খাদ্য নিরাপত্তা কি?
উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্য গ্রহণ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের খাদ্যকে জীবাণু ও দূষণ মুক্ত রাখা বা স্বাস্থ্যহানির বিভিন্ন কারণগুলো থেকে খাদ্যকে মুক্ত রাখার বিষয়ই হলো খাদ্য নিরাপত্তা।
তিনটি শর্তের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়– (১) পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন ও নিশ্চিত করা, (২) খাদ্যে প্রবেশাধিকার তথা খাদ্য ক্রয় করার সামর্থ্য থাকা এবং (৩) খাদ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শরীরের পুষ্টিগত চাহিদা মেটানো।
খাদ্য নিরাপত্তার নিয়ামকসমূহ
WHO খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ৫টি দিক নির্দেশনা দিয়েছে। যথা–
দূষণমুক্ত খাদ্য : মানুষ ও পোষা প্রাণীর মাধ্যমে প্যাথোজেন দ্বারা খাদ্য দূষণ প্রতিহত করতে হবে।
কাঁচা ও রান্না খাদ্য পৃথক রাখা : রান্না খাবার দূষণমুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে কাঁচা শাক-সবজিকে তা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
যথাযথ রান্না : পর্যাপ্ত সময়ের জন্য ও সঠিক তাপমাত্রায় খাদ্য ফুটিয়ে রান্না করতে হবে যাতে প্যাথোজেন অণুজীব ধ্বংস হয়।
খাদ্য সংরক্ষণ : উপযুক্ত তাপমাত্রায় খাদ্য সংরক্ষণ করতে হয় যাতে কোন অণুজীব জন্মাতে বা বেঁচে থাকতে পারে না।
নিরাপদ পানি : ধৌতকরণ ও খাদ্য প্রস্তুতের জন্য জীবাণুমুক্ত ও নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।