মোবাইল ফোন | মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধা

আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যার অন্যতম একটি আবিষ্কার হচ্ছে মোবাইল ফোন। বর্তমান বিশ্বে মোবাইল ফোনের সাথে পরিচয় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম হাতিয়ার এটি। এর আবিষ্কারের ফলে কোন আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব বা অন্য কাউকে চিঠি পাঠিয়ে উওরের আশায় বসে থাকতে হয় না। এই মোবাইলের মাধ্যমেই এখন মুহূর্তের মধ্যে দেশ-বিদেশের যেকোন মানুষের সাথে সহজে যোগাযোগ করা সম্ভব। এটি আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ছাড়া আমাদের এখন এক মুহূর্ত চলে না। চলুন তাহলে মোবাইল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই –

মোবাইল ফোন কি?

মোবাইল ফোনকে সেলুলার ফোন, সেলফোন, হ্যান্ড ফোন বা মুঠোফোনও বলা হয়। এটি তারবিহীন টেলিফোন বিশেষ। মোবাইল অর্থ হলো ভ্রাম্যমান বা স্থানান্তরযোগ্য। এটিকে সহজেই যেকোন স্থানে নেওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায় বলে একে মোবাইল ফোন নামকরণ করা হয়।

ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে তারা প্রথম সফলভাবে প্রায় ১ কেজি ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন। ১৯৮৩ সালে প্রথম মোবাইল ফোনের বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে।

মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য –

  • সকল GSM ফোনে একটি সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়।
  • সকল ফোন ব্যবহারকারীকে কথা বলার ও মেসেজ সুবিধা প্রদান করে।
  • সকল ফোনের একটি ব্যাটারি থাকে, যা ফোনের পাওয়ার সরবরাহ করে।
  • সেটের কি প্যাড ব্যবহার করে ইনপুটের কাজ করা হয়।
  • বর্তমানে আধুনিক স্মার্টফোনে টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করে ইনপুট করা যায়।
  • প্রতিটি ফোনের একটি IMEI ( International Mobile Equipment Identity)। এটি থাকার ফলে ট্র্যাকার সিস্টেমের মাধ্যমে চুরি হওয়া সেট পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
  • সকল ডিভাইসগুলোর একটি একক IMSI ( International Mobile Subscriber Identity) নম্বর থাকে।

মোবাইল ফোনের সুবিধা

  • খুব সহজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
  • দেশ বিদেশের যেকোনো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর কাছে SMS প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।
  • ই-মেইল প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।
  • বিপদআপদে আপনজনকে খবর পৌঁছানো যায়।
  • মানুষ প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে।
  • দ্রুত সংবাদ আদান-প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।
  • অডিও,ভিডিও কল করা ও ছবি তুলা যায়।
  • অডিও, ভিডিও রেকর্ড করা যায়।
  • ভয়েস এবং ভিডিও চ্যাটিং করা যায়।
  • গান শোনা ও ভিডিও দেখা যায়।
  • ব্লুটুথ ও ইনফ্রারেড প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
  • ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায় ইত্যাদি।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের অসুবিধা

  • ছাত্রছাত্রীরা মোবাইলের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে ফলে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়।
  • অপরাধ প্রবণতার সাথে সহজেই জড়াতে পারে।
  • মোবাইল নেটওয়ার্ক মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • বাচ্চা ছেলেমেয়েরা মোবাইল ব্যবহারে অধিক আকৃষ্ট হচ্ছে।
  • এর মাধ্যমে সহজেই অন্যকে ঠকানো যায়।
  • এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *