বিশ্বের জনপ্রিয় ১২টি পেশা সম্পর্কে জেনে নিন । জানলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে । Most Popular profession in the world all the time

Most Popular profession in the world all the time

 

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ, আশা করছি আপনারা বেশ ভালো আছেন । আজকে আমরা আলোচনা করব  Most Popular profession in the world all the time নিয়ে।  এই 100 টির মধ্যে থেকে যে কোন একটি নিজের জন্য বেছে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে কি করব কি করব এমনটা না ভেবে এখান থেকে যেকোন একটা সিলেক্ট করুন এবং সেই পথে অগ্রসর হন।  হয়তো অনেকেই অলরেডি অনেক সময় পার করে এসেছেন তাদেরকে বলি। আমরা চাইলে কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই .১০০ টি ক্যারিয়ারের মধ্য থেকে যে কোন একটি ক্যারিয়ারকে বেছে নেওয়ার জন্য সহায়তা করতে পারি। ভূমিকা বাদ দিয়ে বরং মূল আলোচনায় ঝাঁপ দেওয়াই ভাল হবে।

১. সফটওয়্যার ডেভলপার

বর্তমানে জনপ্রিয় সব ক্যারিয়ারের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করতে পেরেছে সফটওয়্যার ডেভলপারগণ। সফটওয়্যার ডেভলপার এ কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করা। তৈরিকৃত সফটওয়্যার এর উন্নয়ন,  সঠিক সংরক্ষণ,  নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি ।একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার চাইলে নিজের প্রতিষ্ঠান করে ব্যবসা করতে পারেন অথবা বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তে চাকরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সফটওয়্যার ডেভলপার হতে হলে নিজেকে অনেক সাধনার মধ্য দিয়ে নিতে হবে।  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রচুর প্র্যাকটিস এর মাধ্যমেই একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার পরিপূর্ণ সফটওয়্যার ডেভলপার এ পরিণত হয়।

২. ডেন্টিস্ট

বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয় পেশা হচ্ছে ডেন্টিস্ট। একজন ডেন্টিস্ট মূলত দাঁতের চিকিৎসা করেন। দাঁতের ক্ষয় দূর করতে সহায়তা করেন, গহ্বর পূরণ করে এবং ভঙ্গুর দাঁত মেরামত করে।  এছাড়া দাঁতের চিকিত্সকরা রোগীদের দাঁত, মাড়ি এবং মুখের বিভিন্ন অংশের সমস্যাগুলি সনাক্ত করে এবং চিকিত্সা করেন। তারা দাঁত এবং মাড়ির যত্ন নেওয়ার এবং মুখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এমন ডায়েটের পছন্দ সম্পর্কে পরামর্শ এবং নির্দেশনা দেন।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি,  চিটাগং ইউনিভার্সিটি  এবং রাজশাহী ইউনিভার্সিটি তে এফিলিয়েটেড ডেন্টাল কলেজ রয়েছে । এই ডেন্টাল কলেজগুলোর থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে ডেন্টিস্ট হওয়া যাবে। এছাড়া এছাড়া আমাদের দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউশন থেকে বিভিন্ন মেয়াদী ডেন্টাল কোর্স করা যায়। দীর্ঘমেয়াদী অথবা স্বল্পমেয়াদী যে কোন একটা কোর্স করে  আপনি একজন ডেন্টিস্ট হতে পারবেন।

৩. ফিজিশিয়ান এসিস্ট্যান্ট

পৃথিবীর জনপ্রিয় পেশা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি পেশা হচ্ছে ফিজিশিয়ান এসিস্ট্যান্ট । একজন ফিজিশিয়ান এসিস্টেন্ট মূলত একজন চিকিৎসকের সমান কাজই করেন। তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে রোগীর রোগ নির্ণয় করা,  সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার সুপরিকল্পনা করা, মেডিসিন প্রেসক্রাইব করা এবং মাঝে মাঝে রোগীর গার্ডিয়ান হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি। সঠিক এবং সুনির্দিষ্ট ট্রেনিং এর মাধ্যমেই ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়া যায়। আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফিজিশিয়ান এসিস্টেন্ট এর উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া যায়। যেহেতু এটি একটি জনপ্রিয় পেশা তাই এই বিষয়ে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়তে পারলে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

৪. অর্থদনটিস্ট

বিশ্ব জনপ্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অর্থদনটিস্ট।  একজন ডেন্টিস্ট এর মতই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।  একজন অর্থদনটিস্ট কাউন্সেলিং করা,  চিকিৎসার ব্যয়,  দেন্টাল ইকুইপমেন্ট সাপ্লাই করা, দন্ত চিকিৎসা প্রদান করা ইত্যাদি কাজ করেন । এছাড়াও রোগীর চিকিত্সার পরিকল্পনাগুলি বিকাশের জন্য মেডিকেল বা ডেন্টাল হিস্ট্রি, দাঁতের প্লাস্টার মডেল, রোগীর মুখ এবং দাঁতের ছবি এবং এক্স-রে এর মতো ডায়াগনস্টিক রেকর্ড এনালাইসিস করেন। আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্প মেয়াদী বিভিন্ন ধরনের পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।  দীর্ঘমেয়াদী অথবা স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। এই খাতগুলোতে এখনো পর্যন্ত প্রচুর জনবলের অভাব রয়েছে তাই আমরা চাইলেই কিন্তু এই খাতে নিজেদের ক্যারিয়ার ডেভলপ করতে পারি।

৫. নার্স  প্র্যাকটিশনার

একজন নার্স সাধারণত একজন ফিজিশিয়ানের মতই দায়িত্ব পালন করেন। একজন ফিজিশিয়ানের অথবা ডক্টরের কাজকর্মকে সহজ করে দেওয়ার জন্য নার্সরা দায়িত্ব পালন করেন। রোগীর রোগ নির্ণয় হিস্টরি এনালাইসিস, রোগীর সঠিক পরিচর্যা, মেডিসিন সরবরাহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো  করেন। আমাদের বাংলাদেশে নার্সদের বেশ কদর রয়েছে।  নার্স হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারলে ভবিষ্যতে ভালোই কাটবে বলে ধারণা করা যায়। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সরকারি অথবা বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।  এছাড়া রেজিস্টার্ড নার্স হতে পারলে তো সোনায় সোহাগা।

৬. স্টাতিস্টিশিয়ান বা পরিসংখ্যানবিদ

বড় বড় গবেষণার কাজ পরিচালনা করার জন্য পরিসংখ্যানবিদের তুলনা হয়না।  বিশেষ করে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য স্বাস্থ্য খাত, জনসংখ্যা উন্নয়ন খাত,  অবকাঠামো উন্নয়ন খাত ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজের গবেষণায় কার্য পরিচালনা করার জন্য সঠিক তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে।  কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং তা থেকে কিভাবে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হবে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ই একজন পরিসংখ্যানবিদ করেন। পরিসংখ্যানবিদ হতে হলে অর্থনীতির ওপরে অথবা পরিসংখ্যান এর উপরে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে হবে।আমাদের বাংলাদেশে সরকারি খাতে পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি নিতে হবে।  এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। কারণ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যকরী চালনা করে।

৭. ফিজিশিয়ান বা চিকিৎসক

ফিজিশিয়ান বা চিকিৎসকের পেশা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমাদের বাংলাদেশীরা খুব ভাল করেই  জানি।  কারণ ছোটবেলায় আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন থেকে বড় হয়ে ডাক্তার হব।  কিন্তু ছোটবেলায় সে স্বপ্ন থাকে যদি বড় বেলায় বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে সেটা অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একজন চিকিৎসক হতে হলে আমাদের বাংলাদেশ নবম শ্রেণী থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়।   ডাক্তার হতে হলে নবম শ্রেণীতে সাইন্স ক্যাটাগরিতে পড়াশোনা শুরু করতে হবে।   তারপর এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে।  ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

একজন চিকিৎসক সাধারণত কোন সরকারি অথবা বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেন তার বিনিময়ে হসপিটাল থেকে বেতন নেন অথবা রোগীর কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন বাবদ একটা নির্দিষ্ট ফি নেন। একজন চিকিৎসক আরো অনেক ভাবেই উপার্জন করতে পারেন।

৮. ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট

জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আরও একটি জনপ্রিয় পেশা হচ্ছে ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট।  যাদের কথা জনতা থাকে,  সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না, কমিউনিটি ডিস্টিল ভালো না  অর্থাৎ অটিস্টিক রোগীদের ইম্প্রুভ করতে সহায়তা করেন। আমাদের বাংলাদেশেও ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট পেশাজীবীদের ভালো চাহিদা রয়েছে।  বাংলাদেশ অটিস্টিক শিশুদের পড়াশোনার জন্য আলাদা ইন্সটিটিউশন রয়েছে যেখানে ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়া যারা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক চলাচল এবং কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তাদেরও চিকিৎসা দেন।এই পেশাটি মোটামুটি ইউনিক কিন্তু বেশ চাহিদা সম্পন্ন।  বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অথবা মেডিকেল ইনস্টিটিউট থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট হওয়া যায়।

৯. ওরাল এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন

ওরাল এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন সাধারণত নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ।  ওরাল এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জনরা , চেহারা, মুখ এবং চোয়ালে অস্ত্রোপচার করেন। এই পেশাদাররা কমপক্ষে চার বছরের অতিরিক্ত শল্যচিকিত্সার প্রশিক্ষণ নিয়ে দন্তচিকিত্সক হন, তাই তারা মুখের আঘাতজনিত চিকিত্সা থেকে ফাটা ঠোঁট ফিক্সিং পর্যন্ত সব কিছু করতে পারেন। তারা মাথা, ঘাড় এবং মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সনাক্ত এবং চিকিত্সা করতে পারে। এমনকি তারা  অ্যানাস্থেসিয়া পরিচালনা করতে এবং ফেস-লিফ্টের মতো প্রসাধনী শল্য চিকিত্সাও করতে পারে। তবে তাদের বিশেষত্ব সুনির্দিষ্ট হলেও, চেহারা, মুখ এবং চোয়ালে চিকিত্সা ও পরিচালনা করতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে।

এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইলে অনেক সাধনার প্রয়োজন রয়েছে । প্রথম থেকেই যাদের প্রস্তুতি থাকবে  তারাই হয়তো শেষ পর্যন্ত এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে।  কারণ এখানে শুধুমাত্র একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করেই এই পেশায় সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না।  একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করার পর দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেনিং নেওয়ার পর এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করা যাবে।

১০. Veterinarian

জানিনা বাংলাদেশের পেশাটার কতটা কদর রয়েছে।  তবে বিশ্বের জনপ্রিয় পেশাগুলোর মধ্যে এটির অবস্থান দশে রয়েছে। ভেটেরিনারি চিকিৎসকগণ সাধারণত পশুপাখিদের চিকিৎসা করেন।  পশুপাখিদের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন সাজেশন করা,  প্রেসক্রাইব করা,  ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা,  পশুপাখির উন্নত জাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা করা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করেন।

আমাদের বাংলাদেশ পশু চিকিৎসকের জন্য শর্ট টাইম এবং ফুলটাইম দু’ধরনের পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী পড়াশোনা কমপ্লিট করতে পারলে এখানে গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারকে অনেকদূর এগিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এছাড়া স্বল্পমেয়াদী কোর্স কমপ্লিট করার মাধ্যমে আমরা ভেটেরিনারি চিকিৎসা দিয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারব।

১১. মেডিকেল এন্ড হেলথ সার্ভিস ম্যানেজার

চমকপ্রদ সব পেশার মধ্যে মেডিকেল সার্ভিস ম্যানেজার একটি আকর্ষণীয় পেশা । যদিও একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ডাক্তাররাই মূল ভূমিকা পালন করে কিন্তু একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান অথবা একটি অরগানাইজেশন কে পরিচালনা করার জন্য একজন দক্ষ পরিচালক এর প্রয়োজন রয়েছে।মেডিকেল এন্ড হেলথ সার্ভিস ম্যানেজারগণ ডাক্তারদের বিভিন্ন ধরনের মিটিং পরিচালনা করা,  সঠিকভাবে গবেষণা কার্য পরিচালনা করা, স্বাস্থ্যসেবাকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, রোগীদের কে উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের নিশ্চয়তা অর্জন করা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এই পদে চাকরির ভালো সুযোগ রয়েছে ।

১২. আইটি ম্যানেজার

দেশে-বিদেশে অনেক বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।  এই আইটি প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক বড় বড় সমস্যা কি সমাধান করার জন্য স্মার্ট কিছু উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।  প্রত্যেকটি আইটি প্রতিষ্ঠানে প্রচুর লোক কাজ করে। প্রত্যেকটি বড় বড় অর্গানাইজেশন এর মতো এখানেও গবেষণা কার্যকরী চালনা করতে হয়,  জরুরী  মিটিং করতে হয়, কঠিন কঠিন সমস্যার গুলো কিভাবে সহজ সমাধান বের করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করতে হয়, আর এসব কাজ কিভাবে সঠিকভাবে আদায় করবে সেটা আইটি ম্যানেজার এর কাজ।  আইটি ম্যানেজাকে আইটি বা কম্পিউটার টেকনোলজি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। যথেষ্ট চতুর হলেই এই পেশায় সম্পৃক্ত হওয়া সম্ভব অন্যথায় সম্ভব নয় কারণ এখানে যারা কাজ করেন তারা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড।  ট্যালেন্টেড লোকদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য একজন আইটি ম্যানেজার কে আরো বেশি ট্যালেন্টেড হতে হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *