আকাশ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

আকাশ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : একসময় আকাশকে মানুষের মাথার উপরে বিশাল একটি ঢাকনা বলে মনে করা হতো। আসলে আকাশ হচ্ছে বাতাসের বিপুল স্তর। বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন গ্যাসের অণু ছড়িয়ে আছে। এজন্য দিনের বেলা সাধারণত আকাশ নীল দেখায়। কিন্তু সকাল বা সন্ধ্যায় মেঘ ও বাতাসের ধুলোকণার মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে পারে শুধু সূর্যের লাল আলো।

তাই এ সময় আকাশ লাল দেখায়। ঘন মেঘে ছেয়ে ফেললে আকাশ কালো বলে মনে হয়। আকাশ সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে বিজ্ঞানীরা শূন্যে মহাকাশযান পাঠিয়ে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। পৃথিবীর অন্তত কয়েক শ’ মাইল ওপর দিয়ে পাঠানো মহাকাশযান থেকে প্রেরিত অসংখ্য ফটো বা ভিডিও থেকে মানুষ গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, গ্রহাণুপুঞ্জসহ আবহাওয়ার খবর জানতে পারছে। একই উপায়ে টেলিভিশন, ফোন, মোবাইল ফোন ইত্যাদিতে সংকেত পাঠিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত করা সম্ভব হয়েছে।

আকাশ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : রফিক সাহেব একজন চিকিৎসক। চিকিৎসা করার পাশাপাশি তিনি রোগীর স্বজনদের রোগ-শোকের খবরও নিতেন। হাত দিয়ে রোগীর মাথা, কপাল ও পেট টিপে রোগ নির্ণয় করে তিনি ওষুধ দিতেন। আধুনিক পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় করতে বললেও তিনি তাঁর পদ্ধতিকেই উপযুক্ত মনে করতেন। রফিক সাহেবের ছেলে সুমন এখন বিখ্যাত চিকিৎসক। সুমন সাহেবের রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়াই ভিন্ন। আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, এক্স-রে ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে তিনি চিকিৎসা করেন। আধুনিক ধ্যান ধারণা এবং গবেষণাই বিজ্ঞানের জগতে ব্যাপক গতি এনে দিয়েছে।

ক. ‘চাঁদোয়া’ অর্থ কী?
খ. প্রবন্ধটির নাম ‘আকাশ’ রাখার কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের রফিক সাহেবের মধ্যে ‘আকাশ’ শীর্ষক প্রবন্ধের কোন দিকটি উঠে এসেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘আধুনিক ধ্যান-ধারণা এবং গবেষণাই বিজ্ঞানের জগতে ব্যাপক গতি এনে দিয়েছে’— উদ্দীপক এবং ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর

ক. ‘চাঁদোয়া’ অর্থ— শামিয়ানা বা কাপড়ের ছাউনি।

খ. প্রবন্ধ জুড়ে আকাশ সম্পর্কে বিভিন্ন রকম আলোচনা থাকায় এর নাম ‘আকাশ’ রাখা হয়েছে। ‘আকাশ’ প্রবন্ধে আকাশ সম্পর্কিত নানা বিষয় উঠে এসেছে। পুরো প্রবন্ধ জুড়ে আকাশের স্বরূপ, বর্ণ এবং এ সম্পর্কিত প্রাচীন ও আধুনিক ধারণার কথা বলা হয়েছে। তাই প্রবন্ধটির নাম ‘আকাশ’ রাখা হয়েছে।

গ. উদ্দীপকের রফিক সাহেবের মধ্যে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আকাশ সম্পর্কিত প্রাচীন ধারণার দিকটি উঠে এসেছে। আকাশের নীল চাঁদোয়াটা মূলত গ্যাসভর্তি ফাঁকা জায়গা। হরহামেশা আমরা যে আকাশ দেখি তা হলো বায়ুমণ্ডলের নানান বর্ণহীন গ্যাসের মিশেল কিন্তু অতীতে আকাশ সম্পর্কে মানুষের ধারণা এমন ছিল না।

উদ্দীপকে রফিক সাহেবের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। তিনি আধুনিক ধারার চিকিৎসায় তেমন বিশ্বাসী নন। এর সাথে আকাশ সম্পর্কে আগেরকার দিনের মানুষের ভাবনার তুলনা করা যায়। তারা ভাবত আকাশটা পরতে পরতে ভাগ করা। অর্থাৎ উদ্দীপকের রফিক সাহেবের মধ্যে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের সনাতন ধারণাকে পুষে রাখার দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ. ‘আধুনিক ধ্যান-ধারণা এবং গবেষণাই বিজ্ঞানের জগতে ব্যাপক গতি এনে দিয়েছে’— উদ্দীপক এবং ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি যথার্থ ।

বিজ্ঞানের কল্যাণে আধুনিক হয়ে উঠছে পৃথিবী। সনাতন চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক ধ্যান-ধারণা এবং নিত্য নতুন গবেষণাই বিজ্ঞানের জগৎকে অবিশ্বাস্য সাফল্য এনে দিয়েছে। উদ্দীপকের রফিক সাহেব সনাতন চিকিৎসা পদ্ধতিকে আঁকড়ে ধরে থাকলেও তাঁর পুত্র সুমন সাহেব চিকিৎসাক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করেন। সুমন সাহেব রোগীর রোগ নির্ণয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, এক্স-রে ইত্যাদি নানারকম পদ্ধতি অনুসরণ করেন।

‘আকাশ’ প্রবন্ধে আকাশ সম্পর্কে নানা তথ্য উঠে এসেছে। আধুনিক যুগে আকাশ সম্পর্কে প্রাচীন মানুষের যে ধারণা ছিল তা পাল্টে গিয়েছে। বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত তথ্যের মাধ্যমে মানুষ জানতে পেরেছে বলেই আকাশ সম্পর্কে ধ্যান-ধারণা সঠিক ও আধুনিক হয়েছে। পাশাপাশি বিজ্ঞানের জগতে মানুষ লাভ করেছে অগ্রগতি।

অর্থাৎ উদ্দীপক ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধে দেখা যায়, আধুনিক ধ্যান-ধারণা আকাশ সম্পর্কে মানুষের চিন্তাকে যেমন পাল্টে দিয়েছে, তেমনি আধুনিক গবেষণা চিকিৎসাক্ষেত্রে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

নিজে অনুশীলন করো

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : অ্যাপোলো-১১ প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশযান, যা চাঁদে অবতরণ করে। এটি অ্যাপোলো প্রোগ্রামের পঞম মহাকাশ অভিযাত্রা যাতে নভোচারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ জুলাই এই অভিযানের সূচনা হয়। এই অভিযানে অংশ নেন দলপতি নিল আর্মস্ট্রং কমান্ড মডিউল চালক মাইকেল কলিন্স এবং চন্দ্র অবতরণযানের চালক এডুইন অল্ড্রিন জুনিয়র। ২০ জুলাই আর্মস্ট্রং ও অল্ড্রিন প্রথম মানুষ হিসাবে চাঁদে পা রাখেন।

ক. ‘জলীয়বাষ্প’ কী?
খ. দূরদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে উঠেছে কীভাবে?
গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ, ‘উদ্দীপকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের সমগ্রভাবকে ধারণ করেনি’— মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : কদিন ধরেই তমাল ভাবছে আকাশের রং দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয় কেন? বাবা তার এ ভাবনার সমাধান করে দিলেন। তিনি তাকে বললেন— পৃথিবীর উপরিভাগে যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে তা পেরিয়ে সূর্যের আলো একেক সময় একেকভাবে পৃথিবীতে আসে। তাই আকাশের রং একেক সময় একেক রকম হয়।

ক. হরহামেশা আমরা যে আকাশ দেখি তা আসলে কী?
খ. সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায় আকাশের রং ভিন্ন হওয়ার কারণ কী?
গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়গুলো খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের সবগুলো দিক ফুটে ওঠেনি— তোমার মতামতের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : আজ থেকে প্রায় একশত বৎসর আগেও মানুষের জানার পরিধি ছিল সীমাবদ্ধ। চারপাশকেই পৃথিবীর পরিধি মনে করতো তারা। ধীরে ধীরে মানুষ বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হতে থাকে। জানতে পারে, পৃথিবীর বাস্তব পরিসীমা। মূহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্তের খবরাখবর অপর প্রান্তে বসে জানতে পারে। বুঝতে পারে কখন বৃষ্টি হবে, ঝড় উঠবে, বন্যা আসবে। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির ফলে ।

ক. বায়ুমন্ডলে গোটা কুড়ি কী আছে?
খ. কোথায়, কখন, কেমন আবহাওয়া হবে তা কীভাবে জানা যায়?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়? তুলে ধরো।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের মূলভাবের অনুসারী”– মন্তব্যটি সম্পর্কে মতামত দাও ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আকাশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার অন্ত নেই। আকাশের রহস্য জানার জন্য তারা সেখানে বিভিন্ন মহাকাশযান পাঠিয়েছে। কখনো এসব মহাকাশযানের সঙ্গী হয়েছে মানুষ। এসব মহাকাশযান মহাবিশ্ব থেকে অনেক দুর্লভ ছবি তুলে পাঠিয়েছে। ফলে মহাকাশ নিয়ে মানুষের গবেষণায় অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

ক. বাতাসের প্রধান উপাদান কোনটি?
খ. বিভিন্ন সময়ে আকাশের রূপ কেমন হয়?
গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে আকাশ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের বিষয়টি পর্যালোচনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : প্রাচীনকাল থেকে চাঁদের মা বুড়ি চাঁদে বসে সুতা কাটে আকাশে। উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরুতে বসবাস ভূত-প্রেত ও দৈত্য দানবদের। এসব গল্প শুনে শুনে বড়ো হতো সেকালের শিশুরা। কিন্তু
আজ বিজ্ঞানের অবদানে চাঁদ, আকাশ, উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরুর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। মানুষের রূপকথার ভ্রান্ত ধারণার পরিবর্তন হয়েছে।

ক. রাতের আকাশ সচরাচর কী রঙের হয়?
খ. মেঘকে লাল দেখায় কেন? বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপক ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধে আকাশ সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত ধারণাগুলো আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের মূলবক্তব্য ‘আকাশ’ প্রবন্ধকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে কি? তোমার মতামত দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে দিন দিন সহজতর করে তুলছে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন চোখ ধাঁধানো আবিষ্কারে বদলে যাচ্ছে আমাদের চেনা এই পৃথিবী। কিন্তু আগের দিনের মানুষের মাঝে এই বিজ্ঞান সচেতনতা তেমন ছিল না। তাই আকাশ ও মহাকাশ নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করত তারা। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই যুগে মানুষ অনেক বেশি সচেতন। পুরোনো ধ্যান-ধারণাকে পেছনে ফেলে যুক্তি নির্ভর মানুষ তাই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তি দিয়ে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের অসারতা প্রমাণ করছে তারা। তাই আকাশ, পরি ও বুড়ির সুতা কাটার এসব আজগুবি কল্পকাহিনিও শিশুরা শুনতে চায় না।

ক. ‘আকাশ’ প্রবন্ধটির লেখক কে?
খ. আকাশ নীল দেখায় কেন?
গ. উদ্দীপক ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে আকাশ সম্পর্কে বর্তমান ও প্রাচীন ধারণার তুলনামূলক আলোচনা করো।
ঘ. ‘উপযুক্ত প্রমাণ আজগুবি কল্পনা ও মিথ্যা বিশ্বাসকে ধ্বংস করে’— উদ্দীপক ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : একদিন শারমিন সন্ধ্যাবেলায় রেডিওতে খবর শুনছিল। আবহাওয়ার আগাম বার্তা শুনে শারমিন অবাক হয়ে গেল। আগামীকাল কী হবে মানুষ আজ তা নির্দ্বিধায় বলতে পারে। এটা দেখে সে আরো বিস্মিত হলো। মামা বললেন, প্রাচীনকালে মানুষ সব কাজ অনুমানের ভিত্তিতে করত। একস্থান থেকে অন্যস্থানে খবর পাঠাত পায়রার মাধ্যমে। আগুন জ্বালিয়ে, ঘণ্টা বাজিয়ে, বিকট শব্দ করে কিংবা আলোর প্রতিফলন ঘটিয়ে মানুষ যোগাযোগ করার চেষ্টা করত। আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করে দূরের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা হতো। এটাই ছিল যোগাযোগের উত্তম পদ্ধতি।

ক. প্রাচীনকালে আকাশকে কী মনে করা হতো?
খ. মেঘের রং কালো হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের শারমিনের অবাক হওয়ার মধ্য দিয়ে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের শারমিনের মামা যোগাযোগ ব্যবস্থার যে বর্ণনা দিয়েছেন তার সঙ্গে বিজ্ঞানসম্মত যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে” ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : আকাশ পথে মানুষ চলাচল করবে, এটা একসময় হাস্যকর কথা ছিল। তখনকার দিনে মানুষ ভাবত, আকাশ দিয়ে পাখি ছাড়া শুধু জিন-পরিরাই চলাচল করতে পারে। ধীরে ধীরে মানুষের চিন্তার পরিবর্তন এলো। পাখির মতো ভঙ্গি করে, পাখির মতো পিঠে মোমের বিশাল ডানা লাগিয়ে, গ্যাস বেলুনে চেপে মানুষ আকাশে ওড়ার প্রচেষ্টা চালাল। অবশেষে মানুষ সফল হলো। আবিষ্কার করল উড়োজাহাজ। সময়ের আবর্তনে উড়োজাহাজেরও পরিবর্তন এসেছে। এখন বহু রকমের উড়োজাহাজ রয়েছে। আবিষ্কার হয়েছে মহাকাশযান। আকাশকে জয় করে মানুষ এখন স্বাধীনভাবে উড়াল দিচ্ছে।

ক. আবদুল্লাহ আল-মুতী কী ধরনের সাহিত্য রচনা করে জনপ্রিয় হয়েছেন?
খ. মহাকাশযান থেকে মানুষ কীভাবে আবহাওয়ার খবর পেয়ে থাকে- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- বুঝিয়ে লেখ।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আংশিক ভাবের স্ফুরণ ঘটেছে, সম্পূর্ণ ভাবের নয়।” মন্তব্যটির মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : আফসান রাতের বেলায় ঘরের দাওয়ায় বসে তার দাদুর মুখ থেকে গল্প শুনছিল। হঠাৎ আকাশের দিকে তাকিয়ে দাদুকে প্রশ্ন করল, আচ্ছা দাদু, এই বিশাল আকাশটা কীসের তৈরি? আর রাতে ও দিনে আকাশের রং বিভিন্ন রকম হয় কেন? আফসানের প্রশ্নের জবাবে দাদু বললেন, আকাশটা হলো আমাদের মাথার ওপর একটা কঠিন ঢাকনা। আর আকাশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। এগুলো আকাশের খেয়াল খুশিমতো হয়ে থাকে। আফসান অবাক হয়ে শোনে এসব কথা। দাদু আরো বললেন আকাশের মহাশূন্যে অনেক দৈত্যদানব বসবাস করে। তারা যখন একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছোটাছুটি করে তখন ঝড়-তুফানের সৃষ্টি হয়। এসব কথা শুনে আফসান ভয়ে দাদুর কোলে মুখ লুকায়।

ক. নাইট্রোজেন কী?
খ. মহাকাশযান থেকে কেন দিনরাত পৃথিবীর ছবি তোলা হয়?
গ. আকাশ সম্পর্কে আফসানের দাদুর প্রাচীন ধারণার সঙ্গে তোমার পঠিত ‘আকাশ’ প্রবন্ধে কী ধরনের দ্বন্দ্ব দেখা যায়? বর্ণনা কর।
ঘ. ‘আকাশ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ’ আফসানের দাদুর প্রাচীন ধারণাকে পাল্টে দিতে পারে।’- ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির সত্যতা বিচার কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : রিপন ও তার ছোটভাই রাহুল মাঠে ক্রিকেট খেলছে, এমন সময় হঠাৎ বৃষ্টি এলে তারা দৌড়ে বাড়ি চলে আসে। রিপন বিজ্ঞানের ছাত্র। রাহুল বৃষ্টিপাতের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে রিপন তাকে উদ্দেশ্য করে বলল, সূর্যের তাপে খালবিল, নদীনালা, সাগর প্রভৃতির পানি গরম হয়ে বাষ্পাকারে বাতাসের সাথে মিশে ভাসতে থাকে। এক সময় বাষ্পগুলো ঘনীভূত হয়ে মেঘের রূপ ধারণ করে। জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হলে মেঘগুলো আর আকাশে ভাসতে পারে না। তখন পানির ফোটা হয়ে পৃথিবীতে নেমে আসে। এভাবেই বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি হয়। কিন্তু রাহুল এটা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারে না। তার বিশ্বাস মঙ্গলগ্রহে নদী আছে। সেখান থেকে পানি নেমে এসেই পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

ক. ‘জলীয়বাষ্প’ অর্থ কী?
খ. ‘পৃথিবী বায়ুমণ্ডলের ঢাকনা’ বলতে কী বোঝ?
গ. রাহুলের চিন্তাভাবনায় ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “বৃষ্টিপাত সম্পর্কে রিপনের ধারণা বিজ্ঞাননিষ্ঠ” ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১২ : কদিন ধরেই জিয়া ভাবছে আকাশের রং দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয় কেন? বাবা তার এ ভাবনার সমাধান করে দিলেন। তিনি তাকে বললেন, পৃথিবীর উপরিভাগে যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে তা পেরিয়ে সূর্যের আলো একেক সময় একেকভাবে পৃথিবীতে আসে। তাই আকাশের রং একেক সময় একেক রকম হয়।

ক.‘তেরছা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. মেঘের রং কখন কালো হয়?
গ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়গুলো খুঁজে পাওয়া যায়- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের সবগুলো দিক ফুটে ওঠেনি, তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১৩ : আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার যেমন, রেডিও, টেলিভিশন, টেলিফোন, মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট মানুষের জীবনকে অনেক সুন্দর ও সহজ করে দিয়েছে। রেডিও, টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের খবর মানুষ ঘরে বসেই পাচ্ছে। টেলিফোন ও মোবাইলের মাধ্যমে মানুষ সহজেই দূরের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারছে। ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ যেমন বিশ্বের খবর পাচ্ছে তেমনি খবর পাঠিয়ে দিচ্ছে।

ক. ‘আকাশ’ প্রবন্ধটির লেখক কে?
খ. দিনের বিভিন্ন সময়ে আকাশের রূপ কেমন হয়?
গ. উদ্দীপকের বিষয়ের সঙ্গে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের মিল দেখাও।
ঘ. আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব কতটুকু? উদ্দীপক ও ‘আকাশ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১৪ : পিয়াস তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে, বাবা আকাশ কীসের তৈরি? বাবা বলে, আকাশ বিভিন্ন ধরনের গ্যাস দ্বারা তৈরি। তিনি আরো বলেন, আমরা সচরাচর যে আকাশ দেখি তা কোনো কঠিন পদার্থে তৈরি নয়, তা হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঢাকনা। তখন পিয়াস আবার প্রশ্ন করে বায়ুমণ্ডলে কী কী গ্যাস রয়েছে? বাবা তখন বলেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রভৃতি গ্যাস। বাবার উত্তর শুনে পিয়াস অত্যন্ত খুশি হয়।

ক. ‘মিশেল’ শব্দটির অর্থ কী?
খ. আকাশ নীল দেখায় কেন- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘আকাশ’ প্রবন্ধের কোন অংশটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? নিরূপণ কর।
ঘ. “উদ্দীপকটিতে ‘আকাশ’ প্রবন্ধের মূল বিষয় উঠে এসেছে” বিশ্লেষণ কর।

ANSWER SHEET

উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *