ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা এবং চেক করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া
আজকে আমরা শিখব কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হয় অথবা দেখার নিয়ম কিংবা ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র উত্তোলন করার সঠিক নিয়ম । ভোটার আইডি কার্ড চেক করার মাধ্যমে বা জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি অথবা NID Card Check সংগ্রহ করে সেটা দিয়ে আমরা অনেক ধরনের কাজ করতে পারব । যেমন আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড সংশ্লিষ্ট সমস্ত কাজ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সিম রেজিস্ট্রেশন করা, জীবনবৃত্তান্তে সঙ্গে সংযুক্ত করা বিকাশ একাউন্ট খোলা ইত্যাদি
এখন থেকে অনলাইনেই আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন অথবা আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে – NID card download। তবে সে কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা দেখে নেই যে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ও চেক করার নিয়ম অথবা কিভাবে অনলাইন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের সফটকপি অথবা হার্ড কপি সংগ্রহ করবেন।
একটি ভিডিওতে দেখে নিন কিভাবে নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবেন অথবা ডাউনলোড করবেন
আমার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে চাই । কিভাবে নতুন আইডি কার্ড দেখবো
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা সম্ভব। আপনি যদি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড অথবা চেক করতে চান অথবা দেখতে চান তাহলে সর্বপ্রথম যে জিনিস টা প্রয়োজন হবে সেটার কথা বলছি । ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার জন্য আবেদন করার সময় আপনি যে ফরমে আবেদন করেছিলেন সেখান থেকে একটা অংশ আপনাকে কেটে দেয়া হয়েছিল যাহার একটি ছবি নিচে দেওয়া হয়েছে।
এই ফর্মে একটি আট ডিজিটের ফরম নম্বর দেওয়া আছে যেটি অনলাইন ভোটার আইডি অথবা এন আইডি চেক করার জন্য অথবা ডাউনলোড করার জন্য প্রয়োজন হবে । আপনার কাছে যদি অলরেডি এনআইডি কার্ড থাকে তাহলে সেটা পেয়েছি নম্বর রয়েছে সেটি দিয়ে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন । ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি বের করতে চাইলে সম্পূর্ন পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বের করা সঠিক নিয়ম । ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম কানুন
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পূর্বে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে আছে কি তা আগে যাচাই করে নিতে হবে । অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করতে চাইলে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে । নিজে নিজে ভোটার আইডি কার্ড দেখতে অথবা ডাউনলোড করতে চাইলে নিচের নমুনা ছবিটি লক্ষ করুন ।
উপরের ছবিতে প্রথম বক্সে “ফরম নম্বর বা এনআইডি নম্বর” মার্ক করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা ভোটার আইডি নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর লিখুন। এরপর জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পুরন করে ভোটার তথ্য দেখুন বাটনে চাপ দিন । তাহলে নিচে প্রদর্শিত ছবির মত করে আপনি আপনার ভোটার আইডি অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার জন্য তথ্য পেয়ে যাবেন ।
এখানে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দেখতে পারবেন পাশাপাশি আপনার নাম এবং ভোটার নম্বর সেই সাথে এলাকার নাম দেখতে পারবেন । এ পর্যায়ে আপনাকে এন আই ডি নম্বর লিখে রাখতে হবে। এ পর্যায়ে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য এন আই ডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে । এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনি আপনার ভোটার আইডি চেক করতে পেরেছেন। যদি আপনি এটি ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এখন আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করব । আইডি কার্ড বের করার নিয়ম দেখুন
এখন খেয়াল করুন এই পেজে উপরের অংশে মেনুবারে “রেজিস্টার” নামের মেনু রয়েছে এখানে ক্লিক করুন । তাহলে নিচে প্রদর্শিত ছবির মত পেজ আসবে । এবার সবকিছু ঠিকঠাক মতো পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন । এরপর ভোটার আইডি কার্ডের রেজিস্ট্রেশন অথবা নিবন্ধন করার সময় যেসকল তথ্য দিয়ে পূরণ করেছিলেন সেগুলো ঠিক ভাবে দিয়ে সাবমিট করুন। এরপর ভোটার আইডি নিবন্ধন এর সময় যে মোবাইল নম্বরটি দিয়েছিলেন সেটি দিন অথবা নতুন একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিন।
এনআইডি জন্য ফেইস ভেরিফিকেশন করার প্রক্রিয়া । ভোটার আইডি ভেরিফিকেশন করার নিয়ম
মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবার পর এবার আমাদের পালা ফেস ভেরিফিকেশন করা । এই কাজটি করার জন্য আপনার স্মার্টফোনে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে যেটির নাম হচ্ছে “NID Wallet”। মোবাইল অ্যাপ টি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। নিশ্চয় আপনি এতক্ষণে “NID Wallet” অ্যাপ টি ডাউনলোড করে নিয়েছেন।
এখন আপনি উপরে প্রদর্শিত ছবির মত ছবি বা পেজ দেখতে পারবেন যেখানে আপনার এনআইডি কার্ডের কিউ আর কোড দেওয়া থাকবে। সেটিকে আপনার মোবাইলে থাকা এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপ এর মাধ্যমে স্ক্যান করতে হবে। কিউআর কোডটি স্ক্যান করার পর মোবাইলে পরবর্তী স্টেপগুলো অনুসরণ করে কাজ সম্পন্ন করুন ।
এনআইডি ওয়ালেট এর মাধ্যমে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনি নিচে প্রদর্শিত ছবির মত একটি প্রফাইল পেজ দেখতে পাবেন । এখান থেকে আপনি আপনার এন আইডি কার্ড অথবা ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন ।
এছাড়াও এখান থেকে আপনি চাইলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা এনআইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রটি পরিবর্তন, ভুল সংশোধন, ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন।
কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য পরিবর্তন অথবা ভুল সংশোধন করতে হয় তা দেখে নিন ।
এখানে ডাউনলোড নামের অপশনটি রয়েছে সেখানে চাপ দিয়ে আপনার ভোটার আইডি টি ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড বাটনে চাপ দিলে আপনি এখান থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বা ভোটার আইডি কার্ডের সফটকপি তা জাতীয় পরিচয় পত্র পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এবং সেটি আপনি প্রিন্ট করে যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। নিশ্চয় এতক্ষণে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড কার্য সম্পন্ন করেছেন। এনআইডি কার্ড সম্পর্কে আরও কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এর উত্তর জেনে নিন।
কিভাবে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন (Source)। জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম 2021
অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন তবে স্মার্ট আইডি কার্ড বের করা যাবে না। কারন আমার আইডি কার্ডে সাধারণত সিম কার্ড লাগানো থাকে সেটা একটা প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করে বের করা সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি এখনও স্মার্ট কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন তবে আপনি পাবেন। এর জন্য উপরের প্রদর্শিত নিয়ম অনুসরণ করেই আপনাকে দেখে নিতে হবে কোন দিন আপনি স্মার্ট কার্ড পাবেন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে কার্ড বিতরণের তথ্য দেখুন নামে একটা অপশন পাবেন সেখানে চাপ দিলে আপনি আপনার কার্ড বিতরণের তথ্য গুলো দেখতে পাবেন। যেহেতু স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করে বের করা সম্ভব নয় তাই শুধু শুধু কিভাবে অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবো এগুলো লিখে সময় নষ্ট করবেন না।
১। প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
২। প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?
উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
৩। প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?
উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
৪। প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।
৫। প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে NID Registration Wing/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।
৬। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন ID Card থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?
উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৭। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
৮। প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।
৯। প্রশ্নঃ আমার ID Card এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।
১০। প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সদন, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।
১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি,ওয়ারিশ সনদ,ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।
১২। প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?
উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত সনদ দাখিল করতে হবে।
১৩। প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
১৪। প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে ID Card –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ID Card এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
১৫। প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।
১৬। প্রশ্নঃ আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?
উত্তরঃ আপনি ম্যাজিট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।
১৭। প্রশ্নঃ ID Card এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।
১৮। প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়?
উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।
১৯। প্রশ্নঃ বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
২০। প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।
২১। প্রশ্নঃ আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২২। প্রশ্নঃ একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর
১। প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
২। প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?
উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
৩। প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?
উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
৪। প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।
৫। প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে NID Registration Wing/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।
৬। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন ID Card থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?
উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৭। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
৮। প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।
৯। প্রশ্নঃ আমার ID Card এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।
১০। প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সদন, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।
১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি,ওয়ারিশ সনদ,ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।
১২। প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?
উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত সনদ দাখিল করতে হবে।
১৩। প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
১৪। প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে ID Card –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ID Card এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
১৫। প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।
১৬। প্রশ্নঃ আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?
উত্তরঃ আপনি ম্যাজিট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।
১৭। প্রশ্নঃ ID Card এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।
১৮। প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়?
উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।
১৯। প্রশ্নঃ বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
২০। প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।
২১। প্রশ্নঃ আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২২। প্রশ্নঃ একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।
জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় কি । ভোটার আইডি হারিয়ে গেলে কি করব
১। প্রশ্নঃ ID Card হারিয়ে গিয়েছে। কিভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি?
উত্তরঃ নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেল/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।
২। প্রশ্নঃ হারানো আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কি কোন ফি দিতে হয়?
উত্তরঃ এখনো হারানো কার্ড পেতে কোন প্রকার ফি দিতে হয় না। তবে ভবিষ্যতে হারানো আইডি কার্ড পেতে/সংশোধন করতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ধার্য করা হবে।
৩। প্রশ্নঃ হারানো ও সংশোধন একই সাথে করা যায় কি?
উত্তরঃ হারানো ও সংশোধন একই সাথে সম্ভব নয়। আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
৪। প্রশ্নঃ হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করব?
উত্তরঃ প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।
৫। প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র / স্লিপ হারালে করণীয় কি?
উত্তরঃ স্লিপ হারালেও থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।
৬। প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র / ID Card হারিয়ে গেছে কিন্তু কোন Document নেই বা NID নম্বর/ ভোটার নম্বর/ স্লিপের নম্বর নেই, সে ক্ষেত্রে কি করণীয়?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে Voter Number সংগ্রহ করে NID Registration Wing/ উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
৭। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব?
উত্তরঃজাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি সহ আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে বিবেচনা করা হবে।
৮। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের মান বর্তমানে তেমন ভালো না এটা কি ভবিষ্যতে উন্নত করার সম্ভাবনা আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। আগামীতে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের জন্য কাযর্ক্রম চলমান আছে যাতে অনেক উন্নত ও আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ থাকবে এবং মান অনেক উন্নত হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নিবন্ধন সংক্রান্ত কিছু জিজ্ঞাসিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর । কিভাবে ভোটার আইডি নিবন্ধন করব
১। প্রশ্নঃ আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে Registration করতে পারিনি। এখন কি করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদন করতে পারেন।
২। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে Voter Registration করতে পারিনি, এখন কিভাবে করতে পারবো?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে বাংলাদেশ পাসপোর্ট-এর অনুলিপিসহ জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, এসএসসি (প্রযোজ্যক্ষেত্রে) সনদ, ঠিকানার সমর্থনে ইউটিলিটি বিলের কপি বা বাড়ী ভাড়া বা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের কপিসহ আবেদন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ফর্মসমূহ পূরণ করতে হবে।
৩। প্রশ্নঃ আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?
উত্তরঃ আপনি আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকার পত্রটি নিয়ে যে স্থানে ভোটার হয়েছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে প্রাপ্তি রশিদে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মন্তব্যসহ স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে যোগাযোগ করা যাবে।
৪। প্রশ্নঃ ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?
উত্তরঃ ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।
৫। প্রশ্নঃ কোথা হতে ID Card সংগ্রহ করা যাবে?
উত্তরঃ যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে ID Card সংগ্রহ করা যাবে।
৬। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ । আপনার ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির যথাযথ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Authorization Letter) নিয়ে তা সংগ্রহ করাতে পারবে।
৭। প্রশ্নঃ কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে?
উত্তরঃ জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
৮। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?
উত্তরঃ ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।
৯। প্রশ্নঃ বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?
উত্তরঃ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে।লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।
১০। প্রশ্নঃ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব।
১১। প্রশ্নঃ এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?
উত্তরঃ না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
১২। প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস,এস,সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমানের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর NID কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, TIN নম্বর (যদি থাকে)।
১৩। প্রশ্নঃ আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি ID Card পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি?
উত্তরঃ না। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।মানবিক বিবেচনার কোন সুযোগ নেই।
১৪। প্রশ্নঃ আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো?
উত্তরঃ যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে। অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৫। প্রশ্নঃ ID Card আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি?
উত্তরঃ অবিলম্বে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৬। প্রশ্নঃ একজনের কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কিনা?
উত্তরঃ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তিস্বীকার রশিদ নিয়ে আসলে সংগ্রহ করা যাবে।
১৭। প্রশ্নঃ আপনারা বিভিন্ন ফরমের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ NID Registration Wing/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে অথবা Website : www.ecs.gov.bd বা www.nidw.gov.bd থেকে ডাউন-লোড করা যাবে।
ভোটার আইডি সংশোধনের নিয়ম । কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করবেন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাইলে আপনাকে আপনার আইডি কার্ডের অথবা স্লিপ এর নম্বর দিয়ে লগইন করে প্রোফাইল পেজে যেতে হবে। প্রফাইল পেজ এ যাওয়ার পর সেখান থেকে এডিট নামের অপশন রয়েছে অপশন থেকে পরিবর্তন অথবা সংশোধন করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত কিছু ফি প্রদান করতে হয়। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য নিচের ছবিটি দেখুন অথবা এখানে ক্লিক করুন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম । নতুন ভোটার হতে চাই
নতুন ভোটার আইডি করার জন্য মেনুবারে “নতুন নিবন্ধন” নামের অপশন এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে কিভাবে আপনি নতুন ভোটার আইডির জন্য নিবন্ধন করবেন তার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া দেখতে পারবেন। সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রদান করে নিবন্ধন করার জন্য ফরম পূরণ করে নিন। সকল তথ্য পূরণ করার পর আপনাকে একটা পিডিএফ ফাইল আকারে ফর্ম ডাউনলোড করার অপশন দেওয়া হবে সেটা আপনাকে উপজেলায় জমা দিতে হবে।
উপজেলায় জমা দেওয়ার পর তারা আপনার কাছ থেকে সেগুলো রেখে দেবেন এবং পরবর্তীতে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং চোখের কর্নিয়ার চাপ নেওয়ার জন্য ডাক দেবে। এর জন্য আপনাকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে আপনাকে 16 বছরের অধিক বয়সের অধিকারী হতে হবে, প্রবাসী বা বাদপড়া ভোটারগণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন ।
আপনার তথ্য যাচাই করার পর নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হওয়ার পর আপনার আইডি কার্ড প্রস্তুত হবে এবং সেটি আপনি করুন নিজে নিজে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ।
NID bd helpline number । জাতীয় পরিচয় পত্র সংশ্লিষ্ট হেল্পলাইন নম্বর
বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন নামে একটা অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করলে আপনি সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনি আপনার এলাকা অনুসারে তথ্য বের করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
- যোগাযোগের ঠিকানা: Nirbachan Bhaban (7th -8th Floor), Agargaon, Dhaka-1207
- National Nid bd helpline number: 105
- Nation NID bd helpline facebook page: Click Here
- Nation NID helpline email: info@nidw.gov.bd
- National NID bd helpline number +8801708501261
- যোগাযোগের সময়: রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত
স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড 2021 । কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করব। স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম
অনেকেই কিভাবে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করব এটা লিখে গুগলে সার্চ করেন। আপনাকে বলে দিচ্ছি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার কোন অপশন ইন্টারনেটে নেই। নিশ্চয়ই আপনি উপরে এ ব্যাপারে উত্তর পেয়েছেন । আপনি যদি এখনও স্মার্টকার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে অপেক্ষা করুন অথবা নির্বাচন কমিশনের হেল্পলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন। ইন্টারনেট থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার অপশন খুজে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।
NID Card Check | NID Card Download | Online NID Card | NID Registration bd | How to create online nid bd
কিভাবে এনআইডি কার্ড চেক অথবা এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপরে বর্ণনা করা হয়েছে | দয়া করে উপরোক্ত আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আইডি কার্ড চেক করবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ।
মোবাইলে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে কি করতে হবে
যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে উপরের উল্লেখিত আর্টিকেলটি হলেও আপনি এই কাজটি করতে পারবেন। কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ অথবা মোবাইল থেকে ভোটার আইডি বের করার নিয়ম একই রকম ।
আমার হারানো আইডি কার্ড কিভাবে অনলাইনে উত্তোলন করব
আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে সেটি উত্তোলন করার জন্য আপনাকে আপনার বসবাসরত এলাকার থানায় জিডি করতে হবে। জিডি করা প্রতিটি আপনাকে স্ক্যান করতে হবে অথবা মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দিয়ে লগইন করে প্রোফাইল পেজে যেতে হবে এবং সেখান থেকে সংশোধন অথবা পরিবর্তন অপশন এ থেকে হারানো আইডি কার্ডের জন্য নতুন আরেকটি আইডি কার্ড তৈরি করার আবেদন করতে হবে। সাথে থানায় জিডি করা কপিটি আপনাকে আপলোড করে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাগন আপনার আবেদনটি যাচাই করে আপনার জন্য দুই সপ্তাহের মধ্যে আইডি কার্ড প্রস্তুত করবে। এবং আপনাকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। মোবাইলে এসএমএস প্রাপ্তির পর আপনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা এনআইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র টি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে আপনি আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
ভোটার নিবন্ধন হয়েছে কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র এখনো পাইনি
যারা ভোটার হিসাবে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর পাননি তারা জাতীয় পরিচয় পত্র বিবরণী জানতে ভোটার তথ্য মেনুতে গিয়ে আপনার কাছে রক্ষিত ফরম নম্বর এবং আপনার জন্ম তারিখ সেইসাথে ক্যাপচা প্রদানের মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর জেনে নিন অতঃপর রেজিস্টার মেনু থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অনলাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। অথবা উপরে বর্ণিত স্টেপ গুলো ফলো করুন তাহলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনার ভোটার নিবন্ধন হয়েছে কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র পাননি? (Source)
আপনারা যারা ভোটার হিসাবে নিবন্ধন হয়েছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর পাননি তারা জাতীয় পরিচয় বিবরণী জানতে “ভোটার তথ্য” মেনুতে গিয়ে আপনার কাছে রক্ষিত ফর্ম নম্বর (রশিদ ফর্ম) এবং আপনার জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা প্রদানের মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর টি জেনে নিন অত:পর “রেজিষ্টার” মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনী তথ্য দিয়ে অন-লাইন সেবার জন্য রেজিষ্টেশন সম্পন্ন করুন।পরবর্তীতে “লগইন” মেনুতে গিয়ে আপনার ইউজার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে “ডাউনলোড” মেনুতে গিয়ে আপনার পরিচয়পত্র কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনি কি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র চান?
জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। যিনি বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু এখনও নিবন্ধিত হননি,আপনার বয়স যদি ১০বছর বা বেশি হয়ে থাকে কিন্তু এখনও ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হননি তাহলে online এ ফরম পূরণ করে আপনার সিডিউল মোতাবেক সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে বায়োমেট্রিক প্রদান করুন। বায়োমেট্রিক প্রদানের সময় আপনার কিছু সংযুক্ত কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে, যা নিন্মরুপ-
• অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি
• এস.এস.সি সনদ -(বয়স প্রমানের সনদ)
• জন্ম নিবন্ধন -(বয়স প্রমানের সনদ)
• পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / টি.আই.এন -(বয়স প্রমানের সনদ)
• ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ী ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ – (ঐ এলাকায় সচরাচর বসবাস করেন এরুপ কোন প্রমান)
• নাগরিকত্বের সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
• বাবা, মা, স্বামী/স্ত্রীর আই.ডি কার্ডের কপি(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য হালনাগাদ করতে চান?
২) তথ্য হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাই
আপনার নিজস্ব তথ্য হালনাগাদ ও অন্যান্য সেবা নেয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইতোমধ্যে ভোটার হতে হবে এবং এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করার জন্য আপনার বর্তমান কার্ডের নম্বর ও একটি কার্যকর মোবাইল নম্বর আপনার জন্মতারিখ ও ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য প্রয়োজন।
ক। ভূমিকা
আপনি ভোটার হয়ে থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করে এই ওয়েবসাইটের সুবিধা নিন
রেজিষ্ট্রেশন করে আপনি নিম্নলিখিত সুবিধাসমূহ পেতে পারেন
• নিজস্ব প্রোফাইল তথ্য
• নির্বাচনকালীন ভোটকেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য
• কার্ডের তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন/হালনাগাদের জন্য আবেদন। বিস্তারিত
• ঠিকানা অথবা ভোটার এলাকা পরিবর্তন/সংশোধন/হালনাগাদের আবেদন
• হারানো/নষ্ট কার্ড পুনর্মূদ্রনের আবেদন । বিস্তারিত
• ছবি,স্বাক্ষর ইত্যাদি পরিবর্তনের এপয়েন্টমেন্ট করা
• আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি…
খ। প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী
• তথ্য পরিবর্তনের জন্য, তার সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করুন।
• সাধারন জিজ্ঞাসা লিংকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্য দেখুন।
জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য হালনাগাদ এর জন্য কি কি দলিলাদি প্রয়োজন?
১) জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর নাম (বাংলা/ইংরেজি) এবং জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্ত সংশোধনের স্বপক্ষে, ক্ষেত্রমত, নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র/তথ্যাদি জমা দিতে হইবে, যথা:-
(ক) শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হইলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র;
(খ) শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান না হইলে এবং তিনি সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত কিংবা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থায় চাকুরীরত হইলে, চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও);
(গ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/ট্রেড লাইসেনস/কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি;
(ঘ) নামের আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, প্রার্থিত পরিবর্তনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি [এসএসসি সনদ/পাসপোর্ট/চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)/ড্রার্ইভিং লাইসেনস, যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য] ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি;
(ঙ) ধর্ম পরিবর্তনের কারণে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি এবং আবেদনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেনস/জন্ম নিবন্ধন সনদ, ইত্যাদি যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।
(২) বিবাহ বা বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য কোন কারণে কোনো মহিলা তাহার নামের সহিত স্বামীর নামের অংশ (টাইটেল) সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধন করিতে চাহিলে, তাহাকে কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিবাহ বিচ্ছেদ ডিক্রির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৩) পিতা/মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান সনদপত্র (যদি উহাতে পিতা/মাতার নাম উল্লিখিত থাকে) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৪) পিতা/মাতার নামের পূর্বে “মৃত” অভিব্যক্তিটি সংযোজন বা বিয়োজন করিতে চাহিলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা তাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ও জীবিত থাকিবার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউনিসলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হইবে।
(৫) ঠিকানা (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) সংশোধনের ক্ষেত্রে, সঠিক ঠিকানার স্বপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৬) রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে, উহার স্বপক্ষে ডাক্তারী সনদপত্র জমা দিতে হইবে।
(৭) শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৮) টিআইএন/ড্রাইভিং লাইসেনস নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর সংশোধনের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, টিআইএন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/পাসপোর্টের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৯) অন্যবিধ যে কোনো সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্তরূপ সংশোধনের স্বপক্ষে উপযুক্ত সনদ, দলিল ইত্যাদির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(১০) আবেদনপত্রের সহিত দাখিলকৃত অনুলিপিসমূহ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সত্যায়ন করিতে পারিবেন: (ক) সংসদ সদস্য, (খ) স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, (গ) গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা, এবং (ঘ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান।
(১১) অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট সম্পর্কে মতামত প্রাদান করুন
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড এর ওয়েবসাইট সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে চান তাহলে সেটাও করতে পারবেন । যদি আপনি আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করতে চান তাহলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। মতামত জানানোর পেজ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আপনার মতামত লিখুন লিখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন ।
আপনার মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় থাকি আমরা। এই পোস্টটি যদি আপনার ভাল লাগে অথবা কাজে আসে তাহলে দয়া করে নিচে আপনার মতামত জানাবেন। আর যদি এই পোষ্টটি সম্পর্কে আপনার আরও জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুন। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ভোটার আইডি কার্ড চেক করা অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার পরিচিত কাউকে জানাতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করুন।