ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে করণীয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে করণীয় (পার্ট ১)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চান্স পেতে করণীয়ঃ
বুয়েট,মেডিকেলের পরেই আমাদের দেশের ছাত্র/ছাত্রীদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
যেহেতু প্রায় সবারই লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেহেতু প্রতিযোগিতা বেশি হবে সেটাই তো স্বাভাবিক।
প্রতিযোগীদের ভিড়ে তুমি কিভাবে সফল হবে সেটা নিয়েই আলোচনা করবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ও ভারতীয় উপাচার্য হলেন স্যার এ এফ রহমান।প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হচ্ছেন লীলা নাগ।
ঢাবি’র ছাত্রদের মধ্যে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন ড.সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্য হলো “সত্যের জয় সুনিশ্চিত”।
বিশ্ববিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২১ সালে।
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হলে তোমাকে প্রথমেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট এবং সেগুলোর মান বন্টন সম্পর্কে জানতে হবে।ইউনিট এবং মান বন্টন গুলো সম্পর্কে জেনে তোমার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের করণীয়ঃ
তুমি যদি এখন এসএসসি পরীক্ষার্থী হও এবং তোমার লক্ষ্য যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে তোমাকে অবশ্যই তোমার পাঠ্য বইয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।পাঠ্যবই ভালোভাবে পড়লে তোমার এসএসসি রেজাল্ট ভালো হবে।
আর ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে এবং ভালো ফলাফল করতে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সময় টা হচ্ছে বীজ বপনের।তুমি এখন যতটা বীজ বপন করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তেমন ফলাফল পাবে।
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ভালো করতে হলে তোমাকে অবশ্যই সব সাবজেক্ট ভালোভাবে পড়তে হবে।
তারপরও তোমাকে কিছু সাবজেক্ট সম্পর্কে বলে রাখছি যেগুলো ভালোভাবে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তুমি অনেকটা এগিয়ে থাকবে।
প্রথমত বাংলা দ্বিতীয় পত্র
বইটি অনেক ভালোভাবে পড়বে।
কারণ,এটা ভালোভাবে পড়লে তোমার পরীক্ষার নৈর্বত্তিক প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতিও হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত ইংরেজি ২য় পত্র
এটা তোমাকে অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে।কোন অজুহাত দেখিয়েই এটা থেকে দূরে সরে থাকা যাবে না।
মনযোগী হয়ে পড়লে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলও ভালো হবে এবং তুমি এইচএসসি পরীক্ষা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও এগিয়ে থাকবে।
তৃতীয়ত গণিত, চতুর্থ রসায়ন, পঞ্চম পদার্থ, ষষ্ঠ জীব বিজ্ঞান।
(তুমি অন্য বিভাগের হলে সেই বিভাগের প্রধান সাবজেক্ট)
আর ইংরেজি ১ম পত্র বইয়ের একটা শব্দার্থও যেন তোমার শেখা বাদ না থাকে😊
কিন্তু, এসএসসি পরীক্ষায় ভালো করার ক্ষেত্রে তোমাকে অবশ্যই সব সাবজেক্ট ভালোভাবে পড়তে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেঃ
তুমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী হয়ে থাকলে তোমাকে মনে রাখতে হবে যে, তোমার সময় খুবই অল্প কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তোমাকে শুরু থেকেই অনেক ভালোভাবে পড়তে হবে।
কারণ,তোমার এইচএসসি রেজাল্ট অবশ্যই ভালো করতে হবে এবং বিশ্বিবদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তোমার পাঠ্যবই থেকেই প্রশ্ন করা হবে।
আর এইচএসসি রেজাল্ট যদি ভালো না হয় তাহলে,তুমি অনেক আগেই পিছিয়ে পড়বে।
সেহেতু,তুমি যদি না পড়ে সময় নষ্ট করো তাহলে দুকূলই হারাবে।
আর যদি শুরু থেকেই প্রতিটা সাবজেক্টের প্রতিটি অধ্যায় ভালোভাবে পড়ে শেষ করে সেই অধ্যায়ের বিগত বছরের বোর্ড প্রশ্ন,মেডিকেল,বুয়েট সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্নগুলো পড়ে ফেল তাহলে তোমার এইচএসসি প্রস্তুতিও ভালো হবে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিও হয়ে যাবে। যাকে বলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইউনিটের(২০২০-২১) মান বন্টনঃ
ক ইউনিট (সাইন্স)
MCQ অংশ
নম্বর-৬০ সময়-৪৫ মিনিট
১) পদার্থ-১৫ (আবশ্যিক)
২) রসায়ন-১৫(আবশ্যিক)
৩) গণিত-১৫
৪) জীববিজ্ঞান-১৫
৫) বাংলা-১৫
৬) ইংরেজি-১৫
পদার্থ এবং রসায়ন বাধ্যতামূলক ভাবে উত্তর দিতে হবে।
গণিত অথবা জীববিজ্ঞানের পরিবর্তে বাংলা অথবা ইংরেজি থেকে উত্তর করা যাবে।
প্রতি প্রশ্নের নম্বর-১
নেগেটিভ নম্বর-০.২৫ অর্থাৎ ৪ টি ভুলের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে।
MCQ অংশে আলাদাভাবে পাশ করতে হবে তা নাহলে লিখিত খাতা দেখা হবে না।
MCQ অংশে পাশ মার্ক-২৪
লিখিত অংশঃ
নম্বর-৪০ সময়-৪৫ মিনিট
১) পদার্থ-১০ (আবশ্যিক)
২) রসায়ন-১০(আবশ্যিক)
৩) গণিত-১০
৪) জীববিজ্ঞান-১০
৫) বাংলা-১০
৬) ইংরেজি-১০
লিখিত অংশে পাশ মার্ক-১২
কিন্তু, MCQ এবং লিখিত অংশ মিলিয়ে মোট পাশ মার্ক-৪০ পেতে হবে।
সকলের খাতা দেখা নাও হতে পারে কমপক্ষে ১৭৯৫*৫=৮৯৯৫ টি খাতা দেখা হবে।
“খ” ইউনিট (আর্টস)
নম্বর-৬০ সময়-৪৫ মিনিট
MCQ অংশঃ
১) বাংলা/Elective English -১৫ (Elective English ইংলিশ মিডিয়াম থেকে যারা পরীক্ষা দিবে তাদের জন্য)
২) General English- ১৫
৩) সাধারণ জ্ঞান-৩০
প্রতিটা সাবজেক্টে আলাদাভাবে পাশ করতে হবেঃ
পাশ মার্ক-
বাংলা/Elective English- ৫
General English- ৫
সাধারণ জ্ঞান-১০
এই শর্ত পূরণ করে MCQ অংশে মোট পাশ মার্ক ২৪ পেতে হবে।
লিখিত অংশঃ
নম্বর-৪০ সময়ঃ৪৫ মিনিট
১) বাংলা/Elective English- ২০
২) General English-২০
আলাদাভাবে পাশ মার্ক-
বাংলা/Elective English- ৫
General English- ৫
মোট ১১ পেতে হবে।
MCQ+Written মিলে মোট পাশ মার্ক-৪০
গ ইউনিট (কমার্স)
MCQ অংশঃ
নম্বর-৬০ সময়-৪৫ মিনিট
১) বাংলা- ১২ (আবশ্যিক)
২) ইংরেজি- ১২ (আবশ্যিক)
৩) হিসাববিজ্ঞান- ১২ (আবশ্যিক)
৪) ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ- ১২ (আবশ্যিক)
৫) মার্কেটিং/ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং-১২
আলাদাভাবে পাশ মার্কঃ
শুধু ইংরেজিে – ৫ পেতেই হবে।
এমসিকিউ-২৪
লিখিত অংশঃ
নম্বর-৪০
১) বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ-৫
২) ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ-৫
৩) বিষয়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রকাশ (ইংরেজি)-৫
৪) Precis Writing-৫
৫) সংক্ষিপ্ত রচনা (বাংলা)- ৫
৬) পাঁচটি আবশ্যিক বিষয় থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর-(৫*৩)=১৫
লিখিত অংশে পাশ মার্ক-১১
MCQ+Written মিলিয়ে মোট পাশ মার্ক ৪০।
সবার খাতা দেখা নাও হতে পারে কমপক্ষে (১২৫০*৩)=৩৭৫০ টি খাতা দেখা হবে।
“ঘ” ইউনিট (বিভাগ পরিবর্তন)
নম্বর-৬০ সময়-৪৫ মিনিট
এমসিকিউ অংশঃ
১) বাংলা/Advanced English-১৫
২) ইংরেজি-১৫
৩) সাধারণ জ্ঞান -৩০
আলাদাভাবে পাশ মার্কঃ
বাংলা/Advanced English-৫
ইংরেজি-৫
সাধারণ জ্ঞান-১০
এমসিকিউ পাশ মার্ক-২৪
লিখিত অংশঃ
১) বাংলা/Advanced English-১৫
২) ইংরেজি- ১৫
৩) সাধারণ জ্ঞান (বিশ্লেষণধর্মী)-১০
লিখিত পাশ মার্ক-১০
MCQ+Written মিলিয়ে মোট পাশ মার্ক-৪০।
সবার খাতা দেখা নাও হতে পারে কমপক্ষে (১৫৭০*৫)=৭৮৫০ টি অর্থাৎ আসন সংখ্যার পাঁচগুণ খাতা দেখা হবে।
এমসিকিউ অংশে পাশ না করলে রিটেন অংশের খাতা দেখা হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় ৩১ শে মার্চ বিকেল পর্যন্ত সব ইউনিট মিলিয়ে মোট আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭১২ টি কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইউনিট মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা হচ্ছে ৭ হাজার ১৩৩ টি।
ক ইউনিটে আবেদন পড়েছে-১ লাখ ২৩ হাজার ৮০৬ টি।
খ ইউনিটে-৪৭ হাজার ৯৬২ টি।
গ ইউনিটে-২৭ হাজার ৭৫৬ টি।
ঘ ইউনিটে-১ লাখ ২১ হাজার ৫৩৭ টি।
চ ইউনিটে- ২২ হাজার ৬৫১ টি।
প্রতিটি আসনের জন্য লড়াই করবে প্রায় ৪৮ জন ভর্তি পরীক্ষার্থী।
সেহেতু,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমার আসন নিশ্চিত করতে পড়ার কোন বিকল্প নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে করণীয় (পার্ট ২)
১) তোমার প্রথম কাজ হচ্ছে লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
কেননা, লক্ষ্য ছাড়া সবদিকে দৌড়াদৌড়ি করে গন্তব্যে পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন কাজ।
লক্ষ্য যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে তোমার ইউনিটের মান বন্টন দেখে সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলো।
২) নিজের মনের কথা শোনা
কারণ,তুমি কোনটা কোনটা ভালো পারবে আর কোনটা পারবে না তা তোমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানো না।
তুমি এইচএসসি পরীক্ষা কেমন দিয়েছো,কেমন ফলাফল হতে পারে,
কোন ইউনিটের জন্য প্রস্তুতি নিলে তুমি ভালো করতে পারবে তা তুমিই সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারবে।
বিশ্বাস করো ভাই,তুমি কি জানো আর কি না জানো সেটা অন্য কেউ বুঝবে না।
তাই,নিজের মনের কথা শুনে লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রস্তুতি গ্রহণ করো।
৩) ডায়নামিক পাঠ পরিকল্পনা
কোন বইগুলো পড়লে ভালো হবে,কিভাবে পড়তে হবে।কোন কোন সাবজেক্ট ভালোভাবে পড়তে হবে,কোন কোন অধ্যায়,কোন অধ্যায়ের কোন টপিক থেকে প্রশ্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এগুলো পর্যালোচনা করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে পড়তে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪) বিগত বছরের প্রশ্ন অ্যানালাইসিস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের ভর্তি পরীক্ষা গুলোতে কোন টপিক থেকে কি ধরণের প্রশ্ন এসেছে,এই সম্পর্কিত আরও কত ধরণের প্রশ্ন হতে পারে।
ক,খ,গ,ঘ চারটি অপশনে কোন ধরণের টপিকের অপশন দেওয়া হয়েছিল এগুলো প্রশ্ন থেকে অ্যানালাইসিস করে বের করতে হবে।
৫) ৮০/২০ ফর্মূলা
পূর্বের বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে অ্যনালাইসিস করলে খুব সহজেই এমন ২০% টপিক তুমি খুঁজে বের করতে পারবে যেটা থেকে মোটামুটি সব বছরেই প্রশ্ন করা হয়েছে।
এ বিষয় গুলোর খুটিনাটি সহ ভালোভাবে পড়তে হবে।তাহলে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
৬) অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকা
তুমি নিশ্চয়ই বদর যুদ্ধের কথা শুনেছ???
সেই যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন কিন্তু কাফেরদের সৈন্য সংখ্যা ছিল ৯৫০ জন।
মুসলমান সৈন্যদের ছিল মাত্র ২ টি ঘোড়া এবং ৭০ টি উট অন্য দিকে কাফেরদের ছিল ১০০ টি ঘোড়া এবং ১৭০ টি উট।
কিন্তু, যুদ্ধে জয়ী কিন্তু মুসলমানদেরই হয়েছিল।মুসলমানদের মাত্র ১৪ জন শহীদ হয়েছিল কিন্তু কাফেরদের নিহত হয়েছিল ৭০ জন এবং বন্দী হয়েছিল ৭০ জন।
মুসলমানদের জয়ের ইচ্ছাশক্তি
মুসলমানদের জয়ের কারণ ছিল তাদের সাহস,অদম্য ইচ্ছাশক্তি।
তারা কাফেরদের এতো সৈন্য, ঘোড়া,উট দেখে কিন্তু ভয় পায়নি বরং বুকে সাহস নিয়ে যুদ্ধ করেছে।
ঠিক তেমনি ভর্তি পরীক্ষাও একটা যুদ্ধ তোমাকে ভয় পেলে চলবে না,বুকে সাহস আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে পড়ে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে হবে।তাহলেই,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনটি তোমার জন্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে। মনে রাখবে,সং পথে পরিকল্পিত শ্রম কখনো বৃথা যায় না।
৭) প্রতিদিন পড়ার রুটিন তৈরি করা
উল্টা-পাল্টা পড়ে কোন পড়াই ঠিকভাবে সম্পূর্ণ করা যায় না।
তোমাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্টি রুটিন মেনে পড়তে হবে।রুটিন নিজের সুবিধা মতো তৈরি করে নিবে সেটা করতে না পারলে তোমার আশেপাশের সফল হওয়া বড় ভাইদের কাছ থেকে সাহায্য নিবে।
রুটিন অনুসরণ করে নিয়মিত ভালোভাবে পড়াশোনা করবে।
৮) ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা
একটা বিষয় খুব ভালো লাগলো সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবে।
মাঝেমধ্যে একটু পত্রিকা পড়বে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ,বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবে।নিজের দেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন,
মেধাবী বন্ধুদের খোঁজ নিবে তারা কি পড়ছে,কিসের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালো অভ্যাসগুলো তোমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
৯) ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা
অনেকের ধারণা ধর্মীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চললে,ধর্মীয় গ্রন্থ পড়লে আমার পরীক্ষা প্রস্তুতির পড়ার ক্ষতি হবে,এটি ভুল ধারণা।
বরং ধর্মীয় আদেশ-নিষেধ মেনে পড়াশোনা করলে তাতে একঘেয়েমি দূর হবে,মানসিক প্রশান্তি লাভ করবে এবং আনন্দের সাথে পড়াশোনা করতে পারবে।
এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করা মিশোরি মুনমুন কিন্তু কুরআন তেলাওয়াত করে তারপর অন্য পড়া পড়তো।
১০) যোগ্য পথ প্রদর্শক(শিক্ষক) বেছে নেওয়া
আমার বিশ্বাস কোন ছাত্র/ছাত্রী মেধাহীন হতে পারে না।হয়তো সে নিজে পড়ে না নয়তো তার জীবনে ভালো শিক্ষকের অভাব রয়েছে।
কারণ,একজন যোগ্য পথ প্রদর্শকই পারে তোমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে গন্তব্যে পৌঁছিয়ে দিতে।
সবার জন্য শুভ কামনা❤️
চিন্তা-চেতনায় পরিশুদ্ধি এনে পড়াশোনায় মনযোগী হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তোমার আসনটি নিশ্চিত কর।