যে ধর্মের প্রভাবে সাধারণত ভারী মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস যে কোন অবস্থায়, নিজে থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরাম গতিতে বিভাজিত হয়ে নতুন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং সেই সঙ্গে বিশেষ ধরনের অদৃশ্য রশ্মি বিকিরণ করে, মৌলের সেই ধর্মকে তেজস্ক্রিয়তা (Radioactivity) বলে।
তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একক হলো বেকরেল।
তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য (Properties of Radioactivity)
(১) তেজস্ক্রিয় পদার্থ সাধারণত আলফা ও বিটা– এ দুই প্রকারের তেজস্ক্রিয় কণা এবং গামা রশ্মি নিঃসরণ করে।
(২) তেজস্ক্রিয়তা একটি সম্পূর্ণ নিউক্লিয়ার ঘটনা এবং এর মাধ্যমে নিউক্লিয়াসের ভাঙনের ফলে একটি মৌল আর একটি নতুন মৌলে রূপান্তরিত হয়।
(৩) তেজস্ক্রিয় একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও উদ্দেশ্যবিহীন ঘটনা এবং এটা চাপ, তাপ, বিদ্যুৎ বা চৌম্বকক্ষেত্রের ন্যায় বাইরের কোনো প্রক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার (Use of Radioactivity)
আধুনিক বিজ্ঞান জগতে তেজস্ক্রিয়তার বহুল ব্যবহার দেখা যায়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো :
(১) এটা তেজস্ক্রিয় প্রদর্শক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(২) এটা কৃষি বিদ্যায় ব্যবহৃত হয়।
(৩) এটা চিকিৎসা বিদ্যায় ব্যবহৃত হয়।
(৪) এটা রসায়ন বিদ্যায় ব্যবহৃত হয়।
(৫) শিল্প ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার সমধিক।