লাবণী পয়েন্ট সমুদ্র সৈকত (Laboni Point Sea Beach)
লাবনী পয়েন্ট (Laboni Point) কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত। প্রতিবার এখানে শত শত মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ এসবে হারিয়ে যেতে লোক সমাগম দেখাই যায়।
সকালবেলা দিগন্তে জলরাশি ভেদকরে রক্তবর্ণের থালার মতো সূর্য। অস্তের সময় দিগন্তের চারিদিকে আরো বেশি স্বপ্নিল রঙ মেখে সে বিদায় জানায়। কক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবনী পয়েন্ট পর্যটকদের কাছে প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী বিচ হেটে যেতে ১৫ মিনিট লাগবে।
লাবণী পয়েন্টে পাবেন ঝিনুক মার্কেট, এছাড়াও ছোট-বড় অনেক দোকান যেখানে নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানীরা যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। এছাড়া, লাবনী বিচে আছে সমুদ্রের ধার ঘেঁষে গড়ে ওঠা বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট, যেখানে খেতে খেতে মনোরম সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।
বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ। সকালবেলা দিগন্তে জলরাশি ভেদকরে রক্তবর্ণের থালার মতো সূর্য। অস্তের সময় দিগন্তের চারিদিকে আরো বেশি স্বপ্নিল রঙ মেখে সে বিদায় জানায়। এসব সৌন্দর্যের পসরা নিয়েই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে রচনা করেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।
লাবনী বিচ ধরে হেঁটে হেঁটে পূর্ব দিকে সোজা চলে যাওয়া যায় হিমছড়ির দিকে। যতোই সামনে এগোবেন ততোই সুন্দর হয়ে উঠবে এই সৈকত। সকাল বেলা বের হলে এই সৌন্দর্যের সাথে বাড়তি পাওনা হবে নানান বয়সী জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। আপনি যদি সমুদ্রের পুরো রূপ উপভোগ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়টুকু বিচে কাটাতে হবে। ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় সমুদ্র সৈকতের ভিন্ন রূপ দেখে আপনি নিশ্চিত বিমোহিত হবেন। পূর্ণিমার সময় গেলে অবশ্যই সন্ধ্যার পরের সময়টুকু সৈকতে কাটাতে পারেন।
সাথে থাকছে বিনোদনের জন্য বাইক রাইড তিন চাকার বেশ কয়েকটি বিচে চলার উপযোগী বাইক কক্সবাজার সাগর সৈকতে চলাচল করে। প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে এসব বাইক রাউন্ড প্রতি পঞ্চাশ টাকা করে পর্যটকদের প্রদান করতে হয়। স্পিড-বোট বিচে বেশ কয়েকটি স্পিড-বোট চলে। মেইন বিচ থেকে এগুলো চলাচল করে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত। ভাড়া এক রাউন্ড ১০০টাকা। এছাড়া খোলা স্পিড-বোটের সাহায্যে চলে লাইফ বোট জনপ্রতি ভাড়া ২৫০ টাকা।
লাবনী পয়েন্টের আশেপাশে হোটেলের এর নাম্বার সমূহ :
মোটেল উপল, লাবনী রোড, কক্সবাজার ০৩৪১-৬৪২৫৮, ৬৪২৪৬, ৬৪২৫৮, ৬৪২৪৬
মোটেল প্রবাল, ০৩৪১-৬৩২১১, ৬২৬৩৫, ৬৩২১১, ৬২৬৩৫
মোটেল লাবনী, লাবনী পয়েন্ট রোড – ০৩৪১-৬৪৭০৩
হোটেল লং বীচ ০৩৪১-৫১৮৪৩-৬
লাক্সারী কটেজ সাগরিকা ফোন – ০৩৪১-৬৩২৭৪
হোটেল অভিসার (প্রাঃ) লি:, সি বিচ রোড ০৩৪১-৬৩০৬১
প্যনোয়া, লালদিঘীর পূর্ব পাড় ০৩৪১-৬৩২৮২,৬৪৩৮২
হোটেল সীবীচ, কলাতলী ০৩৪১-৬৪১৫৬,৬৪৫৫০
হোটেল সী ওয়ার্ল্ড, কলাতলী রোড, কক্সবাজার ০৩৪১-৫১৬২৫
লাবনী পয়েন্টের পাশে খাওয়াদাওয়া ও রেস্টুরেন্ট :
যদি দুপুরে ও রাতে বাইরে খেতে চান তবে কক্সবাজারে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন। বেশীরভাগ রেস্টুরেন্ট কলাতলী রোডে অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য রেস্টুরেন্টগুলো হচ্ছে : পৌশী রেস্টুরেন্ট, ঝাউবন রেস্টুরেন্ট, লাইভ ফিস রেস্টুরেন্ট, নিরিবিলি অর্কিড ক্লাব এন্ড রেস্টুরেন্ট, মারমেইড ক্যাফে, ডিভাইন সী স্টোন ক্যাফে, কয়লা, স্টোন ফরেস্ট, তারাঙ্গা রেস্টুরেন্ট, কাশবন রেস্টুরেন্ট, পানকৌড়ী রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি।
এসব হোটেল ভাত, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, মাংস, ভর্তা-ভাজি, শুটকি মাছ থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবার পাবেন। তবে খাবার অর্ডার দেয়ার আগে দাম জেনে নিবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
প্রথমত কক্সবাজার যাওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রতি বছর সমুদ্রের পানিতে গোসল করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটে মূলত সতর্কতা ও সচেতনতার অভাবে। লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী সৈকত পর্যন্ত বেশকিছু গুপ্ত খাল রয়েছে। অসাবধানতার কারণে বেশীর ভাগ পর্যটক ভাটার সময় নেমে এই খালে পরে প্রাণ হারায়।
সুতরাং, ভাটার সময় সৈকতে গোসল করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা চৌকির সংকেত অনুসরণ করে সৈকতে গোসলে নামলে বিপদ থেকে দূরে থাকা যায়। চৌকি থেকে ভাটা ও জোয়ারের সময় অনুযায়ী লাল ও সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয়। সবুজ পতাকার সময় গোসল করা নিরাপদ। প্রয়োজনে সাথে লাইফ জ্যাকেট রাখা যেতে পারে। প্রবাল সাধারণত ধারাল হয়ে থাকে।