সংখ্যা পদ্ধতি কি? সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি/বেজ ও প্রকারভেদ
সংখ্যা পদ্ধতি কি?
বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন বা মৌলিক চিহ্ন বা অঙ্ক (ডিজিট) ব্যবহার করে সংখ্যা লিখা ও প্রকাশ করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এর সাহায্যে সহজেই সংখ্যা গণনা ও প্রকাশ করা যায়। এক কথায়, সংখ্যাকে প্রকাশ করার ও গণনা করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।
প্রকৃতপক্ষে সংখ্যা পদ্ধতি হলো সংখ্যা প্রকাশের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম যাতে নিচের বিষয়গুলো থাকতে হবে –
- সংখ্যাকে নির্দিষ্ট প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশের সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি।
- সংখ্যার যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি নির্ণয় করার সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি।
- সংখ্যার বিভিন্ন রূপ যেমন ভগ্নাংশ, ধনাত্মক, ঋণাত্বক ইত্যাদি প্রকাশের সুনির্দিষ্ট বা পরিপূর্ণ নিয়মাবলি।
সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি / বেজ
সংখ্যা পদ্ধতিতে একটি সংখ্যা বুঝানোর জন্য সর্বমোট যতগুলো অঙ্ক ব্যবহার করতে হয় সেটি হচ্ছে সংখ্যাটির ভিত্তি / বেজ। অর্থাৎ, কোন সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বলতে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট অঙ্ক বা প্রতীক সমূহের সংখ্যাকে বুঝায়। নিচে বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির নাম, প্রতীক ও বেজ দেখানো হলো –
সংখ্যা পদ্ধতি | বেজ/ভিত্তি | প্রতীক বা চিহ্ন |
দশমিক বা ডেসিমাল |
10 | 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9 |
বাইনারি | 2 | 0,1 |
অক্টাল | 8 | 0,1,2,3,4,5,6,7 |
হেক্সাডেসিমেল | 16 | 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9,A,B,C,D,E,F |
সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ
উপস্থাপন বা প্রকশের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে সংখ্যা পদ্ধতি ২ প্রকার।যথাঃ
- পজিশনাল বা অবস্থানগত সংখ্যা পদ্ধতি
- নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি
পজিশনাল বা অবস্থানগত সংখ্যা পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে একটি সংখ্যা যে প্রতীকগুলো দিয়ে প্রকাশ করা হয় সেই প্রতীকগুলোর সংখ্যার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সংখ্যার মান কম বেশি হতে পারে। যেমন – দশমিক সংংখ্যা পদ্ধতি। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি আবার ৪ প্রকার –
- দশমিক বা ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি
- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
- অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
- হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি
আজ আমরা সংখ্যা পদ্ধতি কি? সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি/বেজ ও প্রকারভেদ সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।