২-৩ হাত দূরে ছিল কার্গো, কিছুই হবে না বলে যাত্রীদের ‘ধমক দেন লঞ্চ চালক’
নারায়ণগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন মালবাহী জাহাজ রূপসী-৯ পেছন থেকে চাপা দিলে ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আশরাফ উদ্দিন-২।
ডুবে যাওয়া আফসার উদ্দিন লঞ্চের যাত্রী শেখ জাকির ঘটনার বর্ণনা করছিলেন। ‘কার্গো জাহাজটি ঠিক ২-৩ হাত দূরে ছিল। তখন আমরা কয়েকজন যাত্রী মিলে লঞ্চচালকের কাছে যাই। তাকে বলি কার্গো জাহাজটি লঞ্চের কাছাকাছি এসে পড়েছে। কিন্তু সে ধমক দিয়ে বলে কিছুই হবে না। তারপর আমরা লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিই। আর ২-৩ মিনিট লঞ্চে অবস্থান করলে আমরা লঞ্চের সঙ্গে পানিতে তলিয়ে যেতাম। ৩০-৪০ সেকেন্ড ধরে কার্গোটি লঞ্চটিকে ঠেলে নিয়ে যায়।’
আজ রোববার দুপুর সোয়া ২ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় রুপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ।
শেখ জাকির হোসেন বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ এসেছিলাম ভ্যাকসিন দিতে। এরপর কাজ শেষ করে মুন্সিগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ ঘাট থেকে লঞ্চে উঠি। লঞ্চটি কিছুদূর যাওয়ার পর বড় কার্গো জাহাজটিকে দ্রুত গতিতে লঞ্চের পিছনে আসতে দেখা যায়। যখন খুব কাছাকাছি এসে পড়ে তখন যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দূরে থাকা অবস্থাতেও কার্গো জাহাজটি লঞ্চটিকে হর্ন দেয়নি। লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দিয়ে তারপর হর্ণ বাজিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে কার্গোটি।।’
তিনি আরও বলেন, ‘চালককে জানানোর পর আমরা ৩জন নদীতে ঝাপ দেই। আরও ২-৩ মিনিট লঞ্চে অবস্থান করলে তাহলে আমরাও ডুবে যেতাম। আমাদের সাথে ২০-২৫ জন যাত্রী নদীতে ঝাপ দেয়। তাছাড়া কয়েকজনকে অন্য লঞ্চ এসেও উদ্ধার করে।’