নীলনদ আর পিরামিডের দেশ সৃজনশীল প্রশ্ন (PDF)

নীলনদ আর পিরামিডের দেশ সৃজনশীল প্রশ্ন : বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর একটি হলো মিশর। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে নীলনদকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল এই সভ্যতা। সেই সভ্যতার অনেক নিদর্শন আজও বিদ্যমান। মরুভূমি ঘেরা ঐতিহাসিক কায়রো শহর, এর অদূরে গিজেয় অবস্থিত পিরামিড, মিশরের ভুবন বিখ্যাত মসজিদের প্রসঙ্গই মূলত রচনায় প্রকাশ পেয়েছে।

কায়রো শহর অদ্ভুত প্রাণচাঞ্চল্যে ঘেরা। মিশরের পিরামিড পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম। নীলনদের রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। মিশরের অপূর্ব কারুকার্যখচিত মসজিদগুলোর সৌন্দর্যও অতুলনীয়। এসবের টানেই ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছুটে আসে মিশরে।

নীলনদ আর পিরামিডের দেশ সৃজনশীল প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : আমরা কয়েকজন বন্ধু গ্রীষ্মের ছুটিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। উদ্দেশ্য, দুচোখ ভরে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আবার সেখান থেকে কক্সবাজার গেলাম, সেখান থেকে সেন্টমার্টিন, কী অপূর্ব দৃশ্য আর সৌন্দর্যের মাখামাখি । কোরাল পাথরের ছড়াছড়ি সেন্টমার্টিন— এর এক বিশাল অহংকার। এছাড়াও আছে নীল পানির এক রাজপুরী। সেখানে কচ্ছপেরা অবাধে ঘুরে বেড়ায়, ডিম পাড়ে; কাঁকড়ারা দল বেঁধে আল্পনা আঁকে। সেন্টমার্টিনে না গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি অদেখাই থেকে যেত।

ক. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’– কার লেখা?
খ. উটের চোখগুলো রাতের বেলা সবুজ দেখাচ্ছিল কেন?
গ. ভ্রমণকারীদের যাত্রাপথের সাথে লেখকের মিশর ভ্রমণের মিল খুঁজে পাওয়া যায় কী? বর্ণনা করো।
ঘ. ‘সেন্টমার্টিন না গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি অদেখাই থেকে যেত’— এই বক্তব্য অনুসরণে নীলনদের সৌন্দর্যের সাদৃশ্য দেখাও।

প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনাটি সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা।

খ. মোটরের হেডলাইটের আলো পড়ায় উটের চোখগুলো রাতের বেলা সবুজ দেখাচ্ছিল। লেখক যখন মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন চারদিকে অন্ধকার ছিল। অন্ধকারের মধ্যে হঠাৎ উটের কাফেলার ওপর মোটরের আলো পড়ে। আর আলো পড়ার কারণেই উটের চোখগুলো সবুজ আলো বলে মনে হচ্ছিল।

গ. ভ্রমণকারীদের যাত্রাপথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে লেখকের মিশরের নীলনদের সৌন্দর্যের বর্ণনার মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখক প্রথমে সুয়েজ বন্দরে পৌছান। তারপর সূর্যাস্ত আর চন্দ্রালোকে পাড়ি দেন মরুভূমি। তারপর শহরতলির ব্যস্ততম পথ পাড়ি দিয়ে ঢুকে যান কায়রো শহরের ঠিক মাঝখানে। এরপর নীলনদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করেন। নীল জলের ওপর দিয়ে নৌকার খেলা লেখকের মনকে উদ্বেল করে।

উদ্দীপকের ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্য ছিল সেন্টমার্টিনে যাওয়া আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা। এজন্যে তারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, তারপর কক্সবাজার হয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়। কোরাল পাথরের ছড়াছড়ি সেখানে। আরও রয়েছে নীল পানির এক রাজপুরী। এই সৌন্দর্য আলোচ্য রচনার নীলনদের কথাই স্মরণ করায় আমাদের। এ বর্ণনাই উদ্দীপকের সাথে আলোচ্য রচনাকে সাদৃশ্যপূর্ণ করেছে ।

ঘ. ‘সেন্টমার্টিন না গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি অদেখাই থেকে যেত’— এই বক্তব্য নীলনদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখক নীলনদকে দেখা মাত্রই বলেছেন এইবার চোখের সামনে ভেসে উঠল এক অতি রমণীয় দৃশ্য। উদ্দীপকের ভ্রমণকারীরা সেন্টমার্টিন দ্বীপের নীল পানির রাজপুরীর কথা তুলে ধরেছে। সেখানে অবাধে ঘুরে বেড়ায় কচ্ছপেরা, ডিম পাড়ে, কাঁকড়ারা দল বেঁধে আল্পনা আঁকে। সব মিলিয়ে সেখানকার পরিবেশ এক কথায় অপূর্ব। তাইতো উদ্দীপকে সেন্টমার্টিনকে বলা হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।

আলোচ্য রচনা পড়ে বোঝা যায় লেখকও নীলনদ সম্পর্কে একই কথা বলতে চান। কারণ তিনি নীলনদের উত্তাল ঢেউয়ের যে বিবরণ দিয়েছে তা থায় অসাধারণ। আর এই সৌন্দর্যকে কাছে থেকে উপভোগ করতে পারা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেই সৌভাগ্য আলোচ্য রচনার লেখকের হয়েছে, তাই তিনি আবেগে উচ্ছ্বসিত।

নিজে অনুশীলন করো

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : প্রাচীনকালে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে যে সকল সভ্যতা গড়ে উঠেছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাবিলনীয় সভ্যতা। সম্রাট নেবুচাদনেজার ছিলেন ব্যাবিলনীয় সভ্যতার শ্রেষ্ঠ শাসক। প্রাচীন ব্যাবিলনে ‘কিউনিফর্ম’ অর্থাৎ কীলক আকারের লিখন পদ্ধতি প্রচলিত ছিল ব্যাবিলনীয়রা অসংখ্য দেব-দেবীর পূজা করত। সূর্যদেব মারদুক ছিল তাদের শ্রেষ্ঠ দেবতা। ব্যাবিলনের বিখ্যাত ‘শূন্য উদ্যান’ পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম। শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ব্যাবিলনীয়রা উন্নত ছিল। চিত্রাঙ্কন বিদ্যা, জ্যোতিষ শাস্ত্র, অঙ্ক শাস্ত্র এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তাদের অতুলনীয় পারদর্শিতা ছিল । গ্রহ-নক্ষত্রাদি সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের সীমা বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছিল। সূর্য ও জলঘড়ির সাহায্যে তারা সময় নিরূপণ করত।

ক. ‘কীর্তিস্তম্ভ’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ফারাওরা কেন পিরামিড তৈরি করেছিলেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘আলোচ্য রচনার পিরামিড এবং উদ্দীপকের শূন্য উদ্যান দুইটি প্রাচীন সভ্যতার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : অধ্যাপক রফিক তার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখানকার পরিপাটি রাস্তাঘাট, দালান, পার্ক— সবকিছুই তার ভালো লাগে। তারা একদিন রেস্তোরাঁয় গিয়ে দুপুরের খাবার গ্রহণ করতে চাইলেন। সেখানকার ফাস্টফুডের কোনো কিছুই রফিক সাহেবের ভালো লাগে না। তার ইচ্ছা হয় ভালো ভাত খেতে। কিন্তু সে খাবার সে ওখানে কোথায় পাবে? তাই ফাস্টফুড খেয়েই কোনো রকমে ক্ষুধা নিবারণ করে তারা।

ক. কোন রান্নাকে ভারতীয় রান্নার মামাতো বোন বলা হয়েছে?
খ. কায়রোকে নিশাচর শহর বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের রফিক সাহেব এবং ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার লেখকের খাদ্যরুচি কি একই রকম? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
ঘ. রফিক সাহেব এবং ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার লেখক উভয়েই খাঁটি বাঙালি— বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : নদীমাতৃক বাংলাদেশে প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পদ্মা অন্যতম। এ নদীর বুকে আসা পলি মাটি এদেশের মাটিকে করে তোলে উর্বর নদীর অববাহিকায় ফলে সোনালি ফসল। পদ্মার বুকের পালতোলা নৌকা প্রকৃতির শোভা অনেক বাড়িয়ে দেয়। এ নদীর মৎস্য সম্পদের ওপর অনেকের জীবিকা নির্ভর করে। সব মিলিয়ে পদ্মা বাংলাদেশের জন্য এক আশীৰ্বাদ।

ক. নাইল কী?
খ. ‘সে অদ্ভূত দৃশ্য’ উক্তিটি লেখক কেন করেছেন?
গ. উদ্দীপকের পদ্মা নদী ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার কোনটির সাথে সাদৃশ্য? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটি ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার সম্পূর্ণ ভাবের ধারক নয়’— যথার্থতা নিরূপণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : বাস থেকে নেমে সোনার গাঁয়ের মাটিতে পা রাখতেই আসিফের মনটা খুশিতে ভরে উঠল। শীতের কী সুন্দর মিষ্টি রোদ্দুর, সবুজের কি চমৎকার সমারোহ। চোখ পড়ল এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটা মসজিদের ওপর। হাসান স্যারই বললেন, এটি হচ্ছে গোয়ালদি মসজিদ, মুসলমানরা বঙ্গদেশে আসার আগে ১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মিত হয়। মুঘল স্থাপত্যের চমৎকার নিদর্শন হিসেবে টিকে আছে।

ক. লেখক মিশরের কোন অঞ্চলের পিরামিড দেখেছিলেন?
খ. লেখক নিগ্রোদের ‘অতি খানদানি’ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের আসিফের অনুভূতিতে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ ভ্রমণকাহিনির লেখকের কোন অনুভূতির প্রতিফলন ঘটেছে—ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘স্থাপত্যকলা একটি দেশের নান্দনিকতার নিদর্শন বহন করে’— মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ ভ্রমণকাহিনির আলোকে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : কামাল তার বন্ধুদের নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। পদ্মা ও যমুনার রুপালি স্রোত পাড়ি দিয়ে তারা এক সময় ঢাকায় পৌছায়। সেখানে তারা প্রথমেই যায় লালবাগের দুর্গে। এ যেন ফেলে আসা মুঘল সাম্রাজ্যের এক টুকরো রাজত্ব। মুঘল সম্রাটদের স্থাপত্য ঐশ্বর্য এখানে লুকিয়ে আছে। এখানকার দরবার হল, পরীবিবির মাজার ও শাহজাদা আজমের মসজিদ দেখে তারা ছবি তুলতে লাগলো। তারা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলো এখানে না আসলে অতীত ইতিহাস ও সম্রাটদের হারিয়ে যেতে বসা বিশাল কীর্তি অজানাই থেকে যেত।

ক. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’– এর লেখকের জন্মস্থান কোথায়?
খ. এই নীলের জল দিয়ে এ দেশের চাষ হয়— কেন?
গ. ‘উদ্দীপকে কামাল ও তার বন্ধুদের ভ্রমণ আর লেখকের ভ্রমণের উদ্দেশ্য একই’– ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘লালবাগ দুর্গের স্থাপত্য শৈলীর সাথে পিরামিডের স্থাপত্য শৈলীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়’— মতটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : ফ্রান্সকে বলা হয় ছবি ও কবিতার দেশ। এদেশের নগরীর রূপ সৌন্দর্য অতুলনীয়। এর মোহে বহু পর্যটক ভিড় করে সেখানে। পারীকে অর্ধেক নগরী ও অর্ধেক কল্পনার শহর বলা হয়। শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অন্যতম পাদপীঠ এ পারী নগরী। এখানের রেস্তোরাঁগুলোতে স্বল্পমূল্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেওয়া যায়। সুগন্ধি শিল্পের জন্যও পারীর সুনাম জগৎজোড়া।

ক. সৈয়দ মুজতবা আলী কোথা থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন?
খ. ‘কাজেই শোক করে লাভ কী?’ কথাটি লেখক কেন বলেছেন?
গ. উদ্দীপকের ফ্রান্স এবং ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার কায়রোর সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটি আলোচ্য রচনার সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করতে পারেনি” – মন্তব্যটি বিচার করো।

ANSWER SHEET

উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *