১০০ টি ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ | ব্যবসা আইডিয়া
আজাইরা ইন্ট্রো প্যাঁচাল বাদ দিয়ে চলুন শুরু করি।
খাবার ভিত্তিক ব্যবসার আইডিয়া
লস ছাড়া ব্যবসা খুজলে প্রথমে আমরা খাবার ভিত্তিক কিছু ব্যবসায়ীরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। যেহেতু মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে প্রচুর খাবার খেতে হয় তাই খাবার সংক্রান্ত ব্যবসা করলে লস হওয়ার সম্ভাবনা 0%। সেইসাথে খাবার সংক্রান্ত ব্যবসায় কিন্তু প্রচুর প্রফিট রয়েছে।
১. বেকারির ব্যবসা ব্যবসা করার টিপস
বেকারি ব্যবসা হচ্ছে এক ধরনের খাবার আইটেমের ব্যবসা যেখানে বিস্কুট, কেক, রুটি, টোস্ট আরো কিছু সুস্বাদু খাবার তৈরি করে দোকানে দোকানে সাপ্লাই দিয়ে ব্যবসা করা হয় । আরে এগুলো তৈরি করা হয় বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে ।
বেকারি ব্যবসা অনেক ভাবে করা যায়। ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ পরিসরে দুভাবেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন । ক্ষুদ্র পরিসরে বলতে এখানে আমি বুঝাতে চাচ্ছি আপনার এলাকায় হয়তোবা দুই-একটা বেকারি রয়েছে যেগুলো শুরু করতে হলে যেমন যদি প্রয়োজন হয় না। আপনার যদি দুই থেকে 5 লক্ষ টাকা থাকে তাহলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কারণ একটা ব্যাটারি মেশিন কিনতে প্রায় 2 লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে পাশাপাশি লেবার খরচ হয়েছে এবং বেকারি আইটেম বাজারজাত করার জন্য গাড়ির প্রয়োজন হবে পাশাপাশি সেলসম্যান এর প্রয়োজন হবে।
২. ক্যাটারিং ব্যবসা করার আইডিয়া
ক্যাটারিং বিজনেস এমন এক ধরনের বিজনেস যেখানে বিভিন্ন আইটেমের খাবার তৈরি করে সেটা বিভিন্ন অফিস-আদালতে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সরবরাহ করতে হয়। আপনার যদি রান্নাবান্নার বুঝতে হবে আবেগ কাজ করে তাহলে এই ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে। আমাদের দেশে অফিস-আদালতে দুপুর বেলা খাবার সরবরাহ করার ব্যাপারে ব্যবসা করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুল অথবা হাই স্কুলের টিফিন তৈরি করে বিক্রি করার ব্যবসা করতে পারলেও লাভের মুখ দেখা সম্ভব। এ ব্যবসার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র খাবার ডেলিভারি না করে বিভিন্ন ফুলের দোকান করেও করা যেতে পারে।
৩. ফুড কার্ট বা খাবারের গাড়ি বিজনেস আইডিয়া
সম্ভাবনাময় ব্যবসা গুলোর মধ্যে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ফুট কার্ড বা খাবারের ব্যবস্থা। ফুড কার্টে বেশি চাহিদাসম্পন্ন খাবার হচ্ছে বার্গার, পিৎজা, হট ডগ, চিপস, হট কফি, কোল্ড কফি, ফলের জুস, নুডলস, স্যুপ, চটপটি, ফুচকা, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নাগেটস প্রভৃতি। এ ধরনের খাবার তৈরি করার অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি করা শিখে নিতে হবে। আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটা ভ্যান গাড়ি তৈরি করতে হয়তো বা বিশ হাজার টাকা মত লাগবে পাশাপাশি আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ মিলে মোট 40 হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
৪. খাবার ডেলিভারি করার ব্যবসা
ব্যস্ততম এই শহরের মানুষগুলো আরো বেশি ব্যস্ত। বিশেষ করে যারা কর্পোরেট জগতের মানুষ অথবা বিভিন্ন বেসরকারী চাকরীতে ব্যস্ত থাকেন তাদের ঘরোয়া খাবার খাওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। অথবা বিভিন্ন ছুটির দিনে শরীরের অলসতা লাগার কারণে রান্নাবান্না করতে ভালো লাগে না, যদি এমন হতো যে কেউ আমাকে রান্না করে দিয়ে যাবে তাহলে কেমন হয়।
ঠিক ধরেছেন হয়তো আপনি এতক্ষণে ফুডপান্ডা, ই-ফুড, পাঠাও ফুড ইত্যাদি ফুড ডেলিভারি সার্ভিস এর কথা ভাবছেন তাই না। আপনার ঘরে রান্না করা খাবার বিক্রি করে ব্যবসা করতে চাইলে এরা আপনাকে সহযোগিতা করবে। তাই আপনার শহরে যদি ফুড পান্ডা, পাঠাও ফুড, উবার ফুড থাকে তাহলে আজই এই ব্যবসাটির জন্য মনস্থির করতে পারেন ।
৫. দৈনন্দিন সদাই ডেলিভারি ব্যবসা
হয়তো আপনি টাইটেল তারপরে ভাবছেন এটাও কি কোন ব্যবসা। জি হ্যা এটাও একটা ব্যবসা। কিভাবে? এই ব্যবসা চলবে বিভিন্ন ভিআইপি আবাসিক এলাকায়। কারণ ভিআইপি আবাসিক এলাকাগুলোতে যারা থাকেন তারা প্রচুর ব্যস্ত লোক এই ব্যস্ততার মাঝে বাজারে গিয়ে কাঁচামাল কিনে আনা তাদের জন্য বেশ বিরক্তিকর এবং কষ্টকর কাজ। তাই সততা এবং নিষ্ঠার সাথে এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারলে প্রচুর ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
এই ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমত আবাসিক এলাকা গুলো থেকে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে এরপর প্রতিদিন আগের দিন ফোন করে কি কি বাজার সদাই লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তারপরের দিন ভোরবেলা পাইকারি বাজারে চলে যেতে হবে এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে আলাদা আলাদা প্যাকেট করে প্রত্যেক ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে সরবরাহ করতে হবে।
৬. হোম সার্ভিস বিজনেস
হোম সার্ভিস বিজনেস নিয়ে তো আমাদের বাংলাদেশ হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে sheba.xyz এর কার্যক্রম । হয়তো আপনি এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে জানেন। হোম সার্ভিস বিজনেস আপনিও শুরু করতে পারেন। হোম সার্ভিস বিজনেস শুরু করার আগে আপনি কি ধরনের সেবা দেবেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং সে অনুসারে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করুন। এরপর প্রত্যেক ফ্লাটে ফ্লাটে আপনার ভিজিটিং কার্ড বিলি করুন । এবার ভাবছি যে হোম সার্ভিস বিজনেস এ কি কি সার্ভিস দেওয়া যায়, আমার মনে হয় এখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ছবি দিতে পারি যেমন, ইলেকট্রিক, গ্যাস লাইন, হাউস ক্লিনিং, টপ গার্ডেনিং, পেট কেয়ারিং, চাইল্ড কেয়ার, চাইল্ড টিউটরিং ইত্যাদি ।
৮.ফাস্ট ফুডের দোকানের ব্যবসা
ছোট আকারে ফাস্টফুডের দোকান করে ব্যবসা করতে পারলে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন আবাসিক এলাকার আশেপাশে দোকান অ্যারেঞ্জ করতে হবে। ফাস্টফুডের দোকান দুইভাবে করা যেতে পারে প্রথমত ভালো মানসম্পন্ন দোকান নিয়ে পড়া যায় আর দ্বিতীয়তঃ ভ্যানগাড়িতে করে করা যায় । আমাদের দেশে ফাস্টফুডের দোকানে যেসব খাবারে বেশি চাহিদা রয়েছে তা হচ্ছে চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোল, ভেজিটেবল পিজ্জা, চিকেন পিজ্জা, বার্গার ইত্যাদি
বড়োসড়ো দোকান না নিয়ে ছোট আকারে শুরু করতে পারলেও মোটামুটি ভালো ইনকাম করার অপশনটি রয়েছে এ ব্যবসায়। তাই বেকারত্ব দূরীকরণে একধাপ এগিয়ে থাকতে চাইলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৯.রেস্টুরেন্টের ব্যবসা
পৃথিবীতে যত ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। যেখানে প্রায় 100% প্রোফিট রাখা সম্ভব। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে চাইলে মোটামুটি ভালো এমাউন্টের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এ ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমত বিশাল বড় আয়তনের জায়গার প্রয়োজন হবে পাশাপাশি সেটা হতে হবে খুবই জনকোলাহল মনে জায়গা বিশেষ করে যে সকল জায়গায় পাইকারি বাজার রয়েছে অথবা বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন রয়েছে।
১০.খাবার হোটেলের ব্যবসা
রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেল দুটো প্রায় একই ধরনের ব্যবসা কিন্তু তার মধ্যে কিছু সামান্য পার্থক্য রয়েছে। আমার হোটেলে সাধারণত তিন বেলা খাবারের সুব্যবস্থা থাকে। আর এই খাবার হোটেল গুলো সাধারণত বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে সবচেয়ে ভালো চলে। কারণ হাসপাতালগুলোতে আর রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা ভিজিট করতে যায় এবং সেখানে তাদেরকে অনেক দিন অবস্থান করতে হয়। যার ফলে তাদেরকে প্রতিদিন খাবারের অনুসন্ধান করতে হয় আর এজন্যই খাবারের হোটেল গুলো সাধারনত হসপিটালের আশে পাশেই সবচেয়ে ভালো চলে।
এছাড়া বিভিন্ন ট্রাক স্ট্যান্ড অথবা বাসস্ট্যান্ডে এছাড়াও পাইকারি বাজারের আশেপাশে খাবার হোটেলে চাহিদা রয়েছে কারণ এসব জায়গায় গাড়ির স্টাফ যারা রয়েছে তাদের তিন বেলা খাবারের প্রয়োজন হয় কারণ তারা বাড়িতে খাবার খাওয়ার সময় পাইনা।
১১.বিরিয়ানির ব্যবসা
আমি ব্যবসার আইডিয়া লিখতে গিয়ে যতই সামনে অগ্রসর হচ্ছি ততই অবাক হচ্ছি যে পৃথিবীতে কত রকমের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। বিরিয়ানির ব্যবসা তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং বেশ লাভজনক একটা ব্যবসা বলে আমরা সবাই জানি। যদি আপনার বিরিয়ানির প্রতি দুর্বলতা থাকে তাহলে এই জিনিসটা নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। যদি 100% বা তার চেয়ে অধিক লাভ জনক কোন ব্যবসা করতে চান সে ক্ষেত্রে বিরিয়ানির ব্যবসা করতে পারেন।
এ ব্যবসাতে ঝামেলা কম কারণ শুধুমাত্র একটা আইটেম নিয়ে ব্যবসা করবেন। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এটা খুবই ভালো হতে পারে। বিরিয়ানি ব্যবসা করতে চাইলেন অবশ্যই একটা ভালো পরিবেশে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। বিরিয়ানি ব্যবসায়ী হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু করে ও এক্সট্রা বেনিফিটেড হওয়া সম্ভব।
১২.আইসক্রিম পার্লারের ব্যবসা
আজকের প্রতি দুর্বলতা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আপনিও নিশ্চয়ই আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন তাই না। যদি এমন একটা জায়গায় আপনাকে রেখে আসা হয় যেখানে হাজারো রকমের আইসক্রিম পাওয়া যায় তাহলে কেমন লাগবে আপনার। অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। তখন অবশ্যই আপনার পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে।
তো আইসক্রীম প্রেমীদের পকেট ফাকা করতে চাইলে একটা আইসক্রিম পার্লার করা যেতে পারে। এই ব্যবসাটা বৃহৎ পরিসরে ক্ষুদ্র পরিসরে দুভাবেই করা সম্ভব। ক্ষুদ্র পরিসরে করলে আইসক্রিম তৈরি করার ছোটখাটো একটা মেশিন কিনে ফুটপাতে বসে পড়লেই হবে আর বৃহৎ পরিসরে করতে চাইলে বিভিন্ন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মত করে স্ট্যান্ডার্ড ভাবে শুরু করা যেতে পারে না।
অনলাইন নির্ভর ব্যবসার আইডিয়া
এতক্ষণ আমরা খাবার নির্ভর ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেছে এবার একটু ভিন্ন দিকে তাক করানোর চেষ্টা করব তা হচ্ছে অনলাইন রিলেটেড ব্যবসা। বর্তমানে অনলাইন দিলে ওদের ব্যবসা গুলো রমরমা চলছে এবং ভবিষ্যতেও এই ব্যবসা গুলোর সম্ভাবনা রয়েছে প্রচুর। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চান সে ক্ষেত্রে অনলাইননির্ভর যে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন ইনশাআল্লাহ আপনি আমি অনেক ভালো করতে পারব।
১৪.অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার আইডিয়া
অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য প্রচুর আইডিয়া রয়েছে যদি আপনি ডিজিটালি স্কিলড হন তাহলে এই সেক্টরে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে কি ধরনের ব্যবসা করা যায় একটু ভাবুন তো। এখন হয়তো আপনি আমাকে বলবেন অনলাইনে কি করা যায় ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়, ওয়েবসাইট, ই-কমার্স ব্যবসা ইত্যাদি। আপনি ঠিকই বলেছেন তবে আমরা যতটুকু ভাবতে পারি অনলাইনে কাজের পরিধি তার চেয়ে শত শত গুণ বেশি।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির পাশাপাশি ইনভিজিবল প্রোডাক্ট বিক্রি তো প্রচুর সুযোগ রয়েছে এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। সেটা আবার কেমন ডিজিটাল প্রোডাক্ট বলতে আমরা যেগুলো হাতের স্পর্শ করতে পারে সেগুলো আর ইনভিজিবল প্রোডাক্ট বলতে দেখলে স্পর্শ করা যায় না যেমন ফেসবুক অ্যাপ, ইউটিউব অ্যাপ, গুগোল অ্যাপস, দারাজ অ্যাপ ইত্যাদি এই অ্যাপসগুলোকে অনুভব করা যায় কিন্তু হাতের স্পর্শ করা যায় না বা ওজন করা যায় না তার পরেও এগুলো প্রচুর দাম। ইনভিজিবল প্রোডাক্টে আরেকভাবে বলা যায় সেটা হচ্ছে সেবা বিক্রি করা।
১৫.অনলাইনে ব্লগ তৈরি করে আয়
অনলাইনে ব্লগ তৈরি করে আয় করতে চাইলেও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে । ব্লগ তৈরি করে আয় করার উপায় হচ্ছে আপনাকে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং সেখানে মানুষের উপকার হয় এমন কিছু লিখতে হবে । আর সেই লেখাগুলোকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনেটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লক করে ইনকামের কথা বললে অনেকেই বলেন ভাই আমি তো ইংরেজি জানি না তাহলে কিভাবে হবে কারণ ইংরেজি কনটেন্টের বেশি ইনকাম এর সুযোগ রয়েছে বাংলা কন্টেন্ট এমন একটা ভালো সাড়া ফেলতে পারে না।
এক্ষেত্রে আমি বলব যারা এধরনের ভাবনা ভাবছেন তারা সম্পূর্ণ ভুল পথে রয়েছে কারণ বাংলা কনটেন্ট লিখেও প্রচুর ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। বাংলা কন্টেন্ট লিখে আয় করার সবচেয়ে লাভজনক মাধ্যম হচ্ছে ইভেন্ট ব্লগিং। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় ট্রেন্ডিং এ থাকে যেগুলো নিয়ে লিখলে প্রচুর ইনকাম এর সুযোগ রয়েছে।
১৬.ইউটিউব এ কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করার উপায়
হা হা এবার চলে এসেছে আপনাদের অনেকেরই খুবই জনপ্রিয় একটা কৌতুহল নিয়ে। কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়। বর্তমান সময়ে ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করার মাধ্যমটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ইউটিউব হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। এখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও নির্মাণ করে আপলোড করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করে ইনকাম করা সম্ভব যা অলরেডি অনেকেই করছে।
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনেটাইজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলের মাধ্যমেও প্রচুর ইনকাম এর সুযোগ রয়েছে ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করার মাধ্যমে ।
১৭.অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয়
অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয় করার আইডিয়াটা কাজে লাগানোর পূর্বে কোর্স তৈরি করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এই ব্যবসাটা সকলের পক্ষে করা সম্ভব নয় কারণ কোড তৈরি করার পূর্বে সেই কোড সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে হবে তারপরেই স্টুডেন্টদেরকে সেই বিষয়ে পড়ানো সম্ভব কোর্স বানানোর সম্ভব। অনলাইনে কোড তৈরি করে বিক্রি করার ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট ধরাবাঁধা সাবজেক্ট নেই আপনি বিভিন্ন টপিকের উপর কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন যেমন ইংলিশ লার্নিং, প্রোগ্রাম লার্নিং, ডিজিটাল মার্কেট, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফ্রিল্যান্সিং কলাকৌশল ইত্যাদি
১৮.মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম
একটা ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার জন্য যতগুলো মাধ্যমে এপ্লাই করা যায় একটা মোবাইল অ্যাপ তৈরি করার মাধ্যমে ও ঠিক ততগুলো মাধ্যমে এপ্লাই করা যায়। অর্থাৎ একটা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করে ইনকাম করার পাশাপাশি স্পন্সরশীপের মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
তাছাড়া অ্যাপ তৈরি করে ইনকামের আরও একটা জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর জন্য অ্যাপ তৈরি করা। একটা সময় এমন হবে যে প্রত্যেক ব্যবসায়ীরা মোবাইল অ্যাপ এর প্রয়োজন হবে আর সেই অ্যাপগুলো কেনার জন্য ডেভলপারদের কেই খুঁজবে সে ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ ডেভলপার হতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
১৯.আর্টিকেল লিখে আয় করুন
যেহারে অনলাইন এক্টিভিটিস এক্টিভিটিস বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে অনলাইনে কনটেন্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনে ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট তৈরি করার কারিগর হয়েও প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন। একবার ভাবুন তো সারা বিশ্বে কতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে আর এই ওয়েবসাইটগুলোতে কতগুলো আর্টিকেল রয়েছে। সে আর্টিকেলগুলো লেখার জন্য অবশ্যই মানুষের প্রয়োজন । একটা বড়সড় ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখার জন্য একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে আউটসোর্সিং করে ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল অ্যারেঞ্জ করতে হয়। এ দিক থেকে বিবেচনা করলে আর্টিকেল লিখে আয় করুন প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আর্টিকেল লিখে আয় করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো করতে পারবেন যদি ইংরেজিতে আর্টিকেল লেখার দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
২০.ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন
ই-কমার্স বিজনেস এর কথা শুনলে বিশাল ব্যবসার কথা মনে পড়ে। কিন্তু এটিকে ক্ষুদ্র পরিসরে করা সম্ভব। যে কোন নির্দিষ্ট একটা টপিক বেছে নিতে হবে এবং সেই ধরনের পণ্যেই বিক্রি করতে হবে। যেমন ঘরথেকে.কম নামে একটা ওয়েবসাইট রয়েছে যারা শুধুমাত্র বিদেশী খাবার দাবারের বিভিন্ন মসলা বা উপাদান বিক্রি করে। এছাড়া শুধুমাত্র ইলেকট্রিক গেজেট বিক্রি করার ওয়েবসাইট তৈরি করেও আয় করা যায় অথবা টি-শার্ট বিক্রির ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।
২১.সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়ীকে প্রমোট করা অথবা ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি করা বর্তমানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যস্ততম মডেল ব্যবসায়ী সেলিব্রিটিদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার জন্য ম্যানপাওয়ার এর প্রয়োজন আছে। এবং একটা প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার জন্য একজন ম্যানপাওয়ার এর প্রয়োজন হয়। আর সেই কাজটা করে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার । স সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হওয়ার জন্য যতটুকু দক্ষতার প্রয়োজন কতটুকু অর্জন করে এই সেক্টরে অবদান রাখতে পারেন ।
২২.ডিজিটাল মার্কেটিং
অনলাইনে যতগুলো ইনকামের মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুততম সময়ে পকেটের টাকা আনার উপায় হচ্ছে দিজিতাল মারকেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টা ক্ষুদ্র বিষয় নয় এখানে মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধরনের কৌশল শিখতে হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে শিখে ব্যবসা করা যায় পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অনলাইনে থেকে কোর্স কিনে শেখা। অথবা নিজের চেষ্টা থাকলেই ফ্রিতেও বিভিন্ন রিসোর্স ব্যবহার করে শেখা সম্ভব।
২৩.অনলাইনে ইংরেজি শিখিয়ে আয়
ইংরেজি বলার ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকলে ইনকামের চিন্তা মাথায় আনার প্রয়োজন নেই। অনলাইনে ইংরেজি শিখে ইনকাম করার প্রচুর প্রচুর অপারচুনিটি রয়েছে। যারাঅনলাইন ঘাটাঘাটি করেন তারা অবশ্যই জানেন যে, যেসকল ইংরেজি শিক্ষক অনলাইনে ইংরেজি শেখা আছেন তারা মোটামুটি ভালই ইনকাম করতে পারছে। হয়তো আপনিও অনেক দিন যাবত ভাবছেন কিভাবে অনলাইনে ইংরেজি শিখে ইনকাম করা যায়। তাহলে আপনাকে বলি কালকে থেকে শুরু না করে বরং আজকেই শুরু করে দিন। অনলাইনে ইংরেজি শিখিয়ে ইনকাম করার ক্ষেত্রে নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করে সেখানে যায় অথবা বিভিন্ন অনলাইন কোর্স বিক্রির ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করেও বিক্রি করার ব্যবস্থা করা যায়।
আশেপাশের জনপ্রিয় কিছু ব্যবসায়
আমাদের আশেপাশে হরেক রকমের ব্যবসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যদি আমরা আমাদের ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে চতুর দিকে খেয়াল করি তাহলে প্রচুর ব্যবসার আইডিয়া খুজে পাব। তেমনি কিছু জনপ্রিয় ব্যবসা আইডিয়ার আপনার সঙ্গে শেয়ার করব এখন।
২৫.বিজনেস কাউন্সিলর ব্যবসার আইডিয়া
বিজনেস কাউন্সিলর ব্যবসার আইডিয়া টা যদি আমাদের বাংলাদেশের নতুন তবে এ ধরনের ব্যবসা করে ও প্রচুর সম্ভাবনা সৃষ্টি করা যাবে। এটা হচ্ছে এমন এক ধরনের ব্যবসা যেখানে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবেন আপনি। অর্থাৎ যদি কেউ ব্যবসা শুরু করতে চায় সে ক্ষেত্রে তার দক্ষতা অনুসারে কি ধরনের ব্যবসা করতে পারবে তার সব ধরনের বন্দোবস্ত করে দেয়ার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি ধার্য করে ব্যবসা করা যেতে পারে। অথবা একটা ব্যবসা শুরু করার জন্য কত ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এছাড়া সে যে ব্যবসা করতে চাচ্ছে তার কাঁচামাল কোথায় পাবে ইত্যাদি দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়ে সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট ফি ধার্য করে ইনকাম করা সম্ভব ।
২৬.বিবাহের পোশাক ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা
বিবাহের পোশাক শুধুমাত্র একদিন ঐ ব্যবহার করা হয় তার পরবর্তীতে এই পোশাকের প্রয়োজন হয়না তাই অনেক ক্ষেত্রে বিবাহের পোশাক ভাড়া নিয়ে বিবাহ কার্য সম্পাদন করা যায়। সে ক্ষেত্রে বিবাহের পোশাক ভাড়া দেওয়ার ব্যবসাটা সবাই করতে পারবে না কারণ এ ব্যবসায় তা তাদের জন্যই উপযোগী যারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস এর সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়া যারা অলরেডি কোন পোশাক এর দোকানের ব্যবসা করছে তারাও এ ব্যাপারে করতে পারে। তবে অনলাইনে মার্কেটিং করে ব্যাপক সাড়া ফেলতে পারলে সারা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর কাস্টমার জোগাড় করা সম্ভব আর সেই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিবাহের পোশাক ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে ভালো ব্যবসা করা সম্ভব। জানিনা আদৌ এটা বাস্তব সম্মত বেচাকেনা হবে ট্রাই করে দেখতে পারেন……………….
২৭.গজ কাপড়ের ব্যবসা
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় একটা ব্যবসা হচ্ছে গজ কাপড়ের ব্যবসা । এটা যেহেতু একটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে পড়ে তাই এই পণ্য নিয়ে ব্যবসা করলে অবশ্যই লাভের মুখ দেখা সম্ভব । মনে করেন আপনি মাত্র 20 হাজার টাকার মধ্যে একটি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছে সে ক্ষেত্রেও গজ কাপড়ের ব্যবসা করা সম্ভব। আমি ঢাকা শহরের অনেককেই দেখেছি ভ্যান গাড়িতে করে গজ কাপড় বিক্রি করতে । যেখানে মাত্র 5 থেকে 10000 টাকার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের ব্যবসাটা শুরু করা সম্ভব।
২৮.কফি শপের ব্যবসা
স্মার্ট ব্যবসা গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কফি শপের ব্যবসা। বর্তমান আধুনিক সব কফি মেকিং মেশিন পাওয়া যায় যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে কফিশপের বিজনেস করা সম্ভব । কফি শপের ব্যবসা করতে চাইলে মোটামুটি একটা ভাল পজিশন সেইসাথে একটা কফি মেকিং মেশিন কিনতে হবে । দোকান পজিশন এর টাকা বাদ দিলে এই ব্যবসা শুরু করতে সর্বমোট পুজো লাগতে পারে 50 হাজার টাকার মতো। কারন একটা মাল্টিটাস্কিং কফি মেশিনের দাম পড়বে 30,000 টাকার মতো যেটা দিয়ে কফি চা সবকিছুই করা যাবে। আর অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ।
২৯.লুঙ্গি বিক্রির ব্যবসা
আপনি হয়তো এই ব্যবসার আইডিয়া টা পড়ার পর মনে মনে হাসছেন। কিন্তু শুধুমাত্র লুঙ্গির ব্যবসা করে অনেকেই সংসার চালায়। যদি আপনি অল্প টাকার মধ্যে ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন সে ক্ষেত্রে এটা দারুন একটা উপায় হতে পারে। আপনি বাজার ঘাটে হয়তো কোন এক সময় খেয়াল করেছেন যে অনেকেই পিকআপে করে লুঙ্গি বিক্রি করে ।
৩০.গামছা বিক্রির ব্যবসা
আপনি যদি কখনও ঢাকার শ্যামলীতে যেয়ে থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন যে সেখানে কিছু লোকমেইন রোডের পাশে গামছা ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি করছে । এছাড়াও বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে এবং রেলস্টেশনে কিছু লোককে দেখবেন যারা কাঁধের উপর গামছা ঝুলিয়ে রেখে সেগুলো বিক্রি করছে। যদি কখনো লং জার্নিতে কোথাও যে তাকেন তাহলে যাত্রাপথে বিরতির জায়গায় কাঁধে ঝুলিয়ে গামছা বিক্রি করার লোক দেখতে পাবেন। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি অল্প টাকার ব্যবসা করতে চাইলে আমরা অনেক কিছুই করতে পারি। সে জন্য প্রয়োজন সব ইচ্ছা, সংকল্প, ব্যবসা করার মন মানসিকতা।
৩১.কসমেটিক দোকানের ব্যবসা
কসমেটিক দোকানের ব্যবসার কথা আর কি বলব। ব্যবসা জীবনের প্রথম দিকে কসমেটিক ব্যবসার সামান্য অভিজ্ঞতা নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল যেখান থেকে আমি কসমেটিক ব্যবসা লাভজনক সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ পরিসরে দুভাবেই করা যায়। হয়তো আপনার এলাকায় কাউকে দেখে থাকবেন যে খাঁচার মধ্যে করে কসমেটিক ভর্তি করে এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে। সে খাঁচায় সর্বোচ্চ 10 হাজার টাকার মাল থাকতে পারে কিন্তু দিনশেষে পর্যন্ত তার পরিবার চালাতে পারছে এবং সঞ্চয় বলেন বা এ ধরনের যাই বলেন সবকিছুই কিন্তু এই ব্যবসার মাধ্যমে হয় । মার্কেটে দোকান নিয়ে কসমেটিকের দোকান করতে পারলে তো সোনায় সোহাগা আর যদি সে পরিমান টাকা না থাকে তাহলে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করতে পারেন ।
৩২.চশমার দোকানের ব্যবসা
যতগুলো লাভজনক ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে চশমার দোকানের ব্যবসা বেশ উল্লেখযোগ্য । চশমার দোকান করতেও বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। তবে এই ব্যবসা করতে হলে জায়গা নির্বাচনের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে । বিশেষ করে যেখানে মানুষ শপিং করার জন্য যায় সেই এলাকায় দোকান নিতে হবে । চশমার দোকানে এক একটা চশমা 400 থেকে 800 টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। সাধারণত চশমার দোকানে নন-ব্র্যান্ডের চশমা গুলোর চাহিদা বেশি । তবে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা করতে পারলে এখান থেকে নিজের ভাগ্যের বদল করা যেতে পারে ।
৩৩.ক্রোকারিজ এর দোকানের ব্যবসা
দারুন সব ব্যবসার মধ্যে ক্রোকারিজ এর ব্যবসা উল্লেখযোগ্য একটা ব্যবসা । কুকারিজের ব্যবসায় সাধারণত যে সকল পণ্য বিক্রি করা হয় তা হচ্ছে সংসারে ব্যবহারকৃত নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র যেমন থালা-বাটি , গামলা, পানি খাওয়ার গ্লাস , ঘর মোছার জিনিসপত্র পাপোশ , পাপোশ থেকে শুরু করে একটা ঘরে যত ধরনের জিনিসপত্র লাগে প্রায় সবকিছুই বিক্রি করা হয়। তাই এ ধরনের ব্যবসা সম্ভাবনা বেশ ভালো কেননা প্রত্যেক মানুষের ঘরেই নানান রকমের জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয় এছাড়াও নতুন নতুন সংসার শুরু করার সময় প্রত্যেক ঘরে প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটা জিনিস ঐ নতুন করে কিনতে হয়।
৩৪.রঙিন মাছ অথবা একুরিয়ামের ব্যবসা
ঘর সাজানোর জন্য অথবা অফিসে সাজানোর জন্য একুরিয়াম বা রঙিন মাছের চাহিদা বেশ ভালো। তবে এই ব্যবসা করতে হবে সৌখিন এলাকা কে কেন্দ্র করে। যাদের আয় ভালো এবং ঘর অফিস সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে চায় সেরকম এলাকায় এ ব্যবসা করতে হবে। সাধারনত জাদু রায় ভালো তারা এ ধরনের সৌখিনতা কাজের প্রতি আসক্ত থাকে তাই যেসব এলাকায় মানুষজন বেশি টাকা পয়সা ইনকাম করে সেসব এলাকায় একুরিয়াম অথবা রঙিন মাছের ব্যবসা শুরু করতে হবে। তবে অনলাইন এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে যে কোন এলাকা থেকেই শুরু করা সম্ভব।
৩৫.পুরাতন ফার্নিচার কেনা বেচার ব্যবসা
পুরাতন ফার্নিচার কেনা বেচার ব্যবসা জনপ্রিয় সব ব্যবসার মধ্যে বেশ লাভজনক একটা ব্যবসা। অফিসের পুরাতন ডেকোরেশন চেঞ্জ করে নতুন ডেকোরেশন করার ক্ষেত্রে পুরাতন ফার্নিচার গুলো বিক্রি করে দিতে হয় এছাড়াও ঘর সংসার এর পুরাতন ফার্নিচার বদল করে নতুন ফার্নিচার করতে চাইলেও পুরাতন ফার্নিচার বিক্রি করে দিতে হয়। আর এই পুরাতন ফার্নিচার বিক্রি হওয়ার পর সে গুলোকে রিসাইক্লিং করে নতুন করে বিক্রি করার উপযোগী করা যায় । বাজারে পুরাতন ফার্নিচার এর চাহিদাও ভালো। তাই বেকারত্ব দূরীকরণে এ ধরনের ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন ।
৩৬.পুরাতন বইয়ের দোকান
পুরাতন ফার্নিচার এর মত পুরাতন বইয়ের ও প্রচুর চাহিদা রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। গল্প-উপন্যাস অথবা পাঠ্যবই যে যাই বলুন না কেন সব ধরনের বইয়ের বেলায় পুরাতন বইয়ের ভালো চাহিদা রয়েছে । যেহেতু আমরা একটা গরিব দেশ তাই এখানে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীর রয়েছে যাদের নতুন বই কিনে পড়াশোনা করার সামর্থ্য নেই অথবা ইচ্ছা নেই তারা পুরাতন বই খুঁজে অল্প টাকায় কিনে এনে সেগুলো দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে নে সে দিক থেকেও পুরাতন বইয়ের ভালো চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের গল্প উপন্যাসের পুরাতন বইয়ের ভালো চাহিদা রয়েছে কারণ এগুলো নতুন বই এর চেয়েও কম দামে পাওয়া যায় । আপনি ঢাকার বাংলাবাজারে অথবা নীলক্ষেতে গেলেই বুঝতে পারবেন যে পুরাতন বইয়ের কতটা চাহিদা। অনলাইন অথবা অফলাইনে দুভাবেই এ ব্যবসা করা যায় ।
৩৭.পুরাতন ইলেকট্রিক মালামাল ক্রয় বিক্রয়
সাধারণত প্রত্যেক ঘরে সংসারে কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলোর দেশ পুরাতন হয়ে যাওয়ার পর আরও একটা নতুন মডেলের জিনিসপত্র কেনার প্রয়োজন অনুভব করে অনেকেই। সে জন্য অনেকেই ঘরের পুরাতন ইলেকট্রিক পণ্য বিক্রি করে দিয়ে নতুন মডেলের জিনিস কিনে আনে। এ ছাড়া হাতের মোবাইল পুরাতন হয়ে গেলে নতুন মডেলের মোবাইল কেনার জন্য পুরাতন মোবাইলটি বিক্রি করে দিই তাছাড়া ল্যাপটপের বেলায় এই ব্যাপারটা ঘটে। কেনাবেচার এই খেলার মাঝখানে মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
৩৮.লাইব্রেরির সাথে কফি শপের ব্যবসা
জানিনা এই ব্যবসাটা কতটা ফলপ্রসূ হবে কেননা বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের এই জেনারেশন বই পড়ার প্রতি এতটাই আসক্ত নয় তবে যদি একটা লাইব্রেরির পাশাপাশি কফি শপের ব্যবসা দাঁড় করানো যায় তাহলে নির্দিষ্ট শ্রেণীর কিছু লোক অবশ্যই এখানে আসবে ।
৩৯.প্রিন্টিং, মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা
সত্যি বলতে কি এই ব্যবসাটা খুবই চমৎকার একটা ব্যবসা যদি কেউ বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য ব্যবসা করতে চান তাহলে আমি হাইলি রেকমেন্ড করছি এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য। এ ধরনের ব্যবসায় বিভিন্ন ধরনের কম্পোজের কাজ, ছবি তোলা, অনলাইন বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন ইত্যাদি কাজ করে এখান থেকে ভালো আর সুযোগ রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন হবে একটা কম্পিউটার একটা প্রিন্টার একটা ফটোকপি মেশিন আর একটা ভাল পজিশন এর দোকান।
৪০.শাড়ি বিক্রির দোকান
ব্যবসাক্ষেত্রে ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক পুরাতন একটা ব্যবসা হচ্ছে শাড়ি বিক্রি ব্যবসা । যেহেতু এটা একটা বেশ ঐতিয্যবাহী পুরাতন ব্যবসা এবং অনেকেই এই ব্যবসা করে তাই আমরা যারা বেকার আছে তারা এই ব্যবসাটা করতে পারি। ঢাকার ইসলামপুর, টাঙ্গাইলের তাঁত পল্লী, নরসিংদী বাবুরহাট থেকে পাইকারি দামে শাড়ি সংগ্রহ করে দোকানে সাজে বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যবসাটা আসলে অল্প টাকায় করা সম্ভব নয় কারণ একটা শাড়ির দোকানে প্রচুর পরিমাণ শাড়ির কালেকশন রাখতে হয়। তারা মোটামুটি ভালো অ্যামাউন্ট টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই ব্যবসাটা পারফেক্ট। শাড়ির ব্যবসা সাধারণত বিয়ে মৌসুম, ঈদ, পহেলা, গায়ে হলুদ ইত্যাদি তে প্রচুর চাহিদা থাকে।
৪১.শেয়ার মার্কেট ব্যবসা
প্রত্যেক ব্যবসাতেই যেমন রিক্স রয়েছে ঠিক তেমনি শেয়ার মার্কেটের ব্যবসার মধ্যে রয়েছে তবে এটা অবশ্যই লাভজনক ব্যবসা যদি আপনি বুঝে শুনে ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে আমার তেমন কোন ধারণা নেই তাই এটা সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারছি না তবে ইন্টারনেটে প্রচুর রিসোর্স রয়েছে শেয়ার মার্কেটের ব্যবসা সম্পর্কে খুঁটিনাটি অথবা বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য। শেয়ার মার্কেটে ব্যবসা করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছে এমনকি এমন একটা সময় এসেছে যেখানে শেয়ার কিনতে কিনতে খুদ সে কোম্পানির মালিক বনে গেছেন।
৪২.ইনসুরেন্স এজেন্ট ব্যবসা
ইনসুরেন্স এজেন্ট ব্যবসা সারা বাংলাদেশে অথবা সারাবিশ্বে সুপরিচিত লাভজনক একটা ব্যবসা। যেখানে আপনার বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে যেয়ে ইন্সুরেন্স করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রত্যেকটা ইন্স্যুরেন্সের একাউন্ট রেফার করার বিনিময়ে সেখান থেকে ভাল অঙ্কের কমিশন পাওয়া যায়। এই বয়সে একটা চমৎকার বিষয় হচ্ছে যে একটা নতুন ক্লায়েন্ট এর ইন্সুরেন্স করানোর পর প্রথম এক বছর বেশ মোটা অংকের কমিশন পাওয়া যায় । একজন পেশেন্টের আওতায় যদি মোটামুটি আমাদের ইন্সুরেন্স গ্রাহক থাকে তাহলে সারাজীবন বসে বসে খেতে পারবে ।
৪৩.ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ব্যবসার আইডিয়া
এটা এমন এক ধরনের ব্যবসায় যেখানে নতুন নতুন বাড়ি ঘর নির্মাণের পর ভেতরটা কি ধরনের ডিজাইন হবে সেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করে । শুধুমাত্র বাড়ি নয় পাশাপাশি বিভিন্ন অফিস-আদালতে অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের কাজ করে থাকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ব্যবসায়ীরা। এই ব্যবসায় প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের বাংলাদেশে কারণ আমরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে পাশাপাশি সচ্ছলতার অন্যটি হওয়ার ফলে সৌখিনতা ও বৃদ্ধি পাবে এর ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যতে এই ব্যবসার আরো বেশি সম্ভাবনা জাগ্রত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪৪.বাসা ও অফিস বদল এর ব্যবসার আইডিয়া
বাসা, অফিস বদল এর ব্যবসা অলরেডি আমাদের ঢাকা শহরে একটা জনপ্রিয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এই ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজন হবে ভ্যানগাড়ি প্লাস কয়েকটা লেবার অথবা পিকআপ গাড়ির মাধ্যমেও বাসাবাড়ি বদল করার প্রয়োজন হতে পারে । যদি আপনার ভ্যানগাড়ি অথবা পিকআপ গাড়ির না থাকে সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন রেন্ট-এ-কার ব্যবসায় রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
৪৫.কম্পিউটার কম্পিউটার সামগ্রী বিক্রি করার ব্যবসা
যেহেতু বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই এই সেক্টর কে কেন্দ্র করে যে কোন ব্যবসায় সফলতার দ্বার উন্মুক্ত করা সম্ভব। কম্পিউটার এবং কম্পিউটার এক্সেসরিজ বিজনেস এর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারলে ভবিষ্যতে এখান থেকে প্রচুর ইনকাম করা যাবে । তবে ব্যবসা করার জন্য মোটামুটি ভালো অ্যামাউন্টের ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে । সরাসরি চায়না থেকে পণ্য বাংলাদেশে এনে বিক্রি করতে পারলে সবচেয়ে বেশি লাভ করা যায় এ ব্যবসায়।
৪৬.সাইবার ক্যাফে নির্মাণ ব্যবসার আইডিয়া
ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তার কারণে ধীরে ধীরে আমাদের বাংলাদেশের সাইবার ক্যাফে বিজনেসটা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিজনেস আপনার প্রয়োজন হবে বেশ কিছু কম্পিউটার এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন। শহরের যে কোন এলাকায় এই ব্যবসার সম্ভাবনা ভালো। তবে এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে পাশাপাশি ইন্টারনেট সিকিউরিটি সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভালো হবে ।
৪৭.পাগড়ী উৎপাদনের কারখানা ব্যবসার আইডিয়া
পাগড়ী একটি ইসলামিক পোশাক বা পোশাকের অংশ। আমাদের বাংলাদেশ যেহেতু একটি ইসলামিক কান্ট্রি তাই এই দেশে এই পণ্যের ভালো চাহিদা রয়েছে । বাংলাদেশের প্রচুর মাদ্রাসা রয়েছে মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতিনিয়ত পাগড়ী প্রয়োজন হয়। পাবি উৎপাদনের পাশাপাশি দুটি উৎপাদনের ব্যবসাটাও এটার সাথে যোগ করা যায় তাহলে বাড়তি আয়ের এর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে ।
৪৮.জুতার দোকান দিতে পারেন
যদি এমন কোন দেশে খোঁজেন যেই ব্যবসায় অর্ধেকের বেশি প্রফিট হয়েছে তাহলে আপনাকে রিকমেন্ড করব জুতার দোকান দেওয়ার জন্য। এই ব্যবসায়ে যদিও কমদামের জুতার চেয়ে বেশি দামের জুতার মধ্যে প্রফিট বেশি তাই আপনাকে কমেন্ট কোরবো একটি ভাল মানের মানসম্পন্ন দোকান দেওয়ার জন্য যাতে করে সেখান থেকে ভালো ইনকাম করা যায়। জুতার দোকানে সাধারণত নতুন নতুন কালেকশনের জুতা রাখতে হয় তা না হলে পুরাতন মডেলের জুতা দোকানের রাখলে সেগুলো স্টক হয়ে যাবে বিক্রি না করার কারণে ব্যবসায় লস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তাই এই ব্যবসা শুরু করার আগে এই বিষয়টাকে নজর রাখতে হবে যেন কোনো পুরাতন মডেলের জুতা দোকানে না থাকে ।
৪৯.কাঠের শোপিস তৈরি করার ব্যবসার আইডিয়া
কাঠের শোপিস তৈরি করে বিক্রি করা মোটামুটি মানসম্পন্ন একটা ব্যবসা। যেহেতু কাঠের শোপিস গুলো সৌখিন মানুষেরা ব্যবহার করে সে তো এখানে ওই পণ্যের দাম কত সেটা মুখ্য বিষয় নয় তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সৌখিনতা। তাই এই শৌখিনতার বিষয়টাকে কাজে লাগিয়ে চমৎকার ব্যবসা করা যায়। তবে এক্ষেত্রে কাঠের শোপিস তৈরি করার দক্ষতা না থাকলে আমি বলব এবার শোন না করার জন্য। আর যদি এই বিষয়ে নেশা থাকে তাহলে কাজ শিখে নিতে হবে।
কৃষি ভিত্তিক ব্যবসার আইডিয়া
যেহেতু আমাদের বাংলাদেশ একটি কৃষি নির্ভর দেশ তাই কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা আলোচনা না করে পুরো আর্টিকেলটার শেষ করলে অপূর্ণতা থেকে যাবে। কৃষি কে ভিত্তি করে আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবসার প্রচলন রয়েছে এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা রয়েছে যেহেতু মানুষকে সারাজীবন খেতে হবে সেহেতু এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করলে অবশ্যই লাভের মধ্যে রাখা সম্ভব।
৫১.মৌমাছি চাষের ব্যবসার আইডিয়া
আমাদের দেশে সুন্দরবনের মৌয়াল রায় সাধারণত প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করে জীবন যাপন করে। কিন্তু আপনি চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে মধু চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃত্রিমভাবে মধু চাষ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেহেতু মধু একটি সুস্বাদু খাবার এবং এতে প্রচুর ঔষধি গুনাগুন রয়েছে তাই সারা বছরেই মধুর সমান চাহিদা থাকে। আমি বলব যদি আপনার মধু চাষের প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে আপনার এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অথবা কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে কিভাবে ব্যবসা করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ নেবেন।
৫২.মাশরুম চাষ করার সম্ভাবনা রয়েছে
বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা মাশরুম চাষে সফল ভাই-বোনদের গল্প শুনতে পাই। যদি আমরা তাদের মধ্যেও সফলতার কাতারে দাঁড়াতে চাই তাহলে মাশরুম চাষ কে সম্ভাবনাময় কর্মসংস্থানের উপায় হিসেবে বেছে নিয়ে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারি। যদি আপনার কৃষিবিষয়ক কাজগুলো করার প্রতি ঝোঁক থাকে তাহলে আমি আপনাকে হাইলি রিকমেন্ড করব মাশরুম চাষের ব্যবসা শুরু করার জন্য। মাশরুম আমাদের বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর আয় করা সম্ভব ।
৫৩.কবুতরের খামার করে প্রচুর ইনকাম সুযোগ রয়েছে
কবুতরের খামার করে ইনকাম করার কৌশল টা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমাদের ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিল্ডিং এর ছাদে কবুতরের খামার দেখা যায়। আমি কুর্মিটোলা অথবা এয়ারপোর্ট এরিয়া একজনের বাসায় গিয়েছিলাম যে বাসার ছাদে মশারির ভিতর কবুতর পালন করে। সেই লোক কি করে জানেন, না বললে জানবেন কি করে, ভদ্রলোক ছাদে কবুতর পোষ এবং সেগুলো বিক্রি করার জন্য হাতে না নিয়ে ফেসবুকে মার্কেটিং করে। যার কবুতরের প্রয়োজন সেটা বাড়িতে গিয়ে কবুতর কিনে আনে ।
৫৪.হাঁসের খামার গ্রামে লাভজনক ব্যবসা
যদি আপনার বাড়ির হয় কোন নদীর পাশে তাহলে হাঁসের খামারের ব্যবসাটা আপনার জন্য পারফেক্ট। এছাড়া যদি নিজস্ব পুকুর থাকে তাহলে হাঁস এবং মাছ চাষ একসঙ্গে করে সেখান থেকে ভালো আয়ের সুযোগ রয়েছে যেটা আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে অবশ্যই এই ব্যবসা শুরু করার আগেও কিভাবে এই ব্যবসাটা মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায় সেইসাথে ব্যবসায়ী কি কি ধরনের বিপদ আসতে পারে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে ।
৫৫. কোয়েল পাখি পালনের ব্যবসা
কোয়েল পাখি পালন করে বিক্রি করে ব্যবসা করতে পারলেও বেকারত্ব ঘোচানো যাবে। কোয়েল পাখির ডিম এবং কোয়েল পাখির মাংস খুবই পুষ্টিকর খাবার এবং বাজারে চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কোয়েল পাখির বৃদ্ধি বা বংশবিস্তার হয় খুব দ্রুত তাই এখান থেকে অল্প সময়ে প্রচুর বাচ্চা পালন করা যায় যার ফলে লাভের পরিমাণ তো মোটামুটি ভালো হয় ।