ঐচ্ছিক পেশি কাকে বলে? ঐচ্ছিক পেশির উদাহরণ ও গঠন।

যে পেশি প্রাণীর ইচ্ছানুযায়ী সংকোচিত বা প্রসারিত হয় তাকে ঐচ্ছিক পেশি বা ডোরাকাটা পেশি বলে। এ পেশি টিস্যুর কোষগুলো নলাকার, শাখাবিহীন ও আড়াআড়ি ডোরাযুক্ত হয়। এদের সাধারণত একাধিক নিউক্লিয়াস থাকে। উদাহরণ : মানুষের পায়ের পেশি।

 

ঐচ্ছিক পেশির গঠন

ঐচ্ছিক পেশির গঠন নিচে দেয়া হলো—

ঐচ্ছিক পেশির তন্তুগুলো দীর্ঘ, নিরেট ও বেলনাকার এবং দুই প্রান্ত সূঁচালো। এই তন্তুগুলো ত্রিস্তরীয় আবরণে আবৃত, সর্বভিতরের আবরণটি হলো এন্ডোমাইসিয়াম, মাঝেরটি পেরিমাইসিয়াম এবং বাইরেরটি এপিমাইসিয়াম। প্রতিটি পেশিতন্তু সারকোলেমা নামক আবরণে ঢাকা থাকে। এর সাইটোপ্লাজমকে সারকোপ্লাজম বলে যার মধ্যে একাধিক নিউক্লিয়াস এবং অসংখ্য পেশিতন্তু বা মায়োফাইব্রিল থাকে।

মায়োফাইব্রিল প্রধানত অ্যাকটিন ও মায়োসিন নামক প্রোটিন দ্বারা গঠিত। লম্বচ্ছেদে প্রতিটি মায়োফ্রাইব্রিলে কালো ও সাদা দুপ্রকার রেখা বা ব্যান্ড পর্যায়ক্রমে থাকে। গাঢ় ব্যান্ডগুলোকে অ্যানাইসোট্রপিক এবং হালকাগুলোকে আইসোট্রপিক ব্যান্ড বলে। প্রতিটি আইসোট্রপিক ব্যান্ডের মধ্যবর্তী স্থানকে সারকোমিয়ার বলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *