পড়াশোনা

ফেরেলের সূত্র কি বা কাকে বলে?

1 min read

ভূপৃষ্ঠের বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। এটিই ফেরেলের সূত্র। পৃথিবী সর্বদা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তিত হচ্ছে এবং নিরক্ষরেখায় এ গতিবেগ বেশি হওয়ার কারণে বায়ু সোজাসুজি নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অথবা মেরু থেকে নিরক্ষরেখার দিকে যেতে পারে না। বিজ্ঞানী ফেরেল এ তথ্যের আলোকে উপরিউক্ত সূত্র প্রদান করার কারণে তার নাম অনুসারে একে ফেরেলের সূত্র বলে।

ভূগোল (Geography) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর : ভূ-পৃষ্ঠের চারপাশে বেষ্টন করে যে বায়ুর আবরণ রয়েছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলে।

প্রশ্ন-২. গর্জনশীল চল্লিশা কি?
উত্তর : ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে ৪০° থেকে ৪৭° দক্ষিণ অক্ষাংশ পর্যন্ত পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ অত্যন্ত প্রবল। এ অঞ্চলকে বলা হয় গর্জনশীল চল্লিশা। এ বায়ু প্রবাহের ফলে ওপরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং প্রায়ই প্রবল বৃষ্টিপাত হয়।

প্রশ্ন-৩. টেকটোনিক প্লেট কি?
উত্তর : বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলকে ভূমিকম্পের সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে কতকগুলো ভাগে বিভক্ত করা হয়। এর প্রতিটি অঞ্চলকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। এ টেকটোনিক প্লেটের বৈশিষ্ট্য অনুসারে এক একটি ভূমিকম্প অঞ্চলের ক্ষেত্র নির্ধারিত হয়েছে।

প্রশ্ন-৪. ফোবোস ও ডিমোস কি?
ত্তর : ফোবোস ও ডিমোস হচ্ছে মঙ্গলগ্রহের দুটি উপগ্রহের নাম। রোমানদের যুদ্ধদেবতা দুজন অনুচরের নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়েছে।

প্রশ্ন-৫. নক্ষত্র জগৎ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : মহাবিশ্বের অনেক কিছুই মহাকাশ নামক সীমাহীন ফাঁকা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মহাবিশ্বের কোনো কোনো অংশে এসব বস্তু বা পদার্থের উপস্থিতি অন্য অংশের চেয়ে বেশি। যেসব অংশে পদার্থ বা বস্তু বেশি জড়ো বা ঘনীভূত হয়েছে তাদেরকে বলে নক্ষত্র জগৎ।

প্রশ্ন-৬. আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তর : আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে দেওয়া হলো–

  • আগ্নেয় শিলা সর্বপ্রথম ম্যাগমা থেকে সৃষ্টি হয়।
  • এটি অস্তরীভূত শিলা।
  • এ শিলা জীবাশ্মবিহীন।
  • আগ্নেয় শিলার গঠন প্রক্রিয়া একটি ভৌত পরিবর্তন।
  • এ শিলা সুদৃঢ় ও সুসংহত হওয়ায় এটি মজবুত ও শক্ত।

প্রশ্ন-৭. কৃত্রিম উপগ্রহের কাজ কি?
উত্তর :
 কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করে যেসব কাজ করা যায় তা হলো–
১. আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
২. পৃথিবীর যে কোন দেশে অনুষ্ঠিত খেলাধুলা বা যে কোন অনুষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে দেখানো যায়।
৩. সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা যায়।
৪. আন্তঃমহাদেশীয় যোগাযোগ রক্ষা করা যায়।
৫. পৃথিবীর আকার ও আকৃতি সম্পর্কিত ভূ-জরিপ করানো যায়।
৬. প্রতিরক্ষামূলক পাহারা ও বিভিন্ন সামরিক ব্যবস্থায় এটি ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৮. শিল্ড ও সিনডার আগ্নেয়গিরির মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর :
 শিল্ড আগ্নেয়গিরির লাভা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং কিছুটা ব্যাঙের ছাতার মতো ডোমের আকৃতির হয়। পক্ষান্তরে, সিনডার কোন আগ্নেয়গিরি খণ্ডিত শিলা টুকরা, লাভা বিস্ফোরক থেকে সৃষ্টি হয়। এটি সাধারণত খাড়া ঢালবিশিষ্ট এবং আকারে ছোট হয়।

প্রশ্ন-৯. চাঁদ আলোকিত দেখা যায় কেন?
উত্তর :
 চাঁদ নিজে তাপ বা আলো উৎপন্ন করতে পারে না। তা সত্ত্বেও আমরা চাঁদকে আলোকিত দেখি। এর কারণ সূর্যের আলো চাঁদের ওপর পড়ে এবং আলোকিত হয়। এ প্রতিফলিত আলোর কারণেই আমরা চাঁদকে আলোকিত দেখি।

প্রশ্ন-১০. পৃথিবীর ভেতরের অংশ কয় ভাগে বিভক্ত?
উত্তর :
 পৃথিবীর ভেতরের অংশ তিন ভাগে বিভক্ত। পৃথিবীপৃষ্ঠের নিচে পৃথিবীর অভ্যন্তরকে ঘিরে যে শক্ত স্তর রয়েছে তাই শিলামণ্ডল। শিলামণ্ডল পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত থাকতে পারে। শিলামণ্ডলের নিচে গুরুমণ্ডল আর সবশেষে পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে কেন্দ্রমণ্ডল।

5/5 - (18 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x