সহজ অর্থে, নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করাকে আত্মকর্মসংস্থান (Self-employment) বলে।
আরও একটু স্পষ্ট করে বলা যায় যে, নিজস্ব অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্মপ্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলা হয়। আত্মকর্মসংস্থান হচ্ছে মজুরি বেতনভিত্তিক চাকরির বিকল্প পেশার অন্যতম উপায়। আত্মকর্মসংস্থান পেশা বলতে বুঝায় যখন কোনাে ব্যক্তি স্বীয় দক্ষতা বা গুণাবলির বলে সেবা দানের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা চালায়।
উদাহারণস্বরূপ বলা যায় যে, আত্মকর্মসংস্থান হচ্ছে যখন একজন কাঠ মিস্ত্রি একটি কাঠের ফার্মে বেতনের বিনিময়ে উপার্জন না করে নিজেই কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করে এবং এ থেকে যে আয় হয় তা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে। বলতে গেলে একটি দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার বেশিরভাগই আত্মকর্মসংস্থানে নিয়ােজিত।
উদ্যোগ ও আত্মকর্মসংস্থানের মধ্যে পার্থক্য কি?
উদ্যোগ ও আত্মকর্মসংস্থানের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেয়া হলোঃ
উদ্যোক্তা
- যেকোনো কাজের কর্মপ্রচেষ্টাই উদ্যোগ।
- উদ্যোগের মাধ্যমে অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়।
- উদ্যোগ যেকোনো কাজের জন্য নেওয়া যেতে পারে।
আত্মকর্মসংস্থান
- নিজেই নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হলো আত্মকর্মস্থান।
- আর আত্মকর্মসংস্থানে নিজের কাজের ব্যবস্থা করা হয়।
- আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ব্যক্তির উদ্যোগ প্রয়োজন হয়।