মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ কি? মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ নিয়ে বিস্তারিত জানুন
মহাকর্ষ কিংবা অভিকর্ষ পড়তে গেলেই আমাদের নিউটনের কথা মাথায় আসে। নিউটনের আর আপেলের ব্যাপারটা এখন কে না জানে! কথিত আছে, নিউটন বাগানে বসে গভীরভাবে চিন্তামগ্ন দেখেন থাকা অবস্থায় একটি আপেল মাটিতে পড়তে দেখেন। এই ঘটনা থেকেই তিনি দীর্ঘদিন মনের ভিতরে থাকা প্রশ্নের সমাধান খুঁজে পান।
তারপর তিনি সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে, মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তু পরস্পরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তু দুটির ভর এবং মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর নির্ভর করে। এই বলের মান কখনো বস্তুকণা দুটির আকৃতি, প্রকৃতি, অভিমুখ এবং বস্তু দুটির মধ্যবর্তী মাধ্যম কেমন তার উপর নির্ভর করে না।
মহাকর্ষ কি? কাকে বলে?
মহাবিশ্বের যেকোনো দুইটি বস্তুর মধ্যকার পারস্পরিক আকর্ষণ বল কে মহাকর্ষ বলে।
উদাহরণঃ একটি আম গাছের দুটি আমের মধ্যে যে পারস্পরিক আকর্ষণ বল কাজ করে তাই হল মহাকর্ষ। তবে দুটি বস্তুর মধ্যে একটি যদি পৃথিবী হয় তবে, বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল কে বলা হয় অভিকর্ষ। অভিকর্ষকে মধ্যাকর্ষণও বলা হয়ে থাকে।
অভিকর্ষ কি? কাকে বলে?
যে কোন বস্তু এবং পৃথিবীর মাঝে যে আকর্ষণ বল তাকে অভিকর্ষ বলে।
উদাহরণঃ গাছের একটি আমের সাথে পৃথিবীর যে আকর্ষণ বল তাই হল অভিকর্ষ। আবার চন্দ্র ও সূর্যের মাঝে বযে আকর্ষণ বল থাকে তা কিন্তু মহাকর্ষ। অর্থাৎ অভিকর্ষ তখনই হবে যখন দুইটি বস্তুর একটি পৃথিবী হবে।
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র
মহাবিশ্বের যে কোন দুইটি বস্তু পরস্পরকে একটি বলের দ্বারা আকর্ষণ করে। বস্তুদ্বয়ের মধ্যকার এই আকর্ষণকে মহাকর্ষ বলে। মহাকর্ষ সম্পর্কে নিউটন যে সূত্র দিয়েছেন তাকে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র বলা হয়।
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রঃ মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বলের মান বস্তকণা দুটির ভরের গুণফলের সমাণুপাতিকেবং এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক। বস্তু দুটির মধ্যকার বল বস্তুদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।
মহাকর্ষীয় ধ্রুবক
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র থেকে আমরা পাই,
বা,
বা,
এখন যদি, m1 = m2 = 1 একক এবং d = 1 একক হয় তবে,
বা,
সুতরাং, একক ভরের দুইটি বস্তু একক দুরত্ব থেকে যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে,তাকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে।
মহাকর্ষীয় ধ্রুবককে G
দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
G -এর আদর্শ মান 6.673× 10-11 N m2 kg−2।
G এর প্রকৃত মান 6.67259×10−11 N m2 kg−2