‘ওয়াজ-মাহফিলের সাউন্ড মূল অনুষ্ঠানস্থলে সীমাবদ্ধ রাখাই যৌক্তিক’ – শাইখ আহমদুল্লাহ

রাজনৈতিক সভা, বিনোদন অনুষ্ঠান, বানিজ্যিক প্রচারণা এবং ধর্মীয় ওয়াজ-আলোচনার সাউন্ড মূল অনুষ্ঠানস্থলে সীমাবদ্ধ রাখাই যৌক্তিক। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে মাইক লাগিয়ে অন্যদের শুনতে বাধ্য করা অন্যায় এবং অযৌক্তিক।

ওয়াজ মাহফিলে প্যান্ডেলের বাহিরের মাইক বড়জোর রাত ১০টা পর্যন্ত চালু থাকতে পারে। এরপর শুধু প্যান্ডেলের ভেতরের সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা উচিত। কারণ, গভীর রাত পর্যন্ত বাইরের মাইক ব্যবহারের কারণে অন্য ধর্মের অনুসারী কিংবা ঘুমন্ত মানুষ, শিশু, অসুস্থ লোক এবং বিশেষ করে পিএসসি ও জেএসসি-সহ অন্যান্য পরিক্ষার্থী; এমনকি মাহফিলের আশপাশের মানুষদের জরুরী প্রয়োজনে মোবাইলে কথাবার্তা বলাও দুরূহ হয়ে যায়। কারো ক্ষতি করে, কাউকে কষ্ট দিয়ে এভাবে ইসলাম প্রচার কোনোভাবেই ইসলামে অনুমোদিত নয়। এমন অযৌক্তিক কাজে বহু সাধারণ মানুষ বরং ইসলামের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবেন; বরং হচ্ছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে ইতিকাফ-কালে সাহাবীদেরকে উচ্চস্বরে ক্বিরাআত পড়তে শুনে পর্দা সরিয়ে বললেন, জেনে রাখো! তোমাদের প্রত্যেকেই স্বীয় রবের সাথে চুপিসারে আলাপে রত আছো। কাজেই তোমরা পরস্পরকে কষ্ট দিও না এবং পরস্পরের সামনে ক্বিরাআতে বা সালাতে আওয়ায উঁচু করো না। (সুনান আবূ দাঊদ, সালাত অধ্যায়, হাদীস নং ১৩৩২)

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন- তুমি প্রতি জুমআয় লোকদের হাদীস শোনাবে। যদি এতে তুমি ক্লান্ত না হও তবে সপ্তাহে দু’বার। আরও অধিক করতে চাও তবে তিনবার। আরও অধিক নসীহত করে এ কুরআনের প্রতি মানুষের মনে বিরক্তি সৃষ্টি করো না। লোকেরা তাদের কথাবার্তায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় তুমি তাদের কাছে এসে তাদের নির্দেশ দেবে, আমি যেন এমন হালাতে তোমাকে না পাই। কারণ এতে তাদের কথায় বিঘ্ন সৃষ্টি হবে এবং তারা বিরক্ত হবে। বরং তুমি এ সময় নীরব থাকবে। যদি তারা আগ্রহ নিয়ে তোমাকে নসীহত দিতে বলে তাহলে তুমি তাদের নসীহত দেবে। (বুখারী, অধ্যায় দুয়াসমূহ, হাদীস নং ৬৩৩৭)

সূত্র: আমাদের সময়.কম

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *