রসস্ফীতি কি? অভিস্রবণ ও ব্যাপনের মধ্যে পার্থক্য কি?
অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কোষে পানি প্রবেশ করলে কোষরস বৃদ্ধি পায়। কোষের সাইটোপ্লাজম আয়তনে বাড়ে। কোসের এ স্ফীত অবস্থাকে রসস্ফীতি বলে। কোষের সাইটোপ্লাজম ফুলে গিয়ে কোষ প্রাচীরের উপর যে চাপের সৃষ্টি করে তাকে রসস্ফীতি চাপ (turgor prssure) বলে। এ সময় কোষ প্রাচীর সাইটোপ্লাজমের উপর যে চাপের সৃষ্টি করে তাকে বলে প্রাচীর চাপ (wall pressure)।
যে চাপের ফলে মূলের স্ফীতি অন্তত্বকের কোষগুলো থেকে পানি জাইলেম ভেসেলে প্রবেশ করে তাকে মূলজ চাপ (root pressure) বলে।
অভিস্রবণ ও ব্যাপনের মধ্যে পার্থক্য কি?
নিচে অভিস্রবণ ও ব্যাপনের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলো–
- অভিস্রবণ শুধু তরলের ক্ষেত্রে ঘটলেও ব্যাপন তরল ও গ্যাসের ক্ষেত্রে ঘটে।
- অভিস্রবণের জন্য অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, ব্যাপন প্রক্রিয়ার জন্য কোনো পর্দার প্রয়োজন হয় না।
- অভিস্রবণ কম ঘনত্বের দ্রবণ হতে বেশি ঘনত্বের দ্রবণের দিকে ঘটে। কিন্তু, ব্যাপন অধিক ঘনত্বের দিক হতে কম ঘনত্বের দিকে ঘটে।
- অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় দ্রাবকের অণুর ব্যাপন ঘটে। অপরদিকে, ব্যাপন প্রক্রিয়ায় দ্রব ও দ্রাবক উভয় পদার্থের অণুরই ব্যাপন ঘটে।
- অভিস্রবণ সংঘটনের জন্য দুটি দ্রবণ একই দ্রাবক বিশিষ্ট হতে হয় কিন্তু ব্যাপন প্রক্রিয়া সংঘটনের জন্য দুটি দ্রবণ ভিন্ন দ্রাবক বিশিষ্ট হতে পারে।
- উদ্ভিদ অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে তবে, ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ শোষণ করে।