মুমিন হওয়ার জন্য প্রত্যেক মুসলমানকে আল্লাহ তা’য়ালা কুরআন ও হাদিসের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বারূপ করেছেন। মুমিন না হয়ে মৃত্যুবরণ করতে নিষেধ করেছেন। একজন মুমিনকে যেসকল কারণে আমরা চিহ্নিত করতে পারি, সে সকল চিহ্নই মুমিনের বৈশিষ্ট্য বা গুণ। আর এসকল বৈশিষ্ট্যের কারণেই সাধারণ মুসলমান থেকে মুমিনকে আলাদা করা সম্ভব হয়ে থাকে।
মুমিন কাকে বলে?
মুমিন শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো –
- বিশ্বাসী
- ঈমানদার
- আস্থাজ্ঞাপনকারী ইত্যাদি।
কুরআন হাদীসসহ বিভিন্ন মনীষীদের মতে মুমিনের পরিচয় হলো –
কুরআনের ভাষায়ঃ- “মুমিন তারায় যারা আল্লাহর আইন অনুযায়ী বিচার করার জন্য আহ্বান করলে বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম।” [সূরা নূর]
রাসূল (সাঃ) এর ভাষায়ঃ- “মুমিন সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর খুশির জন্য বন্ধুত্ব করে এবং দুশমনি করে এবং আল্লাহর খুশির জন্য দান করে ও দান করা বন্ধ করে।”
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতে, “কোন ব্যক্তি যদি ঈমান আনয়নের পর ঈমান অনুযায়ী আমল করে তবে সেই হবে, প্রকৃত মুমীন।”
মুমিনের বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি
- আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা
- ফেরেশতাগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা
- নবীদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা
- আল্লাহর কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা
- পুনরুথান দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
- আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা
- ভাগ্যের ভালো মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা
- শরীয়াতের অনুসারী ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য বা গুণ থাকে।
মোটকথা, ইসলামের ছায়াতলে এসে একজন ব্যক্তি যদি আল্লাহর সকল বিধিবিধান পালন করে চলে এবং সে অনুযায়ী জীবনযাপন করে তাহলে সেই ব্যক্তিই হবে মুমিন আর তার মাঝে উপরের গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য থাকবে।