বংশগতি বস্তু কাকে বলে? DNA ও RNA এর মধ্যে সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য লেখো।
যেসব বস্তুর মাধ্যমে মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য তাদের সন্তান সন্ততিতে বাহিত হয় তাদেরকে একত্রে বংশগতি বস্তু বলে। বংশগতি বস্তুর প্রধান উপাদান হলো ক্রোমোসোম। এ ক্রোমোসোমে রয়েছে DNA যেখানে জিনগুলো সুসজ্জিত থাকে। জিনই জীবের সকল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেকে বংশ পরম্পরায় বহন করে নিয়ে যায়।
DNA ও RNA এর মধ্যে সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য লেখো।
DNA ও RNA এর মধ্যে যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য থাকলেও খুব বেশি সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় না। নিচে DNA ও RNA-র মধ্যকার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উল্লেখ করা হলো
সাদৃশ্য : DNA এবং RNA উভয়ই বংশগতিয় বস্তু। DNA ও RNA হলো ক্রোমোসোমের রাসায়নিক উপাদান। উভয়ের গঠনে থাকে পেন্টোজ শ্যুগার, নাইট্রোজেন গঠিত ক্ষারক এবং ফসফেট।
বৈসাদৃশ্য : DNA এর ভৌত গঠন দ্বি-সূত্রক, ঘুরোনো সিড়ির মতো, RNA এর ভৌত গঠন একসূত্ৰক, শিকলের ন্যায়। DNA এর রাসায়নিক গঠনে থাকে ডি-অক্সিরাইবোজ শ্যুগার, এর পাইরিমিডিনে থাইমিন ও সাইটোসিন বেস থাকে।
RNA এর রাসায়নিক গঠনে থাকে রাইবোজ শ্যুগার, এর পাইরিমিডিনে ইউরাসিল ও সাইটোসিন বেস থাকে। অনুলিপনের মাধ্যমে DNA সৃষ্টি হয়। নতুনভাবে RNA সৃষ্টি হয় তবে কোনো অনুলিপন হয় না। DNA বংশগতির ধারক, বাহক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে এবং প্রোটিন সংশ্লেষ করে। RNA সাধারণত বংশগত চরিত্র বহন করে না। DNA এর নিউক্লিওটাইডের সংখ্যা অনেক বেশি অপরদিকে, RNA এর নিউক্লিওটাইডের সংখ্যা অনেক কম।