বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থবিদ্যা ও গাণিতিক সূত্রের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাত্রা, হার, রাসায়নিক সংযোগ সূত্র, গ্যাস, কঠিন ও তরল অবস্থার তত্ত্ব ও তথ্য ও বিক্রিয়ার শক্তি পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে ভৌত রসায়ন বলে।
যে পরিবর্তনের ফলে কোন পদার্থের কিছু বিশেষ ধর্ম যেমন গঠন-প্রকৃতি(texture) সমষ্টিগত অবস্থা (state of aggregation), স্থিতিস্থাপকতা, বৈদ্যুতিক বা চৌম্বক অবস্থা ইত্যাদির পরিবর্তন ঘটে কিন্তু আকৃতি বা গঠনের কোনো পরিবর্তন ঘটে না, তাকে ভৌত পরির্তন বলে।
ভৌত পরিবর্তনের পদার্থের অণুগুলি অবিকল পূর্বের মতই থাকে এবং এর ফলে কোনো নতুন পদার্থ তথা অণুর সৃষ্টি হয় না।
যেমন:
১। বরফকে গরম করতে থাকলে প্রথমে পানি ও পানিকে উত্তপ্ত করলে বাষ্টে পরিণত হয়। আবার বিপরীতভাবে বাষ্পকে ঠান্ডা করলে পানি ও পানিকে আারও ঠান্ডা করল বরফে পরিণত হয়। পানির এই বিভিন্ন অবস্থার ধর্ম বিভিন্ন- বরফ কঠিন, পানি তরল এবং বাষ্প বায়বীয় পদার্থ। কিন্তু বরফ, পানি ও বাষ্পের অণুর গঠন প্রকৃতি একই। অতএব, ইহা একটি ভৌত পরিবর্তন।
২। লবণ পানিতে যুক্ত করলে তা দ্রবীভূত হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। লবণের এই দ্রবণকে তাপ প্রয়োগ করলে পানি সহজেই বাষ্পে পরিণত হয়ে দূরীভূত হয় এবং লবণ পূর্বাবস্থায় ফিরে পাওয়া যায়। এখানে লবণের শুধু অবস্থাগত পরিবর্তন ঘটে, এর আণবিক গঠনের কোনো পরিবর্তন ঘটেনা। সুতরাং ইহাও একটি ভৌত পরিবর্তন।