স্টেরয়েড হচ্ছে একধরনের ঔষধ যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে বেশি দিন এ ঔষধ সেবন করলে মানুষের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, অস্টিওপোরেসিস, যক্ষ্মা এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ ইত্যাদি।
জীববিজ্ঞান (Biology) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। প্রাণী পরাগী ফুল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল ফুলের পরাগায়ন প্রাণীর মাধ্যমে ঘটে সেসব ফুলকে প্রাণী পরাগী ফুল বলে।
প্রশ্ন-২। উভলিঙ্গ ফুল কাকে বলে? উভলিঙ্গ ফুলের উদাহরণ
উত্তরঃ যে ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবক দুটোই উপস্থিত থাকে তাকে উভলিঙ্গ ফুল বলে। যেমন- ধুতুরা, জবা, সরিষা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৩। যুক্ত গর্ভপত্রী ফুল কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন একটি ফুলে কতগুলো গর্ভপত্র নিয়ে একটি স্ত্রীস্তবক গঠিত হয় এবং এরা সম্পূর্ণভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তখন তাকে যুক্ত গর্ভপত্রী ফুল বলে।
প্রশ্ন-৪। ধাঙর কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব প্রাণী আবর্জনা ও মৃত প্রাণী খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার রাখে সেসব প্রাণীকে ধাঙর বলে। যেমন– হায়েনা।
প্রশ্ন-৫। দ্বিতীয় স্তরের খাদক কাকে বলে? দ্বিতীয় স্তরের খাদক কোনটি?
উত্তরঃ যেসব প্রাণী তৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাদের গৌণ খাদক বা দ্বিতীয় স্তরের খাদক বলে। এরা মাংসাশী প্রাণী। যেমন- ব্যাঙ, শিয়াল, বাঘ, কিছু জলজ পতঙ্গ ইত্যাদি দ্বিতীয় স্তরের খাদক।
প্রশ্ন-৬। প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য কাকে বলে?
উত্তরঃ জীবের অপ্রকাশিত বৈশিষ্ট্যকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে। অর্থাৎ, প্রকট বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতিতে যেসব বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয় না তাকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে।
প্রশ্ন-৭। নিউক্লিওলাস কাকে বলে?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত ক্ষুদ্র, গোল, উজ্জ্বল ও অপেক্ষাকৃত ঘন বস্তুকে নিউক্লিওলাস বলে। নিউক্লিওলাস RNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত। প্রতিটি নিউক্লিয়াসে একটি বা দুটি নিউক্লিওলাস থাকতে পারে।
প্রশ্ন-৮। অ্যাম্বিলিকাল কর্ড কি?
উত্তরঃ যে নালির ভেতর দিয়ে মাতৃদেহের সাথে ভ্রূণের বিভিন্ন পদার্থের বিনিময় ঘটে সেই নালিই হলো অ্যাম্বিলিকাল কর্ড।
প্রশ্ন-৯। পস্টুলেটেড হরমোন কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের প্রাকৃতিক প্রধান হরমোনগুলি ছাড়াও আরো কিছু হরমোন আছে যাদের আলাদা করা বা শনাক্ত করা যায় না, কিন্তু উদ্ভিদের ফুল ও জনন সংশ্লিষ্ট অঙ্গের বিকাশে সাহায্য করে, তাদেরকে পস্টুলেটেড হরমোন বলে।
প্রশ্ন-১০। রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি?
উত্তরঃ থ্যালাসেমিয়া হলো রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ। এই রোগে লোহিত রক্তকণিকারগুলো নষ্ট হয়ে রক্ত শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এই রোগ বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে। দুই ধরনের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়– আলফা (a) ও বিটা (B) থ্যালাসেমিয়া।