাজ করবে ধীরে ধীরে কিন্তু কাজ ভাল হবে। ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন তারপর কাস্টার ওয়েল ও নারিকেল তেল একটু গরম পানি মিশিয়ে মাথায় মেসেজ করুন। কমপক্ষে 30 থেকে 35 মিনিট রাখতে হবে। ব্যবহার করুন সপ্তাহে দুই দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবং সাথে কন্ডিশন ব্যবহার।
লেবুর রস ও ডাবের পানির উপকারিতাঃ
চুলের জন্য লেবুর রস উপকারিতা। তাই আপনি লেবু চুল সিল্কি করার জন্য এবং কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস চুলকে সিল্কি ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এর সঙ্গে ডাবের পানি মিশিয়ে চুলের ব্যবহার করুন। এরপর আপনার কোঁকড়া চুল হয়ে যাবে সোজা। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। 20 থেকে 25 মিনিট লেবুর রস ও ডাবের পানি এর মিশ্রন মাথায় মাখে রেখে দিন। থেকে 20 থেকে 25 মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এর পর শ্যাম্পু করে নিন। লেবুর রস ও ডাবের পানি এর ব্যবহার সপ্তাহে একদিন।
অলিভ অয়েল ও ডিমের উপকারিতাঃ
অলিভ অয়েল ও ডিম এই মিশ্রণটি খুবই কার্যকরী একটি মিশ্রণ। অলিভ অয়েল ও ডিমের মিশ্রণের
কোঁকড়া চুলের জন্য খুব কার্যকারী উপায়। ডিমে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত তার হারানো ফিরে পাবে। ও ফ্যাটি এসিড চুলকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এই উপকরণগুলো যদি আপনি নিয়মমতো করতে পারেন তাহলে কোঁকড়া চুল সোজা হয়ে যাবে। ডিম ও অয়েল এর মিশ্রন এর 25 থেকে 30 মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তার পর শ্যাম্পু করে নিন।
আজকের মত এখানেই সমাপ্ত করছি। আমাদের এই পোস্ট মাধ্যমে জানতে পারবেন কোঁকড়া চুল সোজা করার উপায়। আজকে এ পর্যন্তই আগামী কোন নতুন পোষ্ট নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।
কোঁকড়া চুল সোজা করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল ঘন করার উপায়, চুল সিল্কি করার উপায়, চুল গজানোর উপায়