ট্রান্সজেনিক প্রাণী কাকে বলে? ট্রান্সজেনিক প্রাণী ও ক্লোন প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য কি?
রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তিতে আকাঙ্খিত কোন জিনকে কোন প্রাণীদেহে স্থাপন করাকে ট্রান্সফেকশন বলে। এ পদ্ধতির প্রথমে রিকম্বিনেন্ট DNA উৎপাদন করা হয়। এই রিকম্বিনেন্ট DNA কে মাইক্রো ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রাণীর নিষিক্ত ডিম্বাণুর প্রোনিউক্লিয়াসে প্রবেশ করানো হয়। রূপান্তরিত ডিম্বাণুকে মাতৃপ্রাণীর জরয়াুতে স্থাপন করে ভ্রুণের পরিস্ফুটন ঘটানো হয়। এভাবে উদ্ভাবিত প্রাণীকে ট্রান্সজেনিক প্রাণী বলে। ট্রান্সজেনিক প্রাণী স্বাভাবিক প্রাণী হতে অনেক উন্নতমানের হয়।
ট্রান্সজেনিক প্রাণী ও ক্লোন প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য কি?
ট্রান্সজেনিক প্রাণী ও ক্লোন প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য নিম্নে দেওয়া হলোঃ
ট্রান্সজেনিক প্রাণী
- এ ধরনের প্রাণীর ক্ষেত্রে ডিম্বাণু বা শুক্রাণু জাইগোটে বাইরে থেকে DNA খণ্ড প্রবেশ করাতে হয়।
- এ ধরনের প্রাণীর ক্ষেত্রে জিনগত পার্থক্য সৃষ্টি হয়।
- বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে।
- মিউটেশন বা প্রকরণ সংঘটিত হয়।
- শুক্রাণু, ডিম্বাণু বা এককোষী জাইগোট ব্যবহৃত হয়।
- বাহ্যিক প্রকাশে ভিন্নতা প্রকাশ পায়।
ক্লোন প্রাণী
- এ ধরনের প্রাণীর ক্ষেত্রে একটি অনিষিক্ত ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াস অসারণ করে তার ভিতর অন্য প্রাণীর দেহকোষের নিউক্লিয়াস প্রবেশ করাতে হয়।
- এ ধরনের প্রাণীর ক্ষেত্রে জিনগত পার্থক্য সৃষ্টি হয় না।
- বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে না।
- মিউটেশন বা প্রকরণ সংঘটিত হয় না।
- কেবল ডিম্বাণুর খোলস ব্যবহৃত হয়।
- বাহ্যিক প্রকাশ একই হয়।