কোষীয় শ্বসন কাকে বলে?

যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় প্রাণিদেহের কোষস্থ খাদ্যবস্তু বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে মজুদকৃত শক্তিকে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড নিষ্কাশন করে তাকে কোষীয় শ্বসন বলে।

জীববিজ্ঞান (Biology) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। উদ্ভিদের পরিবহন কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের মূলরোম দ্বারা শোষিত পানি ও খনিজ লবণ মূল থেকে পাতায় পৌছানো এবং পাতায় তৈরি খাদ্যবস্তু সারাদেহে ছড়িয়ে পড়াকে উদ্ভিদের পরিবহন বলে।

প্রশ্ন-২। শোষক মূল কাকে বলে?
উত্তরঃ পরজীবী উদ্ভিদে ক্লোরোফিল না থাকায় খাদ্যের জন্য আশ্রয়দাতা উদ্ভিদের দেহে যে বিশেষ ধরনের মূল প্রবেশ করিয়ে খাদ্যরস শোষণ করে থাকে। সে মূলগুলোকে শোষক মূল বলে।

প্রশ্ন-৩। বুলবিল (Bulbil) কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব আরোহী উদ্ভিদের কাক্ষিত মুকুল শাখায় পরিণত না হয়ে প্রচুর খাদ্য সঞ্চয় করে গোলাকার মাংসপিণ্ডের আকার ধারণ করে তাদের বুলবিল (Bulbil) বলে।

প্রশ্ন-৪। প্রোটিন (Protein) কি?
উত্তরঃ প্রোটিন হলো অ্যামাইনো এসিডের একটি জটিল যৌগ যা হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের সমন্বয়ে গঠিত।

প্রশ্ন-৫। নিউরোগ্লিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বিশেষ প্রকার কলা নিউরোনের ধারক, অন্তরক ও সুরক্ষাকারী হিসাবে কাজ করে এবং নিউরোনের মৃত্যুর পর সেই স্থান দখল করে, তাকে নিউরোগ্লিয়া বলে।

প্রশ্ন-৬। কৈশিক জালিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ পেশিতন্তুতে চুলের মতো অতি সূক্ষ্ম রক্তনালি দেখা যায় তাকে কৈশিক জালিকা বলে। এদের প্রাচীর অত্যন্ত পাতলা। এই পাতলা প্রাচীর ভেদ করে রক্তে দ্রবীভূত সব বস্তু ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোষে প্রবেশ করে।

প্রশ্ন-৭। লেন্টিসেল (lenticel) কি?
উত্তরঃ উদ্ভিদের কাণ্ডের ত্বকে কিউটিকলবিহীন যে ছিদ্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে সেই ছিদ্রই হলো লেন্টিসেল (lenticel)।

প্রশ্ন-৮। বিটপ কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের যে অংশগুলো মাটির উপরে থাকে তাদের একসাথে বিটপ বলে। বিটপে কাণ্ড, পাতা, ফুল ও ফল থাকে।

প্রশ্ন-৯। পক্ষল যৌগিক পত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যৌগিক পত্রে পত্রকগুলো র‌্যাকিসে বা অক্ষের দু’ধারে সাজানো থাকে তাকে পক্ষল যৌগিক পত্র বলে।

প্রশ্ন-১০। ইমবাইবিশন কাকে বলে?
উত্তরঃ কলয়েডধর্মী বিভিন্ন পদার্থ (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কোষপ্রাচীর) যে প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের তরল পদার্থ শোষণ করে তাকে ইমবাইবিশন বলে। উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন ধরনের কলয়েডধর্মী পদার্থ রয়েছে। যেমন, স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি। এসব পদার্থ তাদের কলয়েডধর্মী গুণের জন্যই পানি শোষণ করতে পারে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *