কার্শফের সূত্র কাকে বলে? কার্শফের সূত্র কয়টি ও কি কি?

কার্শফের সূত্র কাকে বলে? (What is called Kirchhoff’s Laws in Bengali/Bangla?)
ওহমের সূত্রের সাহায্যে সহজ সরল বর্তনীর কারেন্ট ও রোধ নির্ণয় করা সহজ হয়; কিন্তু, জটিল বর্তনীর ক্ষেত্রে ওহমের সূত্রের সাহায্যে সমাধান করা খুব দূরূহ ব্যাপার। তাই জটিল বর্তনীর কারেন্ট ও শাখা ভোল্টেজ ড্রপ নির্ণয়ের জন্য কার্শফের সূত্র প্রয়োগ করতে হয়। জটিল নেটওয়ার্কের জন্য জার্মান পদার্থবিদ গুস্তাভ রবার্ট কার্শফ দুটি সূত্র আবিষ্কার করেন। তাঁর নাম অনুসারে সূত্র দুটিকে কার্শফের সূত্র বলে।

কার্শফের সূত্রের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Kirchhoff’s Laws)
কার্শফের সূত্র দুটি। যথা-
(ক) কারেন্ট সূত্র বা পয়েন্ট সূত্র এবং
(খ) ভোল্টেজ সূত্র বা মেশ সূত্র।

(ক) কারেন্ট সূত্র বা পয়েন্ট সূত্র : কোনো ইলেকট্রিক্যাল নেটওয়ার্কের নোড বা জাংশনে আগত কারেন্ট ও নির্গত কারেন্টের বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য হবে।
(খ) ভোল্টজ সূত্র বা মেশ সূত্র : কোনো একটি লুপের ভোল্টেজ উৎস এবং প্রত্যেক রেজিস্ট্যান্সের ভোল্টেজ ড্রপের বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য হবে।

কার্শফের সূত্রের প্রয়োগ (Application of Kirchhoff’s Laws)

কার্শফের সূত্র প্রয়োগ করা হয়–
১. জটিল বর্তনীর রোধ ও বিদ্যুৎ প্রবাহ মাত্রা নির্ণয় করতে।
২. রোধ পরিমাপের জন্য হুইটস্টোন ব্রিজ নীতি প্রতিষ্ঠা করতে।
৩. বর্তনীর বিভব পার্থক্য নির্ণয় করতে।
৪. বিদ্যুৎ কোষের শ্রেণি সমবায়ে এবং সমান্তরাল সমবায়ে কার্শফের সূত্র প্রয়োগ করা হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *