সব মানুষই চায় নিজের সফলতা নিজেই আনতে। কেউই পরনির্ভরশীল হতে চায়না, কিন্তু বর্তমান সমাজ ও দেশের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে অনেকেই তার নিজের স্বপ্নকে মাটি চাপা দিয়ে অন্যের প্রতিষ্ঠানে গাধার খাটুনি খাঁটছে।
কিন্তু এখন আর সেই সময়টি নেই। কারণ এখন চাইলেই নিজের ইচ্ছেতেই বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করা যায়। বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার জন্য চাই শুধুমাত্র ধৈর্য আস্থা এবং বিশ্বাস। বর্তমানে বেশিরভাগ তরুণরাই পরনির্ভরশীল কাজের দিকে না ঝুঁকে নিজেই চেষ্টা করছে নিজেদের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করার।
বর্তমানে এরকম বহু তরুণ-তরুণী রয়েছে যারা নিজের একটি কর্মসংস্থান হিসেবে ই-কমার্স নামক ব্যবসাটি শুরু করেছেন। এরকম আরো অনেক ব্যবসা রয়েছে যাতে করে কম পুঁজিতে বা বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করা যায়। এছাড়াও অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলোতে নগদ অর্থ ছাড়াও ব্যবসা করা যায়।
চলুন জেনে নেয়া যাক নগদ পুঁজি ছাড়া ব্যবসা করার কৌশল এবং এর বিস্তারিতঃ
নিজের তৈরি পণ্যের ব্যবসা: টাকা ছাড়া ব্যবসা শুরু করা যায় না এটি শুধু মাত্র অলস মানুষের বাণী। কারণ, অসংখ্য ব্যবসায় রয়েছে, যেগুলো আপনি চাইলেই শুরু করতে পারেন। আর যদি আপনি একজন সৃষ্টিশীল মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আর কথাই নেই।
ধরুন, আপনার চিত্রাঙ্কনে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। এমতাবস্থায় আপনি যদি চান, যে আপনার চিত্রকর্ম পৃথিবীর মানুষ দেখুক এবং বিনিময়ে টাকা উপার্জন হোক। তাহলে আর ভাবনা নেই। চাইলেই শুরু করতে পারেন নিজের ব্যবসায়। ভাবছেন ব্যবসায় শুরু করার টাকা কোথায় পাবেন? চিন্তা নেই, এই আধুনিক পৃথিবী আপনার মতো সৃষ্টিশীল মানুষদের জন্য খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার দরজা।
আপনি চাইলেই আপনার চিত্রকর্ম কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আমাজন, ইবে সহ আরও অসংখ্য অনলাইন দোকানে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে লাভ করতে পারেন প্রচুর অর্থ। খুব সহজ, তাইনা? তাহলে আর দেরি কিসের, শুরু করে দিন আপনার স্বপ্নের ব্যবসা।
কন্টেন্ট সরবরাহ: আজকের আধুনিক পৃথিবীতে যোগাযোগ খুবই সহজ। মিনিটেই মানুষ পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারছে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের কর্মক্ষেত্রের আকার। এই কর্মক্ষেত্র বৃদ্ধির পেছনে কাজ করে যাচ্ছে অনেকগুলো অনলাইন মার্কেট প্লেস। আর এই অনলাইন মার্কেট প্লেসের মধ্যে একটি হচ্ছে ফাইবার।
এখন জেনে নেয়া যাক বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত:
০১. পরিকল্পনা: ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান শুরু করতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন। যদি আপনিও ব্যবসায় শুরু করতে চান। তাহলে সবার আগে একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন। যেখানে ব্যবসায়ের সকল খুঁটিনাটি বিষয়ের পূর্ণ আলোচনা থাকবে।
০২. বিজনেস লাইসেন্স: প্রতিটি দেশে ব্যবসায় শুরু করতে হলে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়। তেমনি আমাদের দেশেও ব্যবসায়ের ধরন অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়।
০৩. বাজারজাতকরন বা মার্কেটিং: প্রতিটি ব্যবসায় পরিচালিত হয় অর্থের দ্বারা। আর এই অর্থ উপার্জন সম্ভব হয় প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা গ্রাহকের নিকট পৌঁছানোর মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় সঠিক বাজারজাতকরন তথা মার্কেটিং এর ওপর।
০৪. উপকরণ: ব্যবসায় শুরু করতে উপকরণ প্রয়োজন। তবে সকল ব্যবসায় উপকরণ লাগে, এই ধারণা সঠিক নয়। কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো সামান্য কিছু উপকরণ নিয়েই শুরু করা যায়। আবার কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো শুরু করতে কোনো প্রকার উপকরণের প্রয়োজন হয় না। আর এই সকল ব্যবসায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করবো।
০৫. পণ্য: একটি ব্যবসায়ের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে পণ্য বা সেবা। এই পণ্য বা সেবা গ্রাহকের নিকট পৌঁছানোর মাধ্যমেই প্রতিটি ব্যবসায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসায়ের লভ্যাংশ উপার্জন সম্ভব হয়। আর এই লভ্যাংশের দ্বারা প্রতিটি ব্যবসায় টিকে থাকতে পারে।