ঈগল বাসে ডাকাতি শেষে ধর্ষণ, ‘মূল হোতা’ গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে যাত্রীবেশে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে উঠে যাত্রীদের হাত-পা চোখ বেঁধে মারধর, সম্পদ লুট ও এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতা রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলেন বিস্তারিত জানাবেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। এর আগে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পরে ডাকাতি শেষে রাত সাড়ে তিনটার দিকে মধুপুরের রক্তিপাড়া জামে মসজিদের উল্টোপাশে মজিবরের বাড়ির সামনের বালির ডিবিতে বাস উঠিয়ে দিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। কুষ্টিয়ার বড়াইগ্রাম থেকে ঈগল পরিবহণের বাসটি ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে মঙ্গলবার ছেড়ে আসার পথে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাতে বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে নৈশভোজের জন্য যাত্রা বিরতি দেয়। পরে দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহনকরা ১০-১২ জন তরুণ যাত্রী উঠেন। তখন সবাই প্রায় ঘুমে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই তরুণ দল অস্ত্রের মুখে একে একে ঘুমন্ত যাত্রীদের সবাইকে বেঁধে ফেলে। প্রত্যেক যাত্রীর চোখ ও মুখ বেঁধে চালককেও জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, টাকা, গহনা লুট করে নেয়। তারপর এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে বাস বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে ও তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে। শেষে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ডিবিতে ঠেকিয়ে ডাকাত দল নেমে যায়।
বিস্তারিতঃ সড়কে ডাকাতি, যাত্রীদের জিম্মি করে চলে ডাকাতি নির্যাতন ও ধর্ষণ