মার্কেটিং কি? মার্কেটিং কীভাবে করব? বিস্তারিত জানুন
মার্কেটিং শব্দটি সবার কাছে পরিচিত। কম বেশি সবাই এ শব্দটি শুনেছে। তবে অনেকে আছে যারা এ শব্দটির আসল মানে জানে না। তারা মনে করে মার্কেটিং মানে শুধু পণ্য কেনা বেচা করা।
মার্কেটিং কি?
অর্থাৎ, মার্কেটিং হলো এমন এক বিজনেস প্রসেস যেখানে গ্রাহক বা ক্রেতাদের চাওয়াগুলো খুঁজে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্টি করা। এভাবেও বলতে পারেন, এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহী করে তোলা।
marketing এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে “Process” বা প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িত। যেমন – রিসার্চ করা, বিক্রি করা, প্রচার করা,প্রোডাক্ট বিতরণ করা ইত্যাদি।
চলুন একটি উদাহরণ দিয়ে আরও ভালো করে বুঝে নেই। মনে করুন আপনি একটি Laptop তৈরি করার কথা চিন্তা করতেছেন। কিন্তু বাজারে অনেক ভালো ভালো কোম্পানি আছে যাদের Laptop গ্রাহকরা অধিক পছন্দ করে। তাহলে লোকেরা আপনার বানানো ল্যাপটপটি কেন কিনবে?
এখনই প্রয়োজন গবেষণা করার বিষয়টি। এখানে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে গ্রাহকের চাহিদা কি। গ্রাহক কি রকম বা কি কি ফিচার,ফাংশন এবং কোন Budget এর ল্যাপটপ সহজে কিভাবে সেটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
তারপর তাদের চাহিদা অনুযায়ী এরকম একটি ল্যাপটপ তৈরি করার পর আপনাকে প্রমোশন করতে হবে। প্রডাক্ট প্রমোশনের বিভিন্ন টিপসের মাধ্যমে আপনার ল্যাপটপ বা পণ্যের বিষয়টি লোকের সামনে তুলে ধরতে হবে। সমসং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের বুঝাতে হবে তারা আপনার ল্যাপটপটি কেন কিনবে? বা আপনার ল্যাপটপটি কিনলে তাদের কি লাভ?
এবার যদি আপনার তৈরি করা ল্যাপটপ বা অন্য কোন প্রোডাক্ট গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করছে বা তাঁদের লাভ হচ্ছে তাহলে তারা অবশ্যই সে প্রোডাক্টটি কিনবে।
সবশেষে আপনার কাজ হচ্ছে প্রোডাক্ট Selling Distributing. আর এ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকেই বলা যায় marketing।
মার্কেটিং এর ক্ষেত্র
মার্কেটিং এর প্রধান চারটি ক্ষেত্র হচ্ছে –
- প্রডাক্ট
- প্রাইজ
- প্লেস
- প্রমোশন
প্রোডাক্ট : যে পণ্যটি নিয়ে আপনি মার্কেটিং করতে চান সেটি হল প্রোডাক্ট।
প্রাইজ : যে দামে পণ্য বা প্রোডাক্টে বিক্রি করতে চান সেটি হলো প্রাইজ।
প্লেস : যে স্থান থেকে গ্রাহক বা ক্রেতা পণ্যটি ক্রয়় করবে।
প্রমোশন : প্রমোশন হলো যেভাবে আপনি আপনার পণ্য বা প্রোডাক্টটি প্রচার বা প্রসার করতেে চান।
সেলস এবং মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
মার্কেটিং বলতে পণ্য বা প্রোডাক্টের বিক্রি করাকে বুঝায় না। মার্কেটিং হল অনলাইন বা অফলাইনের মাধ্যমে ব্যান্ডিং, এডভার্টাইজিং এবং প্রমোশন করে পণ্য বা প্রডাক্টকে জনসাধারণের মাঝে প্রচার বা প্রসার করা। অর্থাৎ মার্কেটিংয়ের কাজ হল জনসাধারণের মাঝে প্রোডাক্ট এর বিষয়ে জানানো।
আরে মার্কেটিং প্রক্রিয়ার রেজাল্ট শেষে অবশ্যই সেলসের বিক্রিতে পরিণত হয়। পরোক্ষভাবে মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য প্রোডাক্ট সেল করানো, তবে সেলস এর বিষয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।
সেলস হলো যেখানে আপনি একটি পণ্য বা প্রোডাক্ট সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে আপনি যখন গ্রাহকের কাছে যাবেন তখন আপনার উদ্দেশ্যই থাকবে গ্রাহকের কাছে কিভাবে আপনার পণ্যটি সেলস করা যায়।
আর মার্কেটিং হলো এমন প্রক্রিয়া যেখানে প্রডাক্ট বা পণ্যটির সেলস করার পরিকল্পনা করা হয়। এতক্ষণে আপনারা হয়তো সেলস এবং মার্কেটিং এর পার্থক্য বুঝে গেছেন।
মার্কেটিং এর প্রকারভেদ
মার্কেটিং মূলত দুই প্রকার।
- Business to Business (B2B)
- Business to Consumer (B2C)
Business to Business (B2B) Marketing
বিজনেস টু বিজনেস মার্কেটিং কে B2B মার্কেটিং ও বলা হয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যবসায়ীদের মাঝখানে লেনদেন করা হয়। যেমন –
মনে করুন আপনার একটি Manufacture Company আছে। আপনি ব্যবসার মার্কেটিং করছেন একজন Wholesaler এর কাছে। অথবা একটি Wholesaler Business এর সাথে একটি Retail Business এর লেনদেন হচ্ছে।
লক্ষ করে দেখবেন, এ ক্ষেত্রে ব্যবসা কিন্তু সাধারণ গ্রাহকদের কাছে কোন লেনদেন, প্রচার বা মার্কেটিং করছে না। এভাবে একটি বিজনেসের সাথে অন্য একটি বিজনেসের মার্কেটিং করার প্রক্রিয়াকে Business to Business (B2B) মার্কেটিং বলে।
Business to Consumer (B2C) Marketing
Business to Consumer মার্কেটিংকে B2C ও বলা হয়।B2C র ক্ষেত্রে, সরাসরি গ্রাহকদের টার্গেট করে, প্রচার প্রমোশন বা এডভার্টাইজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং টিপসগুলো এপ্লাই করা হয়।
যেমন – মনে করুন আপনি একটি বইয়ের মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন। আপনি যদি এ বইটি নিয়ে সর্বসাধারণের মাঝে গিয়ে প্রচার, প্রমোশন বা এডভার্টাইজিং করেন তাহলে সে মার্কেটকে B2C মার্কেটিং বলা হয়।
অর্থাৎ, Business to Consumer এমন একটি মার্কেটিং কৌশল, যেখানে জনগণের কাছে গিয়ে ব্যবসার প্রচার করা হয়। এখানে অনলাইন বা অফলাইন যেকোনো কৌশল ব্যবহার করে মার্কেটিং করা যায়।
মার্কেটিং কীভাবে করব?
এতক্ষণ আমরা মার্কেটিং নিয়ে জানলাম, চলুন তাহলে এবার জেনে নেই, মার্কেটিং কীভাবে করব? আমরা ৩ টি টিপস বা কৌশল ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারি। এগুলো হচ্ছে –
- Traditional Marketing
- Digital Marketing
- Word of Mouth Marketing
Traditional Marketing
রেডিও, টিভি, নিউজপেপার, ব্যানার, টেমপ্লেট,লিফলেট, ফেসটুন ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্য বা প্রোডাক্ট প্রচারণা করায় হলো Traditional Marketing. এ মার্কেটিং এ ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বেশি কিন্তু আশানুরূপ সাফল্য পাওয়া যায় না।
এ মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় Physical Advertising অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমানে Physical Marketing প্রক্রিয়াগুলোর ব্যবহার কমে যাচ্ছে। কারণ এক্ষেত্রে টার্গেট করা গ্রাহকদের টার্গেট করা অনেক কঠিন।
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
বর্তমান যুগ হচ্ছে ইন্টারনেটের যুগ। ঘরে বসেই মানুষ এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব কাজ করতে পারে। এককথায় পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়।
আর এ ডিজিটাল যুগে অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মার্কেটিং করার প্রক্রিয়ায় হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) . ডিজিটাল মার্কেটিংকে ইন্টারনেট মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিংও বলা হয়।
এটি একটি অনেক জনপ্রিয় মার্কেটিং কৌশল। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে পারবেন।
বর্তমানে ছোট, বড় প্রায় সব কোম্পানি বা ব্যবসাগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট বা পণ্যগুলো প্রচার চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে যেকোনো ধরণের
- প্রোডাক্ট
- ইমেজ
- সার্ভিস
- বিজনেস
- ব্র্যান্ড
- ব্লগ
- ওয়েবসাইট
- ভিডিও কনটেন্ট ইত্যাদি
জিনিস ঘরে বসে থেকে টার্গেট গ্রাহকদের কাছে প্রমোট করতে পারবেন। তবে ইন্টারনেট মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং করার ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়া আছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধরন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কয়েকটি ধরণ হল –
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing)
- কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
- এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
- ই-মেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing)
- পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (Paid Advertisement)
- এসইও (SEO)
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing)
- ওয়েব এনালাইটিক্স (Web Analytic)
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) : ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে সোশ্যাল কমিউনিকেশনের জন্য যে সাইট গুলো ব্যবহাার করি এগুলো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। আর এগুলোর মাধ্যমে যদি কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট প্রমোট বা প্রচার করি তাহলে সেটা হবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। যেমন – টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট।
কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) : অনলাইনে কনটেন্ট (text / image / video.. etc) পাবলিশ করে মার্কেটিং করাকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) : এখনকার সময়ে একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটিং হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে কমিশন আয়ের বিনিময়ে ব্লগার, ইউটিউবার, ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে পণ্যের মার্কেটিং করানো হয়।
ই-মেইল মার্কেটিং (E-mail Marketing): সবচেয়ে দ্রুুত এবং সহজ উপায়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্যের বিজ্ঞাপন পাঠানোর কার্যকরী পদ্ধতি হলো ই-মেইল মার্কেটিং। আপনিিি এখানে এক ক্লিকেই আপনার সার্ভিসটি লক্ষ লক্ষ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। অর্থাৎ, এটি হচ্ছে ই-মেইলের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করা। আপনি যদি ই-মেইল মার্কেটিং করে আয় করতে চান তবে নিচের ব্লগটি পড়তে পারেন –
পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (Paid Advertisement) : বর্তমানে আল্লাহ লিখেছেন জনপ্রিয় Advertisement কোম্পানি আছে। যেমন – Google Ads, Facebook Ads… etc. দের টাকা দিয়ে টার্গেট করা গ্রাহকদের কাছে করা হয় পেইড মার্কেেটিং।
এসইও (SEO) : SEO এর পূর্ণ রূপ হলো – Search Engine Optimization. এটি মূলত আপনার ওয়েবসাইটটি Google, Yahoo, Bing বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান রেজাল্টগুলো পর্যালোচনা করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এসইও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টকে গুগল-সার্চে বা সার্চ ইঞ্জিনের সবচেয়ে উপরে নিয়ে় আসে। তাই আপনার সাইটটি যদি এসইও করা থাকে তাহলে তাহলে গুগল সার্চে প্রথম পেইজে দেখাবে এর ফলে আপনার গ্রাহক বৃৃদ্ধি পাবে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing)
একজন মার্কেটারকে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। শুধু সার্চ ইঞ্জিনই যেকোন ব্রান্ডের অনলাইনে উপস্থিতি ও উন্নতির সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
ওয়েব এনালাইটিক্স (Web Analytic)
ওয়েব এনালাইটিক্স হল আপনার ওয়েবসাইটটি কতজন ভিজিট করেছে বা কোন স্থান থেকে ভিজিট করেছে তা বিভিন্ন সাইট বা সফটওয়ারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা। অর্থাৎ মোটকথা হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এনালাইসিস করাকে ওয়েব এনালাইটিক্স বলে।
Word of Mouth Marketing
এ মার্কেটিং প্রক্রিয়া খুবই লাভজনক। এর মাধ্যমে নতুন নতুন কোম্পানিগুলো প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যখন গ্রাহকের কাছে প্রোডাক্টটি ভালো লাগবে এবং তারা সেই প্রোডাক্টের বিষয়ে ব্যক্তিগত জীবনে শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করবে তখন ওয়ার্ড অফ মাউথ মার্কেটিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
ভেবে দেখুন, যখন আপনার কোন একটি ফোনের মডেল ভালো লাগে তখন আপনি কি করেন? তখন আপনি অবশ্যই সে মোবাইলে ফিচারগুলোর ব্যাপারে পরিবারের সদস্যদের বা বন্ধুদের বলেন। এককথায় ফোনটি অন্যের কাছে প্রমোট করেন। এতে করে সেই ফোনের মডেল ও কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের ফ্রিতে মার্কেটিং হয়ে যাচ্ছে। আর সেটা করছে একজন গ্রাহক বা গ্রাহক হিসেবে আপনি নিজেই।
যেমন – রেডমি, অপু, রিয়েলমি, স্যামসাং ইত্যাদি ফোনগুলো যখন বাজারে এসেছিল তখন এগুলো ব্যাপার আমরা কেউ জানতাম না।তখন এই Word of Mouth Marketing এর মাধ্যমেই এগুলো জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্কেটিং এর কিছু কৌশল
যেকোন ব্যবসায় সফল হওয়া অনেক কষ্টের। তবে আপনি যদি মার্কেটিং এর কিছু কৌশল জেনে থাকেন তাহলে সফল হওয়া অনেকটাই সহজ। তাই আমি মার্কেটিং এর কিছু কৌশল সম্পর্কে এখানে বলব –
- আপনাকে প্রথমেই ভাবতে হবে গ্রাহকের চাহিদা কি? আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে গ্রাহকদের কি লাভ হবে, সেটা আগে তাদের জানাতে হবে।
- গ্রাহকদের বাজেট জানার চেষ্টা করুন। তারপর সেটা মাথায় রেখে আপনার প্রোডাক্টের দাম যদি কম হয় তাহলে কেন সেটা কম আবার যদি বেশি হয় তাহলে কেন সেটা বেশি তা গ্রাহকদের বুঝিয়ে বলুন।
- অন্যদের তুলনায় আপনার প্রোডাক্ট কেন ভালো সেটা বোঝাতে পারলে ৬০% গ্রাহকরা অধিক আগ্রহী হবে।
- প্রায় ৭০% গ্রাহকরা একটি ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ব্যবহার করে। তারা মনে করে যে ভালো ব্র্যান্ড মানেই ভালো প্রোডাক্ট। তাই আগে থেকেই নিজের বিজনেস ব্র্যান্ডের ভালো ছবি তৈরি করতে হবে।
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজে যেকোনো বিষয়ে গ্রাহকদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন চালাতে পারবেন। এতে করে ঘরে বসে থাকা লোকেরাও আপনার বিজনেসের বিষয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারবে ইত্যাদি ।
মার্কেটিং সম্পর্কে উপরে আমি যেসব কৌশলের কথা বললাম সেগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনারা নিজের মার্কেটিংয়ে উন্নতি করতে পারবেন।
শেষ কথা
তাহলে বন্ধুরা, আশা করি মার্কেটিং নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে গেছেন। আর যদি মার্কেটিং নিয়ে কোন প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।