ইঙ্কজেট প্রিন্টার (Inkjet Printer)
ইঙ্ক জেট প্রিন্টার হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ ধরনের প্রিন্টার যা কম্পিউটারের সাথে সংযোগ দেওয়া থাকে। একটি ইঙ্ক-গান তার সূচালো মুখ দিয়ে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কালির কনা নিক্ষেপ করে। কালির কণাগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে চলমান কাগজের উপর বিভিন্ন স্থানে পড়ে এবং প্রয়োজনমত অক্ষর বা ছবির আকৃতি ছাপে।
ইঙ্কজেট প্রিন্টারের সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
- উচ্চ মানের মুদ্রণ
- অধিক নির্ভরযোগ্য
অসুবিধা
- প্রতি পেজের খরচ হিসাবে ব্যয়বহুল
- লেজার প্রিন্টারের তুলনায় ধীর গতি।
ডট ম্যাটিক্স প্রিন্টার (Dot matrix printer)
ডট ম্যাটিক্স প্রিন্টার এক ধরনের সিরিয়াল ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার। এক্ষেত্রে কাগজ ও হেডের মাঝখানে কালিযুক্ত ফিতা বা রিবন থাকে। হেডের ভেতরে আকারে সাজানো কয়েকটি নমনীয় strick থাকে। strick গুলো রিবনের উপর আঘাত করে অক্ষরগুলো একের পর এক ছাপিয়ে যায়। বিভিন্ন ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারের ম্যাট্রিক্স এর সাইজ বিভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন – 7 x 7 বা 9 x 7 ম্যাট্রিক্স ইত্যাদি। এখানে প্রথম সংখ্যা দ্বারা সারি এবং দ্বিতীয় সংখ্যা দ্বারা কলাম বুঝায়। যখন যে বর্ণ ছাপাতে হয় তখন সে বর্ণের ডট প্যাটার্ন বিন্দুগুলোর অনুরূপ পিনগুলো প্রিন্ট হেড থেকে বেরিয়ে এসে কালিমাখা ফিতাকে আঘাত করে। ফলে কাগজের ওপর বর্ণটি তৈরি হয়। এ প্রিন্টারের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৩০০টি পর্যন্ত বর্ণ ছাপানো যায়।
ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারের সাহায্যে বর্ণ ছাড়াও ছবি, গ্রাফ বা চার্ট প্রিন্ট করা যায়। এই প্রিন্টারে ফন্ট নির্দিষ্ট নয়। বরং সুইচ সেটিং এর মাধ্যমে এতে ভিন্ন ভিন্ন ফন্ট নির্ধারণের পাশাপাশি সফটওয়্যারের সাহায্যেও সহজেই ফন্ট পরিবর্তন করা যায়। ব্যবহারকারীর ইচ্ছে অনুযায়ী বর্ণকে বিভিন্ন আকৃতিতে প্রিন্ট করা যায়। সাদা কালো প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার এর হেড ম্যাকানিজমটি বেশ সহজ এবং রিবনটি কালো। কিন্তু রঙিন বা কালার প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা আছে। কালার প্রিন্টারের রিবনে চারটি প্রাথমিক রং থাকে। রং গুলো হলো লাল, নীল, হলুদ এবং কালো। এর চারটি রংয়ের প্রয়োজনীয় মিশ্রণে বিভিন্ন রংয়ের ডট সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন রংয়ের ডট তৈরির জন্য রিবনটিকে ওপরে নিচে প্রয়োজন মত উঠানো নামানোর ব্যবস্থা থাকে। যেহেতু ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারে রং এর সংখ্যা সীমিত তাই উচ্চমানের কালার প্রিন্টিং এর জন্য এটি উপযোগী নয়।