দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায় | ব্রণ দূর করার স্থায়ী সমাধান

দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায় | ব্রণ দূর করার স্থায়ী সমাধান: রাতজাগা, দুশ্চিন্তা, রোদে পোড়া- এমন নানা কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে। একটু সচেতন থাকলেই কিংবা কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলেই ব্রণ থেকে মুক্তি মেলে।

দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায় | ব্রণ দূর করার স্থায়ী সমাধান

দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায় | ব্রণ দূর করার স্থায়ী সমাধান: রাতজাগা, দুশ্চিন্তা, রোদে পোড়া- এমন নানা কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে। একটু সচেতন থাকলেই কিংবা কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলেই ব্রণ থেকে মুক্তি মেলে।

ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়

ব্রণ কেন হয়, তা তো জানলেনই, এবার এর থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি কীভাবে পাবেন, তাও জেনে নিন। খুব বেশী কিছু করতে হবে না, সহজে হাতের কাছে পেয়ে যাবেন, এমনই কিছু উপাদান দিয়ে ব্রণ সারাবার পথ বলে দেব আজ।

১. মুলতানি মাটির প্যাক করে ব্রণ দূর করার উপায়

তেলতেলে ত্বক যাদের, তাদের ব্রণ বেশী হয়। তাই ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে তেলতেলে ভাব কমানো দরকার, অর্থাৎ তেল নিঃসরণ কম করা দরকার। মুলতানি মাটি এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

উপকরণ:

  • ২ চামচ মুলতানি মাটি
  • শসার রস

পদ্ধতি:

কয়েক টুকরো শসা পেস্ট করে নিয়ে তার থেকে রস বের করে নিন। এরপর এর সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা স্মুদ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটা দিয়ে মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করুন হালকা হাতে। দেখবেন তেলতেলে ভাব কমে আসছে। এটা পারলে রোজই করুন, নয়তো একদিন অন্তর অন্তর। যদি এটা রোজ না করতে পারেন, তো শুধু শসার রস দিয়ে মুখ ধুলেও হবে। এটা পারলে রোজ করুন।

২. নিমপাতার প্যাক করে দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়

আমরা সবাই জানি নিমপাতা আমাদের ত্বকের জন্য কত ভালো। আর ব্রণর জন্য নিমপাতা যে অব্যর্থ সেটা তো আমরা জেনেই গেছি। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণর জীবাণুর থেকে রক্ষা করে। তাই নিমপাতা ব্যবহার করুন।

উপকরণ:

  • ৫ থেকে ৬ টা নিমপাতা
  • গোলাপজল

পদ্ধতি:

নিমপাতা বেটে নিন। এবার এর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। ‘দাশবাস’এর সৌজন্যে তো আপনারা জেনেই গেছেন যে কীভাবে ঘরেই বানাতে হয় গোলাপজল। বানিয়ে নিন সেইভাবে। এবার এই মিশ্রণটা মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট মতো। তারপর ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা জল দিয়ে। সপ্তাহে দু’দিন করুন এটা।

৩. কাঁচা হলুদ আর চন্দনের প্যাক ব্রণ দূর করার স্থায়ী সমাধান

চন্দন যে ত্বকের জন্য ও ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকরী তা আমরা জানি। এর সাথেই মিশিয়ে নিন হলুদ বাটা।

উপকরণ:

  • কাঁচা হলুদ বাটা
  • চন্দন গুঁড়ো

পদ্ধতি:

দুটি উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর ওটা যেখানে যেখানে ব্রণ আছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন করুন। ব্রণ আর ব্রণর দাগ, দুইই দূর হয়ে যাবে।

৪. তুলসী পাতার রস ব্রণ দূর করার স্থায়ী সমাধান

তুলসী পাতার যে অশেষ গুণ, তা তো আপনারা জানেনই। ব্রণর সমস্যা সমাধানেও তাহলে কাজে লাগিয়ে নিন তুলসী পাতাকে।

উপকরণ:

  • পরিমাণমতো তুলসী পাতার রস

পদ্ধতি:

তুলসী পাতা থেকে রস বের করে নিন। সেই রস ব্রণর জায়গায় লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। পারলে রোজ করুন এটা।

৫. কমলালেবুর প্যাক করে দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়

সামনেই শীতকাল আসছে। অনেক অনেক কমলালেবু খাব আমরা। তা এবার কমলালেবু শুধু না খেয়ে ব্রণর জায়গাতেও লাগান। দেখবেন উপকার পাবেন।

উপকরণ:

  • কয়েক কোয়া কমলালেবু
  • মুসুরির ডাল
  • মুলতানি মাটি

পদ্ধতি:

মুসুরির ডাল বেটে রাখুন। এর সাথে কমলালেবুর কোয়া বেটে দিতে পারেন বা রসও ব্যবহার করতে পারেন। এর সঙ্গে মুসুরির ডাল বেটে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা মুখে লাগিয়ে রাখুন ৩০মিনিট মতো। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দেখবেন ব্রণও কমছে, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ছে।

৬. পুদিনা পাতার প্যাক করে দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়

পুদিনা পাতা আমাদের ফ্রেস করতে খুব সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতিকারক দিক থেকেও পুদিনা রক্ষা করে। তাই ব্রণর জন্য পুদিনা ব্যবহার করুন।

উপকরণ:

  • কয়েকটি পুদিনা পাতা

পদ্ধতি:

পুদিনা পাতা বেটে নিন। সেই বাটাও ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া শুধু রসও নিতে পারেন। সেটা লাগিয়ে নিন ব্রণর জায়গায়। লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট মতো। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন একটা ফ্রেস ফিল হচ্ছে আর ব্রণও আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

৭. পাকা পেঁপের স্ক্রাব ব্রণ দূর করার স্থায়ী সমাধান

মুখ পরিষ্কার না থাকলে ব্রণ হতেই থাকবে। তাই দরকার মুখ পরিষ্কার করা ভেতর থেকে। এর জন্য পাকা পেঁপে দিয়ে স্ক্রাব করুন।

উপকরণ:

  • পাকা পেঁপে বাটা
  • চালের গুঁড়ো
  • পাতিলেবুর রস

পদ্ধতি:

পাকা পেঁপে বাটা আর চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা সারা মুখে লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এবার পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন করুন। কয়েকদিন পর থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন পার্থক্য।

৮. রসুন

রসুন শুনে কি একটু অবাক হলেন? না না, ব্রণ দূর করতে কিন্তু রসুন খুব উপকারী। রসুনে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ব্রণর জীবাণুকে বেশী সংক্রামিত হতে দেয় না। তাই রসুন ব্যবহার করুন।

উপকরণ:

  • কয়েক কোয়া রসুন

পদ্ধতি

রসুন ভালো করে বেটে নিন। জলের সাথে একটু মিশিয়ে নিন। এবার এটা যেখানে যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানে লাগিয়ে নিন। ৫ মিনিট মতো রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটা পারলে রোজ করুন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাচ্ছেন।

৯. বরফ

ব্রণ হওয়া মানেই তার সঙ্গে আছে জ্বালা। আর এই জ্বালা সহ্য করার মতো কষ্ট কিছুই হয় না। তার সঙ্গে থাকে একটা গরম ভাব। এই সব থেকে খানিক রেহাই পাওয়া যায় বরফ ব্যবহার করলে।

উপকরণ:

  • বরফ টুকরো
  • একটা পরিষ্কার কাপড়

পদ্ধতি:

একটা কাপড়ের মধ্যে বরফ টুকরো নিয়ে সেটা ব্রণর জায়গায় ঘষুন হালকা করে। এটা রোজ পারলে দিনে দু’বার করে করুন। দেখবেন ব্রণর জ্বালা অনেক কমে যাবে, খানিক আরাম পাবেন।

এছাড়াও কয়েকটি টিপস

ওটমিল মাস্ক ব্যবহার করে ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণ তাড়াতে স্ক্রাবের মতো কাজ করে ওটমিল মাস্ক। আধা কাপ ওটমিলের সঙ্গে (সেদ্ধ করা) ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মেশান।  ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এই মিশ্রণটি। প্রথমে মুছে ফেলুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণ দূর করতে বেশ কার্যকরী।

ডিম ও মধু ব্যবহার করে ব্রণ দূর করার কার্যকরী উপায়

যাদের ত্বক শুষ্ক এবং ব্রণে আক্রান্ত তাদের জন্য এই প্যাক। এটি ডিমের সাদা অংশ, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল নিন। উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কোনো ক্ষতি ছাড়াই এতে দূর হবে ব্রণ। ডিম ও মধুর ব্যবহার হতে পারে ব্রণ দূর করার একটি কার্যকরী এবং ঘরোয়া উপায়।

অ্যাভাকোডা ব্যবহার করে ব্রণ দূর করার উপায়

এই ফলে প্রাকৃতিক তেল রয়েছে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অর্ধেক অ্যাভাকোডা চটকে মুখে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিটে ভালো ফল দেখতে পাবেন। ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ মুছে নিন; তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বক পরিষ্কার এবং সতেজ হবে।

বেকিং সোডা ব্যবহার করে দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়

ঘরোয়া এই উপাদান রূপচর্চায় বিভিন্নভাবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি ব্রণ দূর করতে চমৎকার কাজ করে। বেকিংসোডার সঙ্গে পানি অথবা মিল্ড ক্লিনজার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট ত্বকে কিছুক্ষণ ঘষতে থাকুন। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। মোলায়েm ত্বক দেখতে পাবেন।

চন্দন ব্যবহার করে ব্রণ তাড়ান

এতে আছে প্রদাহরোধী ও জীবাণুনাশক উপাদান। যা ‘অ্যাস্ট্রিনজান্ট’য়ের মতো কাজ করে লোমকূপ ছোট করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ চন্দন দুধে মিশিয়ে নিন। এতে সামান্য কর্পূর মেশান। মিশ্রণটি সারা রাত ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা মাস্ক তৈর করতে চাইলে চন্দনের সঙ্গে গোলাপ জল পারেন। মিশ্রণটি ব্রণের উপর লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

শসার রস দিয়ে ব্রণ দূর করার সহজ উপায় 

শশার রস তৈলাক্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এছাড়াও শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে পরিচিত এবং সহজ একটি উপায় হতে পারে শসার রস।

লেবুর রস ব্রণ দূর করার অন্যতম একটি মাধ্যম

লেবুর রস হতে পারে ভালো উপাদান ব্রণ দূর করার। ঘুমানোর পূর্বে ব্রণের ওপর দিয়ে তুলায় লেবুর রস লাগিয়ে রাখুন। সারারাত  এভাবে রেখে দিন। দেখবেন সকালে ব্রণ শুকিয়ে যাবে এবং নিজে থেকেই মুখ থেকে খসে পড়বে। লেবুর রস তো সহজলভ্য, তাই ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে ব্রণ দূর করার জন্য লেবুর রস একটি সহজ মাধ্যম।

সরিষা ও মধু ব্যবহার করে ব্রণ দূর করার উপায়

সরিষা ও মধুর জুড়ি নেই ব্রণ দূর করতে। সরিষায় অনেক  বেশি পরিমাণে স্যালিসিলিক অ্যাসিড আছে, যা  ব্রণের জীবানুকে ধ্বংস করে। অল্প পরিমান সরিষা গুঁড়োর সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। এইবার তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ১৫ মিনিট পর । ব্রণ দূর হওয়ার পাশাপাশি দেখবেন আপনার ব্রণের দাগও দূর হবে।

টমেটো স্লাইস ব্যবহারের মাধ্যমে ব্রণ দূর করার উপায়

ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে টমেটো ব্যাবহার করলে । ব্রণ দূর করার পাশাপাশি এটি  ত্বকের অন্য সব ইনফেকশনজনিত সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে । টমেটোর স্লাইস দিয়ে ত্বক ভালোভাবে ঘষুন দিনে অন্তত দুবার । টমেটো আপনার ধ্বংস করবে ত্বকের ব্রণ তৈরির ছত্রাক ।

ব্রণ দূর করতে রসুনের রস

সেই জীবাণু ধ্বংস করতে রসুনের রস বেশ কার্যকরী যে কারণে ব্রণ তৈরি হয়। খুব অল্প পরিমাণে রসুনের রস ব্রণের ওপর দিয়ে রাখুন। এবার শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। রসুনের ঝাঁজ ব্রণের চুলকানি দূর করবে এবং ব্রণের জীবাণু চিরতরে ধ্বংস করবে। রসুন এবং রসুনের রস খুব সহজেই পেতে পারেন আপনার রান্না ঘরে, সেখান থেকেই ব্রুণ দূর করার এই সহজ উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন।

টুথপেস্ট ব্যবহার করে দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়

টুথপেস্ট ব্যবহারের একদিনের মধ্যেই শুকিয়ে যায় ব্রণ। আসলে টুথপেস্টে থাকে সিলিকা। যা ত্বকের আর্দ্রভাব কমিয়ে ফেলে। এ জন্য ভেতর থেকে ব্রণ শুকিয়ে যায়।এই জন্য রাতে ঘুমানোর  যাওয়ার আগে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে দেখবেন, ব্রণের ফোলা ভাব অনেকটা কমে গেছে আর ব্যথাও অনেকটা ভালো হয়েছে।

ব্রণ দূর করার উপায় জানার পাশাপাশি আমাদের জানা উচিত কেন ব্রণ হয়। যদি আমরা এটা ভালোভাবে জানি তাহলে পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করা যায়। চলুন জানার চেষ্টা করি ব্রণ কেন হয়।

কেনো ব্রণ হয় ?

ব্রণ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বয়োসন্ধির সময় হরমোনের ক্ষরণ মাত্রার ভারসাম্যের অভাবে ত্বকের তেলগ্রন্থি ও সেবাম ক্ষরণ বেড়ে যায়। এতে লোমকুপগুলো বন্ধ হয়ে যায় ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়। এভাবে জীবাণুর বিষক্রিয়ায় ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ব্রণের জীবাণুর নাম ‘প্রোপাইনো ব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনে’।

ব্রণ হওয়ার অনেকগুলো কারণের কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে প্রধান হলো হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব, জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদি। পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ব্রণ থেকে মুক্ত থাকার প্রধান শর্ত।

ত্বকের অযত্ন

ব্রণ মূলত ত্বকে হয়। ফলে ত্বক পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখতে হবে, এই শুষ্ক আবহাওয়ার দিনে ত্বকে যেন ধুলাবালু না জমে থাকে। ত্বকে ধুলোবালু জমার ফলে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দেখা দিতে পারে ব্রণ।

অতিরিক্ত ঘাম 

গরমের দিনে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায় বিভিন্নভাবে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘাম। গরমে বাইরে গেলেই ঘাম হবে। ঘামে শরীরের পানি কমে যায়। শরীরে পানি কমে যাওয়া ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ।

ঘুমের সমস্যা

সঠিক পরিমাণে ঘুম না হওয়া অনেক রোগের কারণ। ব্রণও হতে পারে সঠিক ঘুম না হওয়ার কারণে। ঘুমানোর সময় শরীর তার নিজের কাজগুলো করতে থাকে, যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত না ঘুমালে শরীরের নিজের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত ঘুমের সময়ে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ বা তৈরির মতো জটিল বিষয়গুলো ঘটতে থাকে শরীরে। না ঘুমালে, কম বা অনিয়মিত ঘুমালে ব্রণ প্রতিরোধকারী হরমোন তৈরিতে বাধা আসতে পারে। ফলে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।

হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব

বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে–মেয়ে উভয়ের ব্রণ হয়ে থাকে। এর বড় কারণ, বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ভেতর দিয়ে যেতে থাকে। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা তাদের সামনে আসতে থাকে।

ফলে তাদের মধ্যে অবসাদ তৈরি হয়, দুশ্চিন্তা বেশি হয়, ঘুম ঠিকমতো হয় না, নিজে নিজে শরীরের যত্ন নেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে না, খাবারদাবার বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকে না। ফলে শরীরে হরমোনের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় অথবা হরমোনের অভাব দেখা দেয়। এ সবকিছুই আসলে ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী।

তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

তেল-মসলাযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। বিভিন্ন ধরনের ফার্স্ট ফুড, ডিপফ্রাই করা খাবার, কোমল পানীয় যত বেশি খাওয়া হবে, ব্রণ হওয়ার প্রবণতা তত বেশি বাড়তে থাকবে। এসব খাবার ঠিকমতো হজম হয় না।

খাবার হজম না হলে পেট পরিষ্কার থাকে না। পেট পরিষ্কার না থাকা বা নিয়মিত মলত্যাগ না করা শুধু ব্রণ নয়, আরও অনেক রোগের কারণ।

চলে যাওয়া ব্রন আবার ফিরে আসে

আমাদের কিছু খারাপ অভ্যাসের কারনে চলে যাওয়া ব্রণ আবার ফিরে আসে এটা খুব বিরক্তির বিষয় । তাই সে সকল অভ্যাস

দ্রুত ত্যাগ করা উচিত যে কারনে চলে যাওয়া ব্রণ  পুনরায় ফিরে আসে। চলুন কারন গুলো যেনে নেয় যাক ।

  • কোন স্থানে ব্রণ হলে , তা বার বার হাত বা আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করা। ব্রন চলে না যাওয়া এবং পুনরায় ফিরে আসার এটি একটি প্রধান কারন।
  • বাইর থেকে এসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না হয়ে আমরা এভাবেই রেস্ট করি অথবা অন্য কাজে হাত দেই, যার কারনেও ব্রণ আবার আসতে পারে, তাই বাইরে থেকে এসে সাথে সাথে যাথাসম্ভব ভালোভাবে হাত, মুখ পরিষ্কার করে নরম তোয়ালে অথবা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করব।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *