চৌরিচৌরা ঘটনাটি বর্ণনা করো।
চৌরিচৌরার ঘটনাটি ঘটেছিল ব্রিটিশ শাসনামলে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে।
চৌরিচৌরা (Chauri Chaura) হলো একটি গ্রামের নাম। এই গ্রামটি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলায় এটি অবস্থিত। ১৯২২ সালে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে উত্তেজিত জনতা গ্রামে অবস্থিত থানা আক্রমণ করে এবং থানায় অগ্নিসংযোগ করে ২৩ জন পুলিশকে পুড়িয়ে মেরে ফেলে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গান্ধিজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যহার করে নেন।
এই ঘটনাটির দুদিন আগে অর্থাৎ ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯২২ সালে, স্বেচ্ছাসেবকেরা বাজারে মাংসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এক অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করে। এখানে কিছু মানুষকে স্থানীয় পুলিশেরা মারে এবং দলের নেতাদের জেলে আটক করে। যা করেছিল চৌরিচৌরা পুলিশ ষ্টেশনের পুলিশেরা। এরই প্রতিবাদে ৪ ফ্রেব্রুয়ারি পুলিশের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদের আয়োজন করা হয় স্থানীয় বাজার এলাকায়। সেদিন প্রায় দু থেকে আড়াই হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল এবং চৌরিচৌরা বাজারের দিকে মিছিল করে যেতে শুরু করে।
সকলে মিলে চৌরিচৌরা পুলিশ স্টেশনের সামনে জড়ো হয় এবং স্লোগান দিতে থাকে, তাদের বন্দী নেতাকে মুক্তি দিতে হবে। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে থামানোর জন্য প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন, এতে জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ঢিল ছুড়তে শুরু করেন এবং পরবর্তীতে ঘটনা সামলাতে না পেরে পুলিশ জনতার ওপর গুলি ছুড়তে শুরু করেন, তিন জন নিহত ও অনেকে আহত হন তখন সাধারণ জনগণ পুলিশের চৌকিতে প্রবেশ করে। পুলিশের চৌকিতে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দিলে বন্ধ অবস্থায় ২২ জন পুলিশ মারা যায়, তথ্য হতে জানা যায় পরে আরও একজন পুলিশ মারা যায়।