স্থায়ী হিসাব কাকে বলে? স্থায়ী হিসাবের সুবিধা ও অসুবিধা কি?

আমানতকারীরা ব্যাংকের যে হিসাবে এক সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমানত হিসাবে জমা দেয় এবং ঐ নির্দিষ্ট সময়ের আগে না উঠানোর জন্য অঙ্গীকার করে তাকে স্থায়ী হিসাব বলে। কমপক্ষে তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদে এই হিসাব খোলা হয়। এ হিসাবের উপর সবচেয়ে বেশি হারে সুদ পাওয়া যায়। সুদ পরিত্যাগ করে এ হিসাবের অর্থও নির্দিষ্ট সময়ের আগে তুলা যায়।

স্থায়ী হিসাবের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ

সুবিধাসমূহ

  • একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্থ জমা রেখে এই হিসাব খুলতে হয়। ফলে বাধ্যতামূলকভাবে আমানতকারীর সঞ্চয় সৃষ্টি হয়।
  • মেয়াদের পরিমাণ যত বেশি হয় সুদের হারও তত বেশি হয়।
  • সর্বোচ্চ মেয়াদ পার হওয়ার পরও আমানত জমা রাখলে জমাকৃত অর্থের উপরে সর্বোচ্চ সুদের হারের চেয়েও বেশি হারে সুদ দেওয়া হয়।
  • মেয়াদ শেষে সুদসহ আমানতের মোট অর্থ পুনঃরায় নির্দিষ্ট মেয়াদে আমানত রাখা যায়।

অসুবিধাসমূহ

  • সব ধরনের লোকের পক্ষে এই হিসাব খোলা সম্ভব হয় না।
  • এই হিসাব খুলতে কমপক্ষে ১০০০ টাকা জমা দিতে হয়।
  • হিসাব খোলার সময় একবারেই সম্পূর্ণ টাকা জমা দিতে হয়।
  • মেয়াদ শেষে চুক্তি নবায়ন না করলে কোন সুদ পাওয়া যায় না।
  • স্থায়ী হিসাবের মোট মুনাফা থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে সরকারী লেভী (levy) হিসাবে কেটে রাখা হয়।
  • মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে টাকা উত্তোলন করা যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *