পাবনায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, ধর্মমামা আটক

পাবনার চাটমোহর উপজেলার দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামে ধর্মমামা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে এক স্কুলছাত্রী এখন ৬ মাসের অন্তঃস্বত্বা। এ ঘটনায় সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বাঙ্গালা গ্রাম থেকে ধর্ষক ধর্মমামা সাইফুল মন্ডলকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামে। আটক সাইফুল মন্ডল দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের মৃত তফিজ মন্ডলের ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের সাইফুল মন্ডলের সাথে ধর্মভাই সম্পর্ক করেন একই গ্রামের এক মহিলা। সেই সুবাদে ওই মহিলার মেয়েরা সাইফুলকে মামা বলে ডাকতো। এ সুযোগে লম্পট সাইফুল সম্প্রতি ওই মহিলার পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছোট মেয়েকে (১৩) ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। পরে বিষয়টি সাইফুল ওই মেয়েকে জানিয়ে ফের ধর্ষণ করে এবং কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি নিয়ে আর কোনো আলোচনা হয় না। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এক সময় বিষয়টি জানাজানি হলে লম্পট সাইফুল মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এভাবেই কেটে যায় ৬ মাস। ব্যাপারটি গ্রামবাসীর মধ্যেও জানাজানি হয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা শুরু হয়।

অবস্থা বেগতিক দেখে ধর্ষক সাইফুল মন্ডল বিয়ে, জমি আর টাকার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু গ্রামবাসী বিষয়টি থানা পুলিশে জানায়। পুলিশ ঘটনা জানার পর পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খানের নির্দেশে সাইফুল মন্ডলকে আটকে অভিযান চালায়। থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গত দুই দিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোরে উপজেলার বাঙ্গালা গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধর্ষক সাইফুল মন্ডলকে আটক করে।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর এসপি স্যারকে অবগত করি। এরপর তার নির্দেশে অভিযুক্ত সাইফুলকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *