টাকা বাঁচিয়ে রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল!

ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করাটা খুবই জরুরি। যাতে ভবিষ্যতে কোন কারণে অর্থের সমস্যা হলে, সঞ্চয় করা সেই অর্থ দিয়ে অসুবিধা দূর করা যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না, কীভাবে টাকা জমাবো। হাতে টাকা এলেই খরচ করে ফেলা আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। আপনারও যদি তেমন অভ্যাস হয়ে থাকে, তাহলে সঞ্চয়ের কয়েকটা উপায় জেনে নিন। আর ভবিষ্যৎ সুন্দর করুন।

 

১) হাতে নগদ টাকা রাখার থেকে আমরা এখন অনেক বেশি কার্ড ব্যবহারে অভ্যস্থ। এতে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনই অসুবিধাও রয়েছে। কার্ড ব্যবহারের ফলে, আমাদের কাছে নগদ টাকা রাখার দরকার পড়ে না। টাকার নিরাপত্তা নিয়েও মনে সংশয় থাকে না। একসঙ্গে প্রচুর টাকা সঙ্গে নিয়ে ঘোরা নিরাপদও নয়। তেমন এর উল্টোদিকটাও রয়েছে। কার্ড ব্যবহারের ফলে আমাদের কাছে টাকাটা খুব সহজলভ্য হয়ে যায়। কত টাকা খরচ করা হচ্ছে, তার কোন হিসেব থাকে না। তাই সঞ্চয় করার ইচ্ছে থাকলে, কার্ড ব্যবহার কমিয়ে দিন।

২) ইলেকট্রিকের খরচ কমান। অপ্রয়োজনীয়ভাবে ইলেকট্রিক খরচ করবেন না। অযথা পাখা, আলো কিংবা এমন অনেক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস আমরা ব্যবহার করে থাকি কিংবা শুধু শুধুই সারাদিন জ্বলতে থাকে, যার প্রয়োজন নেই। শুধু যেটুকু প্রয়োজন, সেইটুকু ইলেকট্রিকের ব্যবহার করুন। তাহলেই দেখবেন খরচ অনেক কমে গিয়েছে।

৩) আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই অপ্রয়োজনীয় প্রচুর জিনিস পড়ে থাকে। যা আমরা ব্যবহার করি না। যেমন ধরুন, নতুন একটা মোবাইল ফোন কেনার পর কি আপনি আপনার পুরনো ফোনটা ব্যবহার করেন? এরকমই জিনিস যা ব্যবহার করছেন না, সেগুলো বিক্রি করে দিন। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পুরনো জিনিস কম দামে কিনতে চান। তাদেরও দরকার মিটল আর আপনিও পুরনো জিনিসটির পরিবর্তে কিছু টাকা পেলেন। এবার এভাবে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে টাকাগুলো খরচ না করে জমিয়ে রাখুন।

৪) সুপারমার্কেটে প্রায়ই পুরনো জিনিস বিক্রির বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়। সেখানে পুরনো জিনিস বিক্রি করে দিতে পারেন। এছাড়া হামেশাই কম দামে জিনিস কেনার সুযোগ আমরা পেয়ে থাকি। এমন সুযোগ পেলে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো একবারে বেশি পরিমানে কিনে নিন। দেখবেন আপনার অনেক টাকা বেঁচে গিয়েছে।

৫) আধুনিক হওয়ার জন্য কিংবা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমরা এমন অনেক কিছুই করে থাকি, যা না করলেও চলে। যেমন ধরুন বিভিন্ন জিনিসের সাবস্ক্রিপশন। যদি আপনি অনলাইনে খবর পড়েন, তাহলে বাড়িতে খবরের কাগজ নেওয়া বন্ধ করে দিন। তেমনই, যদি আপনি নিয়মিত জিম কিংবা ক্লাবে না যান, তাহলে সেখানকার মেম্বারশিপ বাতিল করে দিন। বার্ষিক অনেক টাকা বেঁচে যাবে।

৬) বাড়িতে থাকাকালীন আপনি যদি ওয়াই-ফাই কিংবা ইন্টারনেটের বিশেষ ব্যবহার না করেন, তাহলে বাড়ির ইন্টারনেট কানেকশনের পরিমান কমিয়ে দিন। যদি একান্তই ইন্টারনেটের দরকার পড়ে, তাহলে অল্প টাকার ইন্টারনেট প্যাক ব্যবহার করুন।

৭) বাইরের খাবার খেতে আমরা সকলেই ভালোবাসি। বাড়ির খাবার একটানা ভালো না লাগলেই হোটেলে লাঞ্চ, ডিনার করতে চলে যাই। কিন্তু এভাবে প্রতিদিন হোটেলের খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরও সু্স্থ থাকে, আর খরচও বাঁচে। বাড়ির খাবার খাওয়াই সবথেকে ভালো। আর একান্তই যদি হোটেলের খাবার খেতে ইচ্ছে করে, তাহলে ইন্টারনেট থেকে যা যা খাবার পছন্দ, তার রেসিপি জেনে নিন। আর নিজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন। হোটেলের খাবারও খাওয়া হবে, আর খরচও কম হবে।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *