অমর একুশে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ‘অমর একুশে’ শীর্ষক প্রবন্ধে মহান ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
ফলে ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মিলে ‘সর্বদলীয় কর্মপরিষদ’ গঠন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গঠন করে ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’। আন্দোলন দমন করার জন্য ২০শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নুরুল আমিন সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ২১শে ফেব্রুয়ারি ছাত্রছাত্রীরা ধর্মঘট পালন করে। এ সময় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে এগিয়ে যায়।
এই সংগ্রামে বহু ছাত্রছাত্রী ও জনতা আহত ও গ্রেফতার হয়। রফিকউদ্দিন, জব্বার ও আবুল বরকতসহ নাম না জানা অনেকে শহিদ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র জাতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ২৩শে ফ্রেবুয়ারি শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মিত হয়। পুলিশ শহিদ মিনারটি ধ্বংস করে দিলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরিশেষে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে।
অমর একুশে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ :
i. ইটের মিনার
ভেঙেছে ভাঙুক! ভয় কী বন্ধু, দেখ একবার আমরা জাগরী চার কোটি পরিবার।
ii. জ্বলে-পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।
ক. ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত কত তারিখে নেওয়া হয়?
খ. ২৬শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্রসমাজে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে কেন, বুঝিয়ে লেখো।
গ. প্রথম উদ্দীপকটি ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে প্রকাশ করছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. দ্বিতীয় উদ্দীপকটি যেন ভাষা আন্দোলনকারীদের মনোভাবকেই ধারণ করে— বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৪ঠা ফেব্রুয়ারি।
খ. উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে ২৬শে জানুয়ারি ঢাকার ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা করেন যে, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ এ ঘোষণা বাঙালির জন্য চরম আঘাতস্বরূপ। এর মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানিদের চরম বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় ফুটে ওঠে। এ কারণেই ঢাকায় ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।
গ. প্রথম উদ্দীপকটি ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে বর্ণিত পুলিশ কর্তৃক শহিদ মিনার ধ্বংস করার ও মানুষের আত্মপ্রত্যয়ের দিকটিকে প্রকাশ করেছে।
‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে বর্ণিত হয়েছে ১৯৫২ সালের একুশে ফ্রেবুয়ারি ভাষা আন্দোলনকারীদের মিছিলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহিদ হন ছাত্র-জনতা। শহিদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ছাত্র-শিক্ষকরা রাতারাতি একটি শহিদ মিনার তৈরি করে ফেলেন কিন্তু শাসকগোষ্ঠী তা ভেঙে দেয়। ফলে বাঙালির আন্দোলন দমে না গিয়ে বরং আরও বেগবান হয়। উদ্দীপকেও ইটের মিনার বা শহিদ মিনার ভাঙার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়।
কিন্তু ইটের মিনার ভেঙে বাঙালিকে দমানো যায়নি। কারণ সে ভাঙনের সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে মানুষের আত্মপ্রত্যয়। যে আত্মপ্রত্যয়ের জোরে বাংলা ভাষা পরবর্তীতে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। তাই বলা যায়, প্রথম উদ্দীপকটি ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে বর্ণিত পুলিশ কর্তৃক শহিদ মিনার ধ্বংস ও মানুষের আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠার দিকটিকে প্রকাশ করছে।
ঘ. ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে ভাষা আন্দোলনকারীরা পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল, যা দ্বিতীয় উদ্দীপকের মনোভাবকেই প্রকাশ করে।
‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে বর্ণিত বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহিদদের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনেক দমন করতে নানাভাবে প্রচষ্টা চালায়। নির্বিচারে গুলি চালায় ছাত্র-জনতার ওপর। এর মাধ্যমে তারা বাঙালির মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাঙালি তাদের এই অন্যায় প্রচেষ্টা রুখে দেয় জীবন দিয়ে।
উদ্দীপকের দ্বিতীয় কবিতাংশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাঙালির মাথা নত না করার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। বাঙালি শত অত্যাচার সহ্য করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে, তবুও তারা অন্যায়ের সামনে কখনো মাথা নত করে না। সত্যের জন্য, ন্যায়ের জন্য তারা জীবন দিতেও প্রস্তুত।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, উদ্দীপকের দ্বিতীয় কবিতাংশ এবং ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধ উভয় স্থানেই বাঙালির দৃঢ় মনোবল প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলা যায়, ‘দ্বিতীয় উদ্দীপকটি যেন ভাষা আন্দোলনকারীদের মনোভাবকেই ধারণ করে’— মন্তব্যটি যথার্থ।
নিজে অনুশীলন করো
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : মাহির তার দাদুর কাছে ভাষা আন্দোলনের কথা শুনেছিল । মাহিরের দাদু একজন ভাষাসৈনিক। ১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেন। পুলিশের গুলি উপেক্ষা করে তিনি ভাষার দাবি আদায় করতে এগিয়ে গেছেন। তার চোখের সামনে নির্ভীকচিত্তে প্রাণ দিয়েছে অনেকে। ভাষাশহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে ভাষার অধিকার।
ক. কত তারিখে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতারাতি একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করেন?
খ. ছাত্ররা কীভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে? বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সবগুলো ঘটনা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি’ –মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : বাংলা আমার মায়ের ভাষা। এই ভাষার জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি। পৃথিবীর অন্য কোনো জাতির ভাষার জন্য সংগ্রামের এমন ইতিহাস আর নেই। বাঙালি জাতিই প্রথম, যারা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছে, জীবন দিয়েছে। এ ভাষা প্রত্যেক বাঙালির আত্মার ভাষা। তাই বাংলা ভাষা আমাদের সবার কাছে এত প্রিয়।
ক. কত সালে বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন হয়েছিল?
খ. ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেল প্রাঙ্গণে গায়েবি জানাজা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বাংলা ভাষার যে গুরুত্ব ফুটে উঠেছে, তা ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে তুলে ধরো।
ঘ. ‘বাংলা প্রত্যেক বাঙালির আত্মার ভাষা’– উদ্দীপকের এ উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : রিমি তার দাদুর কাছে ভাষা আন্দোলনের গল্প শুনতে চাইলে দাদু বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। পুলিশের গুলি উপেক্ষা করে তিনি ভাষার দাবি আদায় করতে এগিয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁর চোখের সামনে শহিদ হয়েছেন সালাম, জব্বার, রফিক, শফিকসহ আরও অনেক। তাঁদের প্রাণের বিনিময়েই বাংলা ভাষার অধিকার অর্জিত হয়েছে।
ক. প্রথমে অনানুষ্ঠানিকভাবে শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন কে?
খ. শহিদ মিনার কেন নির্মিত হয়েছিল?
গ. তুমি কি মনে করো, উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য রয়েছে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
ঘ. ‘শহিদের প্রাণের বিনিময়েই বাংলা ভাষার অধিকার অর্জিত হয়েছে’ উদ্দীপক ও ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : গাজীপুরের অ্যাকুয়া গার্মেন্টসের পোশাক শ্রমিক রাসেল । মালিকপক্ষ প্রতিদিন শ্রমিকদের দশ ঘণ্টা কাজ করায়। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি ছুড়ে। গুলিতে রাসেলের মৃত্যু হয়। রাসেলের মৃত্যু বৃথা যায়নি। আজ গার্মেন্টেস শ্রমিকরা দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করে।
ক. ১৬ই ফেব্রুয়ারি কোন পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
খ. আমরা প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহিদদের স্মরণ করি কেন?
গ. উদ্দীপকের কোন দিকটির সাথে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের মিল রয়েছে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের মূলভাবকে প্রতিফলিত করে কি তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করে। ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শ্রমিকেরা মিছিল করার সময় পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে বহু শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এরপর তাদের দাবি মেনে ১৮৯০ সালের ১লা মে থেকে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের নিয়মটি চালু হয়।
ক. উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রতিবাদে কোন তারিখে ঢাকায় ছাত্র-ধর্মঘট পালিত হয়?
খ. ‘সর্বদলীয় কর্মপরিষদ’ গঠিত হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের ১লা মে ও ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের ২১শে ফেব্রুয়ারির সাদৃশ্য নিরূপণ করো।
ঘ. ‘দাবি আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’— উদ্দীপক ও ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ :
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।
ক. কখন ভাষা আন্দোলন হয়?
খ. ‘এত বড় শোকযাত্রা ঢাকায় তখন পর্যন্ত আর কোনো দিন
হয়নি’— কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের কী সাদৃশ্য রয়েছে? সপক্ষে যুক্তি দাও।
ঘ. ‘শহিদদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলা ভাষার অধিকার অর্জিত হয়েছে’— উদ্দীপক ও ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ :
মাগো, ওরা বলে
সবার কথা কেড়ে নেবে।
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না।
বলো, মা,
তাই কি হয়?
ক. মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে দ্বিতীয় দফা গুলিতে কে শহিদ হয়েছিলেন?
খ. ‘সরকার বস্তুতপক্ষে অচল হয়ে পড়ে’Ñ কেন?
গ. উদ্দীপকের ‘ওরা’ দ্বারা ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের কাদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে- বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের সন্তানের আকুতিতে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের ছাত্রসমাজের সংগ্রামী চেতনাই রূপায়িত হয়েছে- উক্তিটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : শহিদ নূর হোসেন এই বাংলাদেশেরই এক গর্বিত সন্তান। স্বৈরাচার উৎখাত ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে ঢাকার রাজপথে। এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর স্বৈরাচারী সরকার এক অপশাসন চাপিয়ে দিয়েছিল। কেড়ে নিয়েছিল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। সাধারণ মানুষের স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য নূর হোসেন রাজপথে নেমেছিল। নিজের শরীরে অঙ্কন করেছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’- এ স্লোগানটি। কিন্তু সেদিন স্বৈরাচার সমর্থিত পুলিশ সদস্যরা নূর হোসেনের বুকে গুলি চালায়। নূর হোসেন নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করলেন গণতন্ত্রকে। নূর হোসেনের রক্তে ধুয়ে মুছে গেল স্বৈরাচারী অপশাসন। প্রতিষ্ঠিত হলো গণতন্ত্র।
ক. কখন থেকে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়?
খ. বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগ্রাম পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের নূর হোসেনের মধ্যে ভাষা শহিদদের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘নূর হোসেনের রক্তে ধুয়ে মুছে গেল স্বৈরাচারী অপশাসন’ উক্তিটি ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : কেতুপুর গ্রামের মানুষ পদ্মার চরে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। মাঠের ফসল ঘরে এলেই কেতুপুর গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফোটে। কিন্তু জোতদার রহমত ব্যাপারি ও তার দল কৃষকদের পাকা ধানের ভাগ পেতে চায়। তারা কেড়ে নিতে চায় কৃষকদের মাঠের ধান। কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা তাদের উদর পূর্তি করতে চায়। জোতদারদের লাঠিয়াল বাহিনী কেতুপুরের কৃষকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু কেতুপুরের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করে। তারা বলে, ‘জান দিমু, তবু ধান দিমু না।’
ক. ছাত্ররা কত জনের দলে ভাগ হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি নিল?
খ. ছাত্ররা দলে দলে বিভক্ত হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রহমত ব্যাপারির মধ্যে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে কাদের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘জান দিমু, তবু ধান দিমু না।’ এ যেন ভাষাপ্রেমিকদেরই দাবি।-‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশ দিয়েই চলতে থাকে মিছিলটা। মিছিলে অংশগ্রহণকারী সবাই উত্তেজিত, গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। আকাশে বাতাসে সে চিৎকার মিশে যাচ্ছে। তমালও স্লোগান দিচ্ছে। সে একজন মুটে। সকালে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছিল। মিছিল দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। কারণ মিছিলের দিনে বেশি রোজগার করা যায় না। হঠাৎ করেই বুঝতে পারল কীসের মিছিল। সঙ্গে সঙ্গে সে থমকে দাঁড়াল। তারপর মিছিলের সঙ্গে গলা মেলাল। খানিক বাদেই গোলাগুলি শুরু হলো। উড়ে এলো কাঁদানে গ্যাসের শেল। ঘুরে দৌড় দিল কলেজের গেটের দিকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। তমাল লুটিয়ে পড়ল পিচঢালা রাজপথে।
ক. ছাত্রছাত্রীরা কত জন মিলে দল গঠন করেছিল?
খ. নূরুল আমিন সরকারের পুলিশ হত্যার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি তাৎপর্যগত দিক থেকে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে।’ উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১২ : বিধবা আম্বিয়া সারাক্ষণই তাকিয়ে থাকে রেললাইনের দিকে। মানুষকে দেখলেই প্রশ্ন করে তার খোকাকে তারা দেখেছে কিনা। খোকা তার বাড়ি আসবে এই রেললাইন দিয়ে। ট্রেন এলে ছুটে যায় ট্রেনের কাছে। আধাপাগল এ মহিলাটি জানে না যে, তার ছেলে আর বাড়ি ফিরবে না। ছেলের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্যহীন আম্বিয়া এখন উন্মাদ। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্র“য়ারি পুলিশের গুলিতে শহিদ হয় খোকা। শহিদের রক্ত আর ছেলেহারা মায়ের অশ্র“তে সিক্ত হয় রাজপথ।
ক. কে ১৪৪ ধারা জারি করে?
খ. ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে মনোবল গড়ে তোলা হয় কীভাবে?
গ. উদ্দীপকের খোকা চরিত্রটি দ্বারা ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে কাদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে- বর্ণনা কর।
ঘ. “শহিদের রক্ত আর ছেলেহারা মায়ের অশ্র“তে সিক্ত হয় রাজপথ”- ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১৩ : ভাষা শহিদ জাকির হোসেন। তিনি ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য আন্দোলন করেছেন। কারণ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এদেশের ছাপান্ন ভাগ মানুষের মুখের ভাষার পরিবর্তে উর্দুকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু জাকির হোসেনের মতো বাংলার অনেক দামাল ছেলে তাদের অন্যায় দাবি মেনে না নিয়ে রাজপথে আন্দোলন শুরু করে। তাঁরা তাদের রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলার দাবি সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
ক. ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য প্রতি দলে কত জন ছাত্রছাত্রী ছিল?
খ. ‘এতবড় শোভাযাত্রা ঢাকায় তখন পর্যন্ত আর কোনোদিন হয়নি’- এ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘অমর একুশে’ রচনার কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের জাকির হোসেনের মতো ভাষাশহিদদের স্মৃতি অর্পণ করা হয়েছে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১৪ :
‘জ্ঞানী গুণী এই ভাষাতে লেখন লেখেন দিনে রাতে
ভাবের মানিক রতন দিয়ে ভরান ভাষার ডেরা
ও ভাই-মাতৃভাষা বাংলা আমার সকল ভাষার সেরা।’
ক. কে বাঙালির নির্মিত শহিদ মিনার ধ্বংস করে?
খ. মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতারাতি শহিদ মিনার নির্মাণ করেন কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অমর একুশে’ রচনার সাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. উদ্দীপকে মাতৃভাষার প্রতি যে মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে ‘অমর একুশে’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর।
উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও।