ইলম / জ্ঞান / শিক্ষা কাকে বলে? এর প্রকারভেদ
“জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর জন্য ফরজ।” আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী জ্ঞানার্জন তথা বিদ্যা শিক্ষা লাভ করা প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। এটি এমন একটি শক্তি যা মানুষকে সত্য মিথ্যার পার্থক্য করতে শেখায়। তাছাড়া শিক্ষাহীন জাতি মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর মত কারণ, “Education is the backbone of a nation.”
Milton বলেছেন, “Education is the harmonious development of body, mind and soul.”
এটি হালাল হারাম নির্ণয়ের মাধ্যমে সুন্দর জীবনযাপন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরিস্টটল বলেছেন, “শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো ধর্মীয় অনুশাসনে অনুমোদিত পবিত্র কার্যক্রমের মাধ্যমে সুখ লাভ করা।”
জ্ঞানের পরিচয়
জ্ঞান শব্দটির আরবি হলো ইলম। এর আভিধানিক অর্থ হলো –
- বুঝা
- বিশ্বাস করা
- জানা
- নাগাল পাওয়া ইত্যাদি।
ইংরেজিতে হয় Learning, knowledge, understand. অনেকে বলেন, কীভাবে জানতে হবে তার পদ্ধতিকেই ইলম বা শিক্ষা বলা হয়।
পারিভাষিক অর্থে
দার্শনিকদের ভাষায়, “জ্ঞানভান্ডারে কোন বিষয়ের বাস্তব তথ্য সঞ্চিত হওয়াকে ইলম বা জ্ঞান বলা হয়।”
কোন কোন মনীষী বলেছেন, “যা মানুষের হৃদয়কে অজ্ঞতার অন্ধকার হতে দূরীভূত করে জ্ঞানের আলোয় উদ্দীপ্ত করে তোলে তাকে শিক্ষা বলে।”
John Milton বলেছেন, “শরীর মন বা আত্মার ভারসাম্যপূর্ণ ইসলামের দৃষ্টিতে চিরন্তন ও শশ্বত নৈতিক মূল্যমানের ভিত্তিতে সত্য-মিথ্যা ও ভালো-মন্দ নির্ধারণের ক্ষমতা অর্জন বৈজ্ঞানিক কলাকৌশল ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার নামই শিক্ষা।”
মুজামুল ওয়াসীত গ্রন্থাগার বলেছেন, “কোন কিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করাকে ইলম বলে।”
ইলম / জ্ঞান / শিক্ষার প্রকারভেদ
ইলম প্রধানত দুই প্রকার।যথাঃ-
- দুনিয়া সম্পর্কিত জ্ঞান (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ইত্যাদি)
- দ্বীনি জ্ঞান (কুরআন, হাদীস ইত্যাদি)
ইলম আবার দু প্রকার। যথাঃ-
- প্রকাশ্য জ্ঞান
- অপ্রকাশ্য জ্ঞান