ল্যাপ (Lap) অর্থাৎ কোলের উপর রেখে কাজ করা যায়, এমন ছোট আকারের কম্পিউটারকে ল্যাপটপ (Laptop) বলে। ল্যাপটপ কম্পিউটার নোট বুক বা পাওয়ার বুক ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ১৯৮১ সালে এপসম কোম্পানি প্রথম ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রবর্তন করে।
ল্যাপটপের সুবিধাসমূহ (Advantages of Laptop)
- এটি ডেস্কটপ পিসির চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।
- লোড শেডিংয়ের সময় ডেস্কটপ চালাতে হলে ইউপিএস ব্যবহার করা হয় এবং তার ব্যাকআপ দেওয়ার ক্ষমতা ১৫-৩০ মিনিট হয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের সাথে ব্যাটারী সংযুক্ত থাকে। বিদ্যুৎ না থাকলে ল্যাপটপকে মডেলভেদে ২-৮ ঘণ্টা চালানো যায়।
- ল্যাপটপ ডেস্কটপ পিসির চেয়ে আকারে অনেক ছোট ও হালকা। ল্যাপটপ কম্পিউটার দেখতে অনেকটা ছোট ব্রিফকেসের মত। এটি সহজে বহনযোগ্য।
- এতে মাউসের পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা হয়।
ল্যাপটপের অসুবিধাসমূহ (Disadvantages of Laptop)
- ডেস্কটপ পিসি একস্থানে থাকে এবং তেমন নড়াচড়া করতে হয়না। তাই তার কোন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ল্যাপটপ বহনযোগ্য, তাই হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে যেতে পারে।
- সাধারণ মানের ল্যাপটপের ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে ডেস্কটপ পিসিগুলোর চেয়ে অনেক কম হয়ে থাকে। তবে ডেস্কটপের সমান ক্ষমতার ল্যাপটপের দাম আকাশ ছোঁয়া। কাজেই দামের দিক থেকে তুলনা করলে ল্যাপটপের সমকক্ষ ডেস্কটপ পিসির দাম অনেক কম।
- ডেস্কটপের ক্ষেত্রে কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলে সহজে বদল করা যায়। কিন্তু ল্যাপটপের খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যেমন কষ্টকর, তেমনি তার দামও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।