সূরা ইয়াসিন অর্সসহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত
পবিত্র কুরআনে ১১৪ টি সূরার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা হলো সূরা ইয়াসিন। এটি পবিত্র কোরআনের ৩৬ নং সূরা। এর ৮৩ টি আয়াত ও ৫ টি রুকু আছে। এটি মাক্কী সূরা। এই সুরা ইয়াসিনকে কোরআনের প্রাণ বলা হয়। পূর্ণ্যের দিক থেকেও এটি অনন্য। এ সূরায় মানবজীবনের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়। প্রমাণ স্বরূপ নিচে কয়েকটি হাদিস দেওয়া হলো।
সূরা ইয়াসিনের বিভিন্ন নাম
- আয়ীমা
- মুয়িম্মাহ
- মুদাফিয়াও
- কাযিরা ইত্যাদি।
সূরার নাম | ইয়াসিন |
আয়াত | ৮৩ |
রুকু | ৫ |
শ্রেণী | মাক্কী সুরা |
পারার ক্রম | ২২-২৩ |
সূরার ক্রম | ৩৬ |
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘প্রতিটি বস্তুর একটি হৃদয় আছে এবং কোরআনের হৃদয় হল সূরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি একবার সূরা ইয়াছির তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে পুরো কোরআন দশবার পাঠ করার পুরস্কার দান করবেন। ‘(তিরমিযী)
নবী (সাঃ) আরও বলেছেন, ‘সূরা ইয়াসীন কোরআনের প্রাণ। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য সূরা ইয়াছিন তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে ক্ষমা।
তাছাড়া এ সূরাটি আমাদের পরকালের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তিরমিযী শরিফে উল্লেখ আছে যে, একবার সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে দশবার কুরআন খতম করার ফজিলত পাওয়া যায় এবং তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, যদি রাতে সুরা ইয়াসিন পাঠ করা হয়, তাহলে সে একজন নির্দোষ হয়ে জেগে ওঠে এবং পূর্বের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হয়। যে ব্যক্তি বেশি বেশি সূরা ইয়াসিন পড়বে, এই সূরাটি কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে তার জন্য সুপারিশ করবে।
নবী (সাঃ) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াছিন পড়বে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।
হযরত আবু যর (রাঃ) তায়ালা আনহু বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, মৃত্যুর সময় কোন ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যুর যন্ত্রণা লাঘব হয়। (মাজহারী)
ইয়াহইয়া ইবনে কাথির বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পড়বে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে (মাজহারী)।
এগুলো ছাড়াও, সূরা ইয়াসিনের অনেক ফজিলত হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সূরা ইয়াসিনের অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেই।
সূরা ইয়াসিন
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
(1)
আরবীঃ يس
উচ্চারণঃ ইয়া-সী-ন্
অর্থঃ ইয়া সীন।
(2)
আরবীঃ وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
উচ্চারণঃ অল্ ক্বর্ আ-নিল্ হাকীম্।
অর্থঃ শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের।
(3)
আরবীঃ إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
উচ্চারণঃ ইন্নাকা লামিনাল্ র্মুসালীন্।
অর্থঃ তুমি অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত।
(4)
আরবীঃ عَلَىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
উচ্চারণঃ আলা-ছির-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্
অর্থঃ তুমি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।
(5)
আরবীঃ تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ তান্যীলাল্ ‘আযীর্যি রহীম্।
অর্থঃ কুরআন অবতীর্ণ পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহর নিকট হতে।
(6)
আরবীঃ لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
উচ্চারণঃ লিতুন্যিরা ক্বওমাম্ মা য়উন্যিরা আ-বা-য়ুহুম্ ফাহুম্ গ-ফিলূন্ ।
অর্থঃ যাতে তুমি সতর্ক করতে পার এমন এক জাতিকে যাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, যার ফলে তারা গাফিল।
(7)
আরবীঃ لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَىٰ أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
উচ্চারণঃ লাক্বাদ্ হাকক্বল্ ক্বওলু ‘আলা য় আক্ছারিহিম্ ফাহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
অর্থঃ তাদের অধিকাংশের জন্য সেই বাণী অবধারিত হয়েছে; সুতরাং তারা ঈমান আনবেনা।
(8)
আরবীঃ إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ
উচ্চারণঃ ইন্না-জ্বা‘আল্না-ফী য় আ’না-ক্বিহিম্ আগ্লা-লান্ ফাহিয়া ইলাল্ আয্ক্বা-নি ফাহুম্ মুকমাহূন্।
অর্থঃ আমি তাদের গলদেশে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি, ফলে তারা উর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে।
(9)
আরবীঃ وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ
উচ্চারণঃ অজ্বা‘আল্না-মিম্ বাইনি আইদী হিম্ সাদ্দাঁও মিন্ খল্ফিহিম্ সাদ্দান্ ফায়াগ্শাইনা-হুম ফাহুম্ লা-ইয়ুব্ছিরূন্।
অর্থঃ আমি তাদের সম্মুখে প্রাচীর ও পশ্চাতে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং তাদেরকে আবৃত করেছি, ফলে তারা দেখতে পায়না।
(10)
আরবীঃ وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
উচ্চারণঃ অসাওয়া-য়ুন্ ‘আলাইহিম্ আ আর্ন্যাতাহুম্ আম্ লাম্ তুর্ন্যিহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
অর্থঃ তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর তাদের জন্য উভয়ই সমান; তারা ঈমান আনবেনা।
(11)
আরবীঃ إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَٰنَ بِالْغَيْبِ ۖ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ
উচ্চারণঃ ইন্নামা-তুন্যিরু মানিত্তাবা‘আয্ যিকর অখশির্য়া রাহ্মা-না বিল্গাইবি ফাবার্শ্শিহু বিমাগ্ফিরতিঁও অআজরিন্ কারীম্।
অর্থঃ তুমি শুধু তাদেরকেই সতর্ক করতে পার যারা উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখে দয়াময় রাহমানকে ভয় করে। অতএব তুমি তাদেরকে ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের সংবাদ দাও।
(12)
আরবীঃ إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَىٰ وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ ۚ وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
উচ্চারণঃ ইন্না-নাহ্নু নুহ্য়িল্ মাওতা- অনাক্তুবু মা-ক্বাদ্দামূ অআ-ছা-রহুম্; অকুল্লা শাইয়িন্ আহ্ছোয়াইনা-হু ফী য় ইমা-মিম্ মুবীন্।
অর্থঃ আমিই মৃতকে করি জীবিত এবং লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা তারা পশ্চাতে রেখে যায়, আমি প্রত্যেক বিষয়কে স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।
(13)
আরবীঃ وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ
উচ্চারণঃ অদ্ব্রিব্ লাহুম্ মাছালান্ আছ্হা-বাল্ র্ক্বইয়াহ্; ইয্ জ্বা-য়াহাল্ র্মুসালূন্।
অর্থঃ তাদের নিকট উপস্থিত কর এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত; তাদের নিকট এসেছিল রাসূলগণ।
(14)
আরবীঃ إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ
উচ্চারণঃ ইয্ র্আসালনা য় ইলাইহিমুছ্ নাইনি ফাকায্যাবূহুমা- ফা‘আয্যায্না-বিছা-লিছিন্ ফাক্ব-লূ য় ইন্না য় ইলাইকুম্ র্মুসালূন্।
অর্থঃ যখন আমি তাদের নিকট পাঠিয়েছিলাম দু’জন রাসূল, কিন্তু তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলল; তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দ্বারা এবং তারা বলেছিলঃ আমরাতো তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
(15)
আরবীঃ قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَٰنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ
উচ্চারণঃ ক্বা-লূ মা য় আন্তুম ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুনা- অমা য় আন্যার্লা রহ্মা-নু মিন্ শাইয়িন্ ইন্ আন্তুম ইল্লা-তাক্যিবূন্।
অর্থঃ তারা বললঃ তোমরাতো আমাদের মত মানুষ, দয়াময় কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা শুধু মিথ্যাই বলছ।
(16)
আরবীঃ قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ
উচ্চারণঃ ক্ব-লূ রব্বুনা-ইয়া’লামু ইন্না য় ইলাইকুম্ লার্মুসালূন্।
অর্থঃ তারা বললঃ আমাদের রাব্ব জানেন যে, আমরা অবশ্যই তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
(17)
আরবীঃ وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
উচ্চারণঃ অমা- ‘আলাইনা য় ইল্লাল্ বালা-গুল্ মুবীন্।
অর্থঃ স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দায়িত্ব।
(18)
আরবীঃ قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ ۖ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
উচ্চারণঃ ক্ব-লূ য় ইন্না-তাত্বোয়াইর্য়্যানা-বিকুম্, লায়িল্লাম্ তান্তাহূ লার্না জুমান্নাকুম্ অলা-ইয়ামাস্ সান্নাকুম্ মিন্না-‘আযা- বুন্ আলীম্।
অর্থঃ তারা বললঃ আমরা তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। যদি তোমরা বিরত না হও তাহলে তোমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ হতে তোমাদের উপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অবশ্যই আপতিত হবে।
(19)
আরবীঃ قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ ۚ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ ۚ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ
উচ্চারণঃ ক্ব-লূ ত্বোয়া-য়িরুকুম্ মা‘আকুম্ আয়িন্ যুর্ক্কিতুম্; বাল্ আন্তুম্ ক্বওমুম্ মুস্রিফূন্।
অর্থঃ তারা বললঃ তোমাদের অমঙ্গল তোমাদেরই সাথে, এটা কি এ জন্য যে, আমরা তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি? বস্তুতঃ তোমরা এক সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায়।
(20)
আরবীঃ وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَىٰ قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ
উচ্চারণঃ অজ্বা-য়া মিন্ আকছোয়াল্ মাদীনাতি রাজুলুঁই ইয়াস্‘আ-ক্ব-লা ইয়া-ক্বওমিত তাবি‘উল্ মুরসালীন্
অর্থঃ নগরীর প্রান্ত হতে এক ব্যক্তি ছুটে এলো, সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়! রাসূলদের অনুসরণ কর।
(21)
আরবীঃ اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ
উচ্চারণঃ ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াস্য়ালুকুম্ আজরঁও অহুম্ মুহ্তাদূন্।
অর্থঃ অনুসরণ কর তাদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায়না এবং তারা সৎ পথপ্রাপ্ত।
(22)
আরবীঃ وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
উচ্চারণঃ অমা-লিয়া লা য় আ’বুদুল্লাযী ফাত্বোয়ারানী অ ইলাইহি র্তুজ্বা‘ঊন্।
অর্থঃ আমার কি যুক্তি আছে যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁর নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে আমি তাঁর ইবাদাত করবনা?
(23)
আরবীঃ أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَٰنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِ
উচ্চারণঃ আ আত্তাখিযু মিন্ দূনিহী য় আ- লিহাতান্ ইঁইয়্যুরির্দ্নি রহমা-নু বির্দ্বুরিল্ লা-তুগ্নি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম্ শাইয়াঁও অলা-ইয়ুন্ক্বিযূন্।
অর্থঃ আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য মা‘বূদ গ্রহণ করব? দয়াময় (আল্লাহ) আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবেনা এবং তারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবেনা।
(24)
আরবীঃ إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
উচ্চারণঃ ইন্নী য় ইযাল্লাফী দ্বলা-লিম্ মুবীন্।
অর্থঃ এরূপ করলে আমি অবশ্যই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত হব।
(25)
আরবীঃ إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
উচ্চারণঃ ইন্নী য় আ-মান্তু বিরব্বিকুম্ ফাস্মা‘ঊন্।
অর্থঃ আমিতো তোমাদের রবের উপর ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন।
(26)
আরবীঃ قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ ۖ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ
উচ্চারণঃ ক্বীলাদ্ খুলিল্ জ্বান্নাহ্; ক্ব-লা ইয়ালাইতা ক্বওমী ইয়া’লামূন্।
অর্থঃ তাকে বলা হলঃ জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলে উঠলঃ হায়! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারত –
(27)
আরবীঃ بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ
উচ্চারণঃ বিমা-গফারলী রব্বী অ জ্বা‘আলানী মিনাল্ মুক্রমীন্।
অর্থঃ কি কারণে আমার রাবব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং সম্মানিত করেছেন।
(28)
আরবীঃ وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَىٰ قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ
উচ্চারণঃ অমা য় আন্যাল্না ‘আলা- ক্বওমিহী মিম্ বা’দিহী মিন্ জুন্দিম্ মিনাস্ সামা-য়ি অমা- কুন্না-মুন্যিলীন্।
অর্থঃ আমি তার মৃত্যুর পর তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আকাশ হতে কোন বাহিনী প্রেরণ করিনি এবং প্রেরণের প্রয়োজনও ছিলনা।
(29)
আরবীঃ إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ
উচ্চারণঃ ইন্ কা-নাত্ ইল্লা-ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-হিদাতান্ ফাইযা-হুম্ খ-মিদূন্।
অর্থঃ ওটা ছিল শুধুমাত্র এক মহানাদ। ফলে তারা নিথর নিস্তব্দ হয়ে গেল।
(30)
আরবীঃ يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ ۚ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
উচ্চারণঃ ইয়া-হাস্রতান্ ‘আলাল্ ‘ইবা-দি মা-ইয়াতীহিম্ র্মি রসূলিন্ ইল্লা-কা-নূ বিহী ইয়াস্তাহ্যিয়ূন্।
অর্থঃ পরিতাপ বান্দাদের জন্য! তাদের নিকট যখনই কোন রাসূল এসেছে তখনই তারা তাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছে।
(31)
আরবীঃ أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ
উচ্চারণঃ আলাম্ ইয়ারও কাম্ আহ্লাক্না-ক্বব্লাহুম্ মিনাল্ কুরূনি আন্নাহুম্ ইলাইহিম্ লা-ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
অর্থঃ তারা কি লক্ষ্য করেনা যে, তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে আমি ধ্বংস করেছি যারা তাদের মধ্যে ফিরে আসবেনা?
(32)
আরবীঃ وَإِنْ كُلٌّ لَمَّا جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ
উচ্চারণঃ অইন্ কুল্লুল্লাম্মা-জ্বামী‘উল্লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
অর্থঃ এবং অবশ্যই তাদের সকলকে একত্রে আমার নিকট উপস্থিত করা হবে
(33)
আরবীঃ وَآيَةٌ لَهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ
উচ্চারণঃ অ আ-ইয়াতু ল্লাহুমুল্ র্আদুল্ মাইতাতু আহ্ইয়াইনা-হা অ আখ্রজনা-মিন্হা-হাব্বান্ ফামিন্হু ইয়াকুলূন্।
অর্থঃ তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃত ধরিত্রী, যাকে আমি সঞ্জীবিত করি এবং যা হতে উৎপন্ন করি শস্য, যা তারা আহার করে।
(34)
আরবীঃ وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ
উচ্চারণঃ অজ্বা‘আল্না- ফীহা-জ্বান্না-তিম্ মিন্ নাখীলিঁও অআ’না বিঁও অফার্জ্জ্বানা-ফীহা-মিনাল্ ‘উইয়ূন্।
অর্থঃ তাতে আমি সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের উদ্যান এবং উৎসারিত করি প্রস্রবণ –
(35)
আরবীঃ لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
উচ্চারণঃ লিয়াকুলূ মিন্ ছামারিহী অমা ‘আমিলাত্হু আইদীহিম্; আফালা-ইয়াশ্কুরূন্।
অর্থঃ যাতে তারা আহার করতে পারে এর ফলমূল হতে, অথচ তাদের হাত ওটা সৃষ্টি করেনি। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেনা?
(36)
আরবীঃ سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
উচ্চারণঃ সুব্হা-নাল্লাযী খলাক্বল্ আয্ওয়াজ্বা কুল্লাহা-মিম্মা-তুম্বিতুল্ র্আদু অমিন্ আন্ফুসিহিম্ অমিম্মা-লা-ইয়া’লামূন্।
অর্থঃ পবিত্র মহান তিনি, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং তারা যাদেরকে জানেনা তাদের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।
(37)
আরবীঃ وَآيَةٌ لَهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُمْ مُظْلِمُونَ
উচ্চারণঃ অআ-ইয়াতুল্লা হুমুল্ লাইলু নাস্লাখু মিন্ হুন্নাহা-র ফাইযা-হুম্ মুজ্লিমূন্
অর্থঃ তাদের এক নিদর্শন রাত, ওটা হতে আমি দিবালোক অপসারিত করি, তখন সকলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
(38)
আরবীঃ وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
উচ্চারণঃ অশ্শাম্সু তাজ্ব্রী লিমুস্তার্ক্বরিল্লাহা-; যা-লিকা তাকদীরুল্ ‘আযীযিল্ ‘আলীম্।
অর্থঃ এবং সূর্য ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।
(39)
আরবীঃ وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّىٰ عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ
উচ্চারণঃ অল্ ক্বমার ক্বর্দ্দানা-হু মানা-যিলা হাত্তা- ‘আ-দা কাল্ ‘র্উজুনিল্ ক্বদীম্।
অর্থঃ এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মানযিল, অবশেষে ওটা শুস্ক বক্র পুরাতন খেজুর শাখার আকার ধারণ করে।
(40)
আরবীঃ لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۚ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
উচ্চারণঃ লাশ্ শাম্সু ইয়াম্বাগী লাহা য় আন্ তুদ্রিকাল্ ক্বমার অলাল্লাইলু সা-বিকুন্ নাহার্-; অ কুল্লুন্ ফী ফালাকিইঁ ইয়াস্বাহূন্।
অর্থঃ সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া এরং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাতার কাটে।
(41)
আরবীঃ وَآيَةٌ لَهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
উচ্চারণঃ অ আ-ইয়াতুল্লাহুম্ আন্না-হামাল্না র্যুরিয়্যাতাহুম্ ফিল্ ফুল্কিল্ মাশ্হূন্।
অর্থঃ তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
(42)
আরবীঃ وَخَلَقْنَا لَهُمْ مِنْ مِثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ
উচ্চারণঃ অখলাক্ব্না-লাহুম্ মিম্ মিছ্লিহী মা-ইর্য়াকাবূন্।
অর্থঃ এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
(43)
আরবীঃ وَإِنْ نَشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنْقَذُونَ
উচ্চারণঃ অইন্ নাশানুগ্রিক হুম্ ফালা-ছোয়ারীখ লাহুম্ অলা-হুম্ ইয়ুন্ক্বযূন্।
অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।
(44)
আরবীঃ إِلَّا رَحْمَةً مِنَّا وَمَتَاعًا إِلَىٰ حِينٍ
উচ্চারণঃ ইল্লা-রহ্মাতাম্ মিন্না- অমাতা-‘আন্ ইলা-হীন্।
অর্থঃ কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।
(45)
আরবীঃ وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
উচ্চারণঃ অইযা-ক্বীলা লাহুমুত্তাকু মা-বাইনা আইদীকুম্ অমা-খল্ফাকুম্ লা‘আল্লাকুম্ র্তুহামূন্।
অর্থঃ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।
(46)
আরবীঃ وَمَا تَأْتِيهِمْ مِنْ آيَةٍ مِنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ
উচ্চারণঃ অমা-তাতীহিম্ মিন্ আ-ইয়া-তীম্ মিন্ আ-ইয়া-তি রব্বিহিম্ ইল্লা-কা-নূ ‘আন্হা-মু’রিদ্বীন্।
অর্থঃ যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়।
(47)
আরবীঃ وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَنْ لَوْ يَشَاءُ اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
উচ্চারণঃ অ ইযা- ক্বীলা লাহুম্ আনফিকু মিম্মা-রযাক্ব কুমুল্লা-হু ক্ব-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আ-মানূ য় আনুত্ব‘ইমু মাল্লাও ইয়াশা-য়ুল্লা-হু আত্ব্‘আমাহূ য় ইন্ আন্তুম্ ইল্লা-ফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
অর্থঃ যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ।
(48)
আরবীঃ وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
উচ্চারণঃ অ ইয়াকুলূনা মাতা-হা-যাল্ ওয়া’দু ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্
অর্থঃ তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?
(49)
আরবীঃ مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ
উচ্চারণঃ মা-ইয়ান্জুরূনা ইল্লা-ছোয়াইঁহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান্ তাখুযুহুম্ অহুম্ ইয়াখিছ্ছিমূন্।
অর্থঃ তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে।
(50)
আরবীঃ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَىٰ أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ
উচ্চারণঃ ফালা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা তাওছিয়াতাঁও অলা য় ইলা য় আহ্লিহিম্ ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
অর্থঃ তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।
(51)
আরবীঃ وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُمْ مِنَ الْأَجْدَاثِ إِلَىٰ رَبِّهِمْ يَنْسِلُونَ
উচ্চারণঃ অনুফিখ ফিছ্ ছূরি ফাইযা-হুম্ মিনাল্ আজদা-ছি ইলা-রব্বিহিম্ ইয়ান্সিলূন্।
অর্থঃ শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে।
(52)
আরবীঃ قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَنْ بَعَثَنَا مِنْ مَرْقَدِنَا ۜ ۗ هَٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَٰنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ
উচ্চারণঃ ক্ব-লূ ইয়া-অইলানা-মাম্ বা‘আছানা-মিম্ র্মাক্বদিনা-,হা-যা-মা-অ‘আর্দা রহ্মা-নু অ ছদাক্বাল্ র্মুসালূন্।
অর্থঃ তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।
(53)
আরবীঃ إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ
উচ্চারণঃ ইন্ কা- নাত্ ইল্লা- ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-দাহিদাতান্ ফাইযা-হুম্ জ্বামী‘উল্ লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
অর্থঃ এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।
(54)
আরবীঃ فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
উচ্চারণঃ ফাল্ ইয়াওমা লা-তুজ্লামু নাফ্সুন্ শাইয়াঁও অলা-তুজযাওনা ইল্লা-মা-কুন্তুম্ তা’মালূন্।
অর্থঃ আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে।
(55)
আরবীঃ إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ
উচ্চারণঃ ইন্না আছ্হা-বাল্ জ্বান্নাতিল্ ইয়াওমা ফী শুগুলিন্ ফাকিহূন্।
অর্থঃ এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে।
(56)
আরবীঃ هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ
উচ্চারণঃ হুম্ অআয্ওয়া-জুহুম্ ফী জিলা-লিন্ ‘আলাল্ আর-য়িকি মুত্তাকিয়ূন্।
অর্থঃ তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।
(57)
আরবীঃ لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُمْ مَا يَدَّعُونَ
উচ্চারণঃ লাহুম্ ফীহা-ফা-কিহাতুঁও অলাহুম্ মা- ইয়াদ্দা‘ঊন্।
অর্থঃ সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।
(58)
আরবীঃ سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ
উচ্চারণঃ সালা-মুন্ ক্বওলাম্ র্মি রর্ব্বি রহীম্।
অর্থঃ করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।
(59)
আরবীঃ وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
উচ্চারণঃ ওয়াম্তা-যুল্ ইয়াওমা আইয়ুহাল্ মুজরিমূন্।
অর্থঃ হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।
(60)
আরবীঃ أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لَا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
উচ্চারণঃ আলাম্ আ’হাদ্ ইলাইকুম্ ইয়া-বানী য় আ-দামা আল্লা-তা’বুদুশ্ শাইত্বোয়া-না ইন্নাহূ লাকুম্ ‘আদুওয়্যুম্ মুবীন্।
অর্থঃ হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
(61)
আরবীঃ وَأَنِ اعْبُدُونِي ۚ هَٰذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ
উচ্চারণঃ অআ নি’বুদূনী হা-যা-ছির- তুম্ মুস্তাক্বীম্।
অর্থঃ এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
(62)
আরবীঃ وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا ۖ أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
উচ্চারণঃ অলাক্বদ্ আদ্বোয়াল্লা মিন্কুম্ জ্বিবিল্লান্ কাছীর-; আফালাম্ তাকূনূ তা’ক্বিলূন্।
অর্থঃ শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?
(63)
আরবীঃ هَٰذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ
উচ্চারণঃ হা-যিহী জ্বাহান্নামুল্লাতী কুন্তুম্ তূ‘আদূন্।
অর্থঃ এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।
(64)
আরবীঃ اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ
উচ্চারণঃ ইছ্লাওহাল্ ইয়াওমা বিমা-কুন্তুম্ তাক্ফুরূন্।
অর্থঃ তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।
(65)
আরবীঃ الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
উচ্চারণঃ আল্ইয়াওমা নাখ্তিমু ‘আলা য় আফ্ওয়া-হিহিম্ অ তুকাল্লিমুনা য় আইদীহিম্ অতাশ্হাদু র্আজুলুহুম্ বিমা-কা-নূ ইয়াক্সিবূন্।
অর্থঃ আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।
(66)
আরবীঃ وَلَوْ نَشَاءُ لَطَمَسْنَا عَلَىٰ أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّىٰ يُبْصِرُونَ
উচ্চারণঃ অলাও নাশা-য়ু লাত্বোয়ামাস্না-‘আলা য় আ’ ইয়ুনিহিম্ ফাস্তাবাক্বছ্ ছির-ত্বোয়া ফাআন্না-ইয়ুব্ছিরূন্।
অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!
(67)
আরবীঃ وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَىٰ مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ
উচ্চারণঃ অলাও নাশা-য়ু লামাসাখ্না-হুম্ ‘আলা-মাকা-নাতিহিম্ ফামাস্ তাত্বোয়া-‘ঊ মুদ্বিয়্যাওঁ অলা- ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।
(68)
আরবীঃ وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ ۖ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
উচ্চারণঃ অ মান্ নু‘আ র্ম্মিহু নুনাক্কিস্হু ফিল্ খল্ক্ব ; আফালা-ইয়া’ক্বিলূন্।
অর্থঃ আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?
(69)
আরবীঃ وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنْبَغِي لَهُ ۚ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُبِينٌ
উচ্চারণঃ অমা-‘আল্লাম্না-হুশ্ শি’রা অমা-ইয়াম্বাগী লাহ্; ইন্ হুওয়া ইল্লা-যিক্রুঁও অক্বর্ আ-নুম্ মুবীন্।
অর্থঃ আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
(70)
আরবীঃ لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ
উচ্চারণঃ লিইয়ুন্যির মান্ কা-না হাইয়্যাঁও অ ইয়াহিকক্বল্ ক্বওলু ‘আলাল্ কা-ফিরীন্।
অর্থঃ যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
(71)
আরবীঃ أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
উচ্চারণঃ আওয়া লাম্ ইয়ারাও আন্না-খলাক্না-লাহুম্ মিম্মা-‘আমিলাত্ আইদীনা য় আন্‘আ-মান্ ফাহুম্ লাহা-মা-লিকূন্।
অর্থঃ তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।
(72)
আরবীঃ وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
উচ্চারণঃ অ যাল্লাল্না-হা লাহুম্ ফামিন্হা- রকূবুহুম্ অ মিন্হা-ইয়াকুলূন্।
অর্থঃ আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
(73)
আরবীঃ وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
উচ্চারণঃ অলাহুম্ ফীহা-মানা-ফি‘ঊ অমাশা-রিব্; আফালা- ইয়াশ্কুরূন্।
অর্থঃ তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?
(74)
আরবীঃ وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنْصَرُونَ
উচ্চারণঃ অত্তাখযূ মিন্ দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল্ লা‘আল্লাহুম্ ইয়ুন্ছোয়ারূন্।
অর্থঃ তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।
(75)
আরবীঃ لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُحْضَرُونَ
উচ্চারণঃ লা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা নাছ্রহুম্ অহুম্ লাহুম্ জ্বুন্দুম্ মুহ্দ্বোয়ারূন্।
অর্থঃ অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে।
(76)
আরবীঃ فَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ ۘ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
উচ্চারণঃ ফালা- ইয়াহ্যুন্কা ক্বওলুহুম্; ইন্না-না’লামু মা-ইয়ুর্সিরূনা অমা-ইয়ু’লিনূন্।\
অর্থঃ অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে।
(77)
আরবীঃ أَوَلَمْ يَرَ الْإِنْسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِنْ نُطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُبِينٌ
উচ্চারণঃ আওয়ালাম্ ইয়ারল্ ইন্সা-নু আন্না-খলাক্ব্ না-হু মিন্ নুত্ব্ ফাত্ব্ন্ ফাইযা-হুঅ খছীমুম্ মুবীন্।
অর্থঃ মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।
(78)
আরবীঃ وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ ۖ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ
উচ্চারণঃ অ দ্বোয়ারাবা লানা-মাছালাঁও অ নাসিয়া খল্ক্বাহ্; ক্ব-লা মাইঁ ইয়ুহ্য়িল্ ‘ইজোয়া-মা অহিয়া রমীম্।
অর্থঃ সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে?
(79)
আরবীঃ قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ
উচ্চারণঃ কুল্ ইয়ুহ্য়ীহাল্লাযী য় আন্শায়াহা য় আও অলা র্মারাহ্; অহুওয়া বিকুল্লি খল্ক্বিন্ ‘আলীমুনি।
অর্থঃ বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।
(80)
আরবীঃ الَّذِي جَعَلَ لَكُمْ مِنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنْتُمْ مِنْهُ تُوقِدُونَ
উচ্চারণঃ ল্লাযী জ্বা‘আলা লাকুম্ মিনাশ্ শাজ্বারিল্ আখ্দ্বোয়ারি না-রন্ ফাইযা য় আন্তুম্ মিন্হু তূক্বিদূ ন্।
অর্থঃ যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।
(81)
আরবীঃ أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ ۚ بَلَىٰ وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণঃ আওয়া লাইসাল্লাযী খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া বিক্ব-দিরিন্ ‘আলা য় আইঁ ইয়াখ্লুক্ব মিছ্লাহুম্; বালা-অহুওয়াল্ খল্লাকুল্ ‘আলীম্।
অর্থঃ যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
(82)
আরবীঃ إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ
উচ্চারণঃ ইন্নামা য় আম্রুহূ য় ইযা য় আর-দা শাইয়ান্ আইঁ ইয়াকুলা লাহূ কুন্ ফাইয়াকূন্
অর্থঃ তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়।
(83)
আরবীঃ فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
উচ্চারণঃ ফাসুব্হা-নাল্ লাযী বিয়াদিহী মালাকূতু কুল্লি শাইয়িঁও অ ইলাইহি র্তুজ্বাঊ’ন্
অর্থঃ অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
সূরা ইয়াসিনের গুরুত্ব ও ফজিলত
আমাদের জন্য আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো পবিত্র আল কোরআন। এখানে অনেক সূরা রয়েছে। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরার (সুরা ইয়াসিন) গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব। নিম্নে এর গুরুত্ব ও ফজিলত দেওয়া হলোঃ
01. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যদি কোন ব্যক্তি একবার সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাহলে তাকে দশবার কুরআন খতম করার পুরস্কার দেওয়া হবে।
02. নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর সময় সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে এবং জেগে উঠবে সে নির্দোষভাবে জেগে উঠবে। আল্লাহ তার পাপ ক্ষমা করবেন।
03. যে ব্যক্তি নিয়মিত করে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন এ সূরাটি আল্লাহর কাছে সুপারিশ করা হবে।
04. যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসীন পাঠ করে তবে তার জন্য বেহেশতের ৮টি দরজাই খোলা থাকবে।
05. যদি একজন মৃত ব্যক্তিকে সূরা ইয়াসিন পাঠ করা হয়, তাহলে তার মৃত্যুর যন্ত্রণা দূর হবে। কবরে প্রশ্নের উত্তর সহজ হবে।
07. কেউ যদি বিপদের সময় সূরা ইয়াছিন পাঠ করে, তাহলে সে বিপদ থেকে রক্ষা পাবে।
07. নিয়মিত সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে, মহান আল্লাহ তার মনের বৈধ আশা পূরণ করবেন।
08. এই সূরাটি কেউ লিখে রাখলে সাথে রাখে, আল্লাহ তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।
09. যদি কেউ প্রতিদিন সকালে এই সূরাটি পাঠ করে, তাহলে সেই ব্যক্তির সমস্ত কাজ সহজ হবে, আর্থিক সচ্ছলতা আসবে, সে সারাদিন আল্লাহর রহমতে থাকবে। যেকোনো মহামারী থেকে নিরাপদ থাকবে। আল্লাহ তাকে শত্রুর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করবেন।
10. যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পাঠ করে তাকে আল্লাহ জালিমের অত্যাচার থেকে রক্ষা করবেন।
এগুলো ছাড়াও এ সুরার আরও অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে। এর ফজিলতের কথা বলে শেষ করা যাবে না।