জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার
জাতীয় বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে লেখার ইচ্ছা অনেক দিন হলো কিন্ত লেখার সময়টা হচ্ছিল না, আজকে চেষ্টা করব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্পষ্ট কিছু কথা বলার জন্য, আশা করছি আপনাদের কাজে আসবে।
শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে আমরা যদি ফলো করি তাহলে বুঝতে পারব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পিছিয়ে থাকার প্রধান কারণ কোথায়।
SSC পাস করার পূর্বে থেকে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীকে গাইডলাইন দেবার মতো পরিবার আছে। কোন গ্রুপে পড়াশোনা করলে ভবিষ্যতে সমস্যা হবেনা বা তেমন কোনো পরামর্শ আমরা পাইনা আমাদের পরিবার থেকে, যার ফলে আমরা যেটাকে ভাল মনে করি সেই গ্রুপে নিজেদের ইচ্ছায় পড়াশোনা শুরু করি।
HSC তে ভাল কলেজে পড়ার জন্য চেষ্টা করি এবং পরিবার থেকে বরাবরই ভাল রেজাল্ট করার চাপ দেয় যার ফলে ব্যাসিক না শিখে মুখস্ত বিদ্যা নিয়ে ভাল রেজাল্ট করলেও ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষাতে জিপিএ ৫ নিয়েও সিরিয়ালে নাম আসনা।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভাল রেজাল্ট করে বসে থাকে সোজা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিষয়ের সাজেশন
২০১৪ সালের পর থেকে জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ে আর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়না, এটা জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্রদের মেধা শূণ্য করার বড় একটা পথ।
যখন ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেতে হতো তখন শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের পড়াশোনা সম্পর্কে ধারণা পেত যা তাঁদের অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করত কিন্তু সেটা আর হয় না।
ভাল রেজাল্ট নিয়ে ভাল সাবজেক্টে ভর্তি হয় পরে ব্যাসিক ভাল না থাকার কারণে অনেক শীক্ষার্থী ড্রপআউট হয়ে ঝড়ে যায়, আর যারা পাস করে বের হয় তখন বুঝতে পারে জীবনের মানে।
এঁদের মধ্যে ৫% শীক্ষার্থী পড়াশোনা করে ফলে তারা জীবনে ভাল কিছু করে আর বাকী সবার অবস্থা করুন।
বেশিরভাগ মানুষ মনে করে জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ে পড়া মানে জীবনের সব কিছু শেষ কিন্তু আমি বলব কপালের দোষে অনেকেই এখানে পড়তে আসে, আর বাকী সবাই নিজেদেরে ইচ্ছায় এখানে আসে শুধুমাত্র ছাত্র নামটা ধরে রাখতে, তাই জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের দাম মানুষ কম দেয়।
এখন বছরে ১০০ দিন ক্লাস হবেনা সেখানে কি শিখবে শিক্ষার্থীরা ?
শুখন ভাই একটা কথা বলেছেন যেখানেই পড়াশোনা করেন নিজেরটা নিজে পড়তে হবে