৭ম শ্রেণি হিন্দুধর্ম শিক্ষা: ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (PDF)

৭ম শ্রেণি হিন্দুধর্ম শিক্ষা ৭ম অধ্যায় : জগতের সকল মানুষ এক রকম নয়। কেউ কেউ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। সবসময় নিজের মঙ্গলের কথাই চিন্তা করে। এরা সাধারণ মানুষ। আবার কেউ কেউ আছেন এর বিপরীত। তারা অপরের মঙ্গলের কথাও চিন্তা করেন। নিজের ক্ষতি হলেও অপরের মঙ্গল করেন। কেউ কেউ সংসারের সুখ ত্যাগ করে জগতের মঙ্গল সাধন করেন।

এঁরা হলেন মহাপুরুষ বা মহীয়সী নারী। এঁদের জীবনচরিতই আদর্শ জীবনচরিত। এঁদের জীবনী থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়তে পারি। এঁদের পথ অনুসরণ করে আমরাও জগতের মঙ্গল করতে পারি। এ অধ্যায়ে এর্প ছয়জন মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারীর বান্দনা করা হলো। তারা হলেন – শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্য, স্বামী বিবেকানন্দ, মা সারদা দেবী, সাধক রামপ্রসাদ এবং প্রভু জগদন্ধু।

৭ম শ্রেণি হিন্দুধর্ম শিক্ষা ৭ম অধ্যায়

১. অধ্যাপিকা চিত্রলেখা কৃষ্ণভক্ত, অত্যন্ত মেধাবী ও অমায়িক। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে অধ্যাপনা করার পাশাপাশি মানুষের জাগতিক ও আত্মিক উন্নয়নমূলক গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি তাঁর সন্তানের বিয়ে অন্য বর্ণে সম্পন্ন করেছেন। তিনি সবসময় মানুষের ও সমাজের উন্নতির কথা ভাবেন। উদারতা ও ভালোবাসা দিয়ে সবাইকে হাসিমুখে জয় করেন। তাঁর এই নিরহংকার আদর্শ সকলকে আকৃষ্ট করে। যেকোনো বাধাবিপত্তি আসলেও তিনি তা হাসিমুখে জয় করেন।

ক. মহাপুরুষ কাকে বলে?
খ. ‘কৃষ্ণভজনে নাহি জাতি কুলাদি বিচার’-বাণীটির অর্থ বুঝিয়ে লেখ।
গ. শ্রীচৈতন্যের আদর্শের কোন দিকটি অধ্যাপিকা চিত্রলেখার আচরণে প্রতিফলিত হয়েছে, ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নিরহংকার আদর্শ সবাইকে আকৃষ্ট করেÑউদ্দীপক ও শ্রীচৈতন্যের দৃষ্টান্তের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

২. অনিমেষ একজন উদ্যমী ও প্রাণবন্ত যুবক। পাড়ার অন্য ছেলেদের নিয়ে একটি সমিতি গড়ে নানা প্রকার সমাজসেবামূলক কাজ করে। গ্রামের লোকের অর্থসংস্থানের জন্য তারা একটি কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। গ্রামে শিক্ষাবিস্তারের জন্য ছোটদের পাঠশালা ও বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রও গড়ে তোলে। মানুষের বিপদে-আপদেও নানারকম সাহায্য-সহযোগিতা করে। এছাড়া মানুষের মানসিক ও আত্মিক উন্নয়নের জন্য সন্ধ্যার পর কাজের অবসরে ছেলেদের নিয়ে গ্রামে নামসংকীর্তন ও ধর্মসভার আয়োজন করে। এভাবে অনিমেষ ও তার সমিতির নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অনিমেষ তৃপ্ত এই ভেবে যে, সৎচিন্তা ও কাজের মাধ্যমে পাড়ার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছে।

ক. স্বামী বিবেকানন্দের দীক্ষাগুরু কে?
খ. ‘জীবসেবাই ঈশ্বরসেবা’- ব্যাখ্যা কর।
গ. অনিমেষের কার্যাবলি স্বামী বিবেকানন্দের কোন শিক্ষার সাথে মিল রয়েছে-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সৎচিন্তা ও কাজের দ্বারা মানুষের মধ্যে একাত্মতা গড়ে তোলা সম্ভব’- কথাটি স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষার প্রতিফলন – মূল্যায়ন কর।

৩. দুর্গাপুর গ্রামে স্বপন নামের একটি ছেলে ছিল। তার মামা তাকে হত্যা করার জন্য বহু চেষ্টা করেও সফল হয়নি। স্বপন তার বন্ধুদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উপকার ও নানা বিপদ থেকে রক্ষা করত। তার মামা কখনই চায় নি সে বেঁচে থাকুক। কিন্তু তার বেঁচে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য মঙ্গলকর ছিল। এখানেই ভালো আর মন্দের পার্থক্য বিরাজমান।
[ পাঠ-১, ২ ও ৩ ]

ক. অঘাসুর কে? ১
খ. স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মসভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন কেন?
গ. উদ্দীপকের স্বপনের জীবন কার সাথে মিলে যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সপনের মাঝে যে মনীষীর গুণাবলি বিদ্যমান সে মনীষীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর।

৪. জয়ফল সংসারধর্ম ত্যাগ করে নাম প্রচার শুরু করেন। প্রভুর নামকেই তিনি আপন করেন। তিনি কোনো ভেদাভেদ মানেননি। তাই তিনি জাতিভেদের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং একজন মহাপুরুষের নীতিশিক্ষা মেনে চলেন। [ পাঠ-৪, ৫ ও ৬ ]
ক. কে শ্রীকৃষ্ণকে হত্যার চেষ্টা করেন?
খ. অঘাসুরের পরিচয় দাও।
গ. উদ্দীপকে জয়ফলের সাথে কোন মনীষীর মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত মনীষীর নীতিশিক্ষার গুরুত্ব ব্যবহারিক জীবনের জন্য অপরিসীম? মতামত দাও।

৫. বিষ্ণুপদ একজন মহাপুরুষের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, যিনি সাধনার দ্বারা মা কালীকে কন্যারূপে দর্শন করেছেন। বিষ্ণুপদ তাই একনিষ্ঠভাবে মায়ের আরাধনা করতেন। তিনি মনে করতেন, একনিষ্ঠ সাধনার মায়ের দর্শন লাভ করা যায়। [ পাঠ-৭, ৮ ও ৯ ]

ক. প্রভু জগদ্বন্ধুর পিতা কে ছিলেন?
খ. স্বামী বিবেকানন্দের নামকরণ কীভাবে হয়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষ্ণুপদ কোন মহাপুরুষের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “একনিষ্ঠ সাধনায় মায়ের দর্শন লাভ করা যায়।”- উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

৬. চৈতিদেবীর সবাইকে পর ভাবেন। ঈশ্বরচিন্তা তাকে কখনো ভাবায় না। তাই তার গুরু এক সাধিকার জীবনানুসারে তার নীতিশিক্ষাগুলো তাকে বুঝিয়ে বলেন। সাধিকার নীতির দ্বারা চৈতিদেবী অনুপ্রাণিত হন। সংসারে থেকেও তিনি তার জীবনধারায় পরিবর্তন আনেন। ঈশ্বরলাভে মনোনিবেশ করেন। [ পাঠ-১০, ১১ ও ১২ ]

ক. বিবেকানন্দের প্রকৃত নাম কী? ১
খ. নিমাই কীভাবে নাম প্রচার করতেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চৈতিদেবীর জীবনাচরণ কার জীবনাচরণের দ্বারা পরিবর্তন হয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সাধিকার নীতিগুলো পাঠ্য বইয়ের আলোকে আলোচনা কর।

৭. সুভাষ নিজের চোখে মানুষের অবস্থা দেখার জন্য বেরিয়ে পড়েন দেশের পথে পথে। তিনি চারদিকে দারিদ্র্য, অশিক্ষা দেখে খুব কষ্ট পেলেন। এ থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে লাগলেন। তিনি সত্য ধর্মপ্রচার করতে লাগলেন। নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে যেতে বলেন তিনি। “সত্যই সকল ধর্মের ভিত্তি।”-তা প্রচার করতে থাকেন। [ পাঠ-১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ ]

ক. রামপ্রসাদ কে?
খ. মহানাম সম্প্রদায় কীভাবে গড়ে উঠেছে?
গ. উদ্দীপকের সুভাষের জীবন কোন মনীষীর জীবনের প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সত্যই সকল ধর্মের ভিত্তি।’ – উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

অতিরিক্ত অনুশীলনীমূলক প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ গোপেরা গোকুল ছেড়ে বৃন্দাবনে গেল কেন?
উত্তর : কংস কৃষ্ণ ও গোকুলের শিশুদের হত্যা করতে চাইলে শ্রীকৃষ্ণ তাদের রক্ষা করতেন। এতে মথুরার রাজা কংস তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ব্যর্থ হয়ে সে গোকুলের গোপদের ওপর অনেক অত্যাচার করত। এ অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে তারা গোকুল ছেড়ে বৃন্দাবন চলে গেল।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বৎসাসুর কীভাবে শ্রীকৃষ্ণকে হত্যা করার চেষ্টা করে?
উত্তর : বৎসাসুর ছিলেন রাজা কংসের অনুচর। একদিন শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম এবং অন্য গোপ বালকেরা গরু চরাচ্ছিলেন। তখন সে বাছুররূপে গরু-বাছুরের সাথে মিশে গিয়ে তাকে মারতে চেয়েছিল। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের সাথে অন্য যারা ছিলেন তারা কেউ বুঝতে না পারলেও শ্রীকৃষ্ণ তাকে ঠিকই চিনলেন। তখন তিনি বাছুররূপী বৎসাসুরের লেজ ও দু’পা ধরে গাছের সাথে জোরে আছাড় মারলেন। বৎসাসুর মারা গেল।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কীভাবে কেশব মিশ্রের অহংকারের পতন হয়?
উত্তর : কেশব মিশ্র ছিলেন কাশ্মীরের একজন বিখ্যাত পণ্ডিত। তিনি বিভিন্ন স্থানের পণ্ডিতদের শাস্ত্রবিচারে পরাজিত করে একদিন নবদ্বীপে এসে সগর্বে পণ্ডিতদের প্রতি ঘোষণা করেন, ‘হয় তর্ক বিচার করুন, না হয় জয়পত্র লিখে দেন।’ নবদ্বীপের পণ্ডিতরা তার পাণ্ডিত্যের কথা জানতেন বলে ভীত হয়ে পড়েন। কিন্তু নিমাই বিনয়ের সাথে এগিয়ে আসেন। তার অনুরোধে কেশব মিশ্র মুখে মুখে শতাধিক শ্লোক রচনা করেন। এরপর নিমাই শ্লোকগুলোতে ভুল ধরিয়ে দেন। কেশব মিশ্র মাথা নত করে নিজের ভুল স্বীকার করেন। এভাবে কেশব মিশ্রের অহংকারের পতন হয়।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ সমাজের ওপর প্রভু জগদ্বন্ধুর শিক্ষার প্রভাব দৃষ্টান্ত সহকারে বর্ণনা কর।
উত্তর : প্রভু জগদ্বন্ধু সমাজের সকলকে সমান হয়ে চলার শিক্ষা দিয়েছেন। তার এ শিক্ষা সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সমাজে সবাই সমান। কেউ উঁচু-নীচু নয়। এ ধরনের অনেক দৃষ্টান্ত প্রভু জগদ্বন্ধু রেখে গেছেন। তার মধ্যে একটি হলো : তখনকার দিনে ফরিদপুরের উপকণ্ঠে সাঁওতাল, বাগদী ও নমঃশূদ্রদের বাস ছিল।
সমাজপতিদের কাছে তারা ছিল ঘৃণার পাত্র। তাদের জন্য প্রভুর মন কেঁদে ওঠে। তিনি একদিন বাগদীদের সর্দার রজনীকে ডেকে এনে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, মানুষের মাঝে উঁচু-নীচু কিছু নেই। সবাই সমান।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সারদা দেবীর শিক্ষা আমরা কীভাবে বাস্তবে কাজে লাগাতে পারি?
উত্তর : সারদা দেবী ছিলেন একজন মহীয়সী নারী। তিনি জীবনে অনেক শিক্ষামূলক দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। যা আমরা বিভিন্নভাবে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারি। তার কাছ থেকে আমরা অন্যতম প্রধান যে শিক্ষাটা পাই তা হলো ত্যাগ। ত্যাগ ধর্মের একটি অঙ্গ। ত্যাগ না করলে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় না। সারদা দেবীর ত্যাগের কারণেই তার স্বামী গদাধর থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ নামে জগদ্বিখ্যাত হতে পেরেছিলেন। আমরাও তার মতো ত্যাগী হতে পারি। সারদা দেবীর কাছ থেকে আমরা আরেকটা শিক্ষা নিতে পারি তা হলো, সহ্যগুণ। আমরা সহিষ্ণু হলে সমাজে শান্তি বিরাজ করবে। তার মতো আমরা অন্যের দোষ না দেখে নিজের দোষও দেখব। তার মতো জগতের সকলকে ভালোবাসব। এভাবেই আমরা সারদা দেবীর শিক্ষা বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করতে পারি।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ শ্রীকৃষ্ণের কালীয় নাগ দমনের শিক্ষা সমাজজীবনে কীভাবে প্রয়োগ করা যায়?
উত্তর : শ্রীকৃষ্ণ কালীয় নাগ দমন করে যে শিক্ষা প্রদান করেন সমাজজীবনে তার প্রয়োগ করা যায় :
১. দুষ্টের দমন করে; ২. অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে; ৩. ক্ষমার আদর্শ গড়ে তুলে; ৪. বিপদাপদে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে; ৫. সকলের উপকার করে; ৬. সবক্ষেত্রে সাহস রেখে কাজ করে।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগোতে উপস্থাপিত বক্তৃতার ফলাফল মূল্যায়ন কর।
উত্তর : স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগোতে উপস্থাপিত বক্তৃতায় হিন্দুধর্ম সম্পর্কে যে অসাধারণ বক্তৃতা দেন তাতে মুগ্ধ হয়ে বহু দেশ থেকে বহু জাত ও ধর্মের মানুষ তার নিকট উপস্থিত হন। বিভিন্ন জায়গা থেকে আহ্বান আসে বক্তৃতার জন্য। তিনি তখন বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে তার বক্তৃতা দিতে থাকেন। এর ফলে সবাই এ ধর্মের স্বরূপ সম্পর্কে জানতে পারেন। এ ধর্মের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পান। অনেকে তার কাছে এসে দীক্ষা নেন। তারা ধর্মপথে পরিচালিত হন। এভাবে তিনি সব মানুষকে ধর্মপথে ফিরিয়ে আনেন। মুক্তির পথ দেখান। অনেক মানুষ তাদের সত্য পথ খুঁজে পায়। নিজেদের মঙ্গল ঘটাতে সক্ষম হয়। তার বক্তৃতার ফলাফল তাই সুদূরপ্রসারী ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ‘পৃথিবীর মতো সহ্যগুণ চাই’Ñ বাণীটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘পৃথিবীর মতো সহ্যগুণ চাই’Ñএ বাণীটি মা সারদা দেবীর। তিনি এ বাণীটির মধ্য দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল হওয়ার উপদেশ দেন। তিনি বোঝাতে চান যে, পৃথিবী আমাদের অনেক অত্যাচার নীরবে সহ্য করে। আমাদের এরূপ সহ্যগুণ অনুশীলন করতে হবে। তাহলেই আমরা প্রকৃত মানুষ হতে পারব। মা সারদা দেবীর উপদেশ মানতে পারব। এতে করে সবাই শান্তিতে বসবাস করতে পারব। ঈশ্বর আমাদের কৃপা করবেন। উদাহরণস্বরূপ আমরা তুচ্ছ কারণে অন্যের সাথে ঝগড়া করব না। যে কোনো জটিলতাকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করব। এতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ কীভাবে রামপ্রসাদের সাধনা সার্থক হয়?
উত্তর : রামপ্রসাদ ছিলেন মা কালী সকনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি মাতৃসাধনা করতেন। সবসময় তিনি মা কালী নাম স্মরণ করতেন। তার সাধনা দিন দিন গভীর থেকে গভীরে যেতে লাগল। তার সাধনায় মা তুষ্ট হয়ে তার সামনে ধরা দেন। তিনি তখন মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। এভাবেই তার সাধনা সিদ্ধ হয়। রামপ্রসাদ মাতৃসাধনার পথ বেছে নিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন মায়ের চেয়ে আপন আর কেউই নেই। মায়ের সাধনা করলে মা অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দেবেন। তাকে আপন করে নেবেন।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ হরিজন সম্প্রদায়ের ব্রজজন হয়ে ওঠার কাহিনীর শিক্ষা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : হরিজন সম্প্রদায় প্রভু জগদ্বন্ধুর মাহাত্ম্যের কথা শুনতে পেরে তার ভক্ত হয়ে পড়েছিল। তারা প্রভুর নির্দেশমতো সংকীর্তন দলে রূপ নিল। তারা ব্রজজন হয়ে উঠল। এ কাহিনী থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা হলো : ঈশ্বরের নিকট সবাই সমান। যে ঈশ্বরের নাম স্মরণ করে ঈশ্বর তাকেই কৃপা করেন। তিনি কোনো ভেদাভেদ করেন না। সবাইকে সমান চোখে দেখেন। এ শিক্ষা আমরা আমাদের জীবনেও অনুশীলন করব। কাউকে হেয় করে দেখব না। মানুষের মাঝে ভেদাভেদ করব না। সবাইকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করব।

ANSWER SHEET

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *