যে সকল অঙ্গ শ্বসনকার্য চালানোর কাজে অংশ নেয় তাদের একসাথে শ্বসনতন্ত্র বলে।
নাসিকা, গলবিল, স্বরযন্ত্র, শ্বাসনালি, ব্রংকাস, ফুসফুস ও মধ্যচ্ছদা এগুলো নিয়ে শ্বসনতন্ত্র গঠিত।
শ্বসনতন্ত্রের কাজ
- শ্বসন গ্যাসের বিনিময়ঃ শ্বাসক্রিয়ার সময় পরিবেশের O2 রক্তে মিশে এবং রক্ত থেকে CO2 পরিবেশে বের হয়।
- শক্তি উৎপাদনঃ শ্বসনতন্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করা CO2 কোষীয় শ্বসনে ব্যবহৃত হয়ে শক্তি উৎপন্ন করে।
- পানি সাম্যতাঃ নিঃশ্বাসের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৬০০ মিলিলিটার পানি দেহ থেকে বের হয়ে যায়। এতে দেহের পানির সাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা হয়।
- তাপ নিয়ন্ত্রণঃ নিঃশ্বাসের সময় CO2 এর সাথে দেহের কিছু তাপ নির্গত হয়ে দেহের তাপমাত্রা বজায় থাকে।
- এসিড ও ক্ষারের সাম্যতাঃ নিঃশ্বাস বায়ুর মাধ্যমে দেহের বাইরে বের হওয়ায় pH নিয়ন্ত্রণে সহায়তা হয়।