কার্বক্সিল মূলকবিশিষ্ট অ্যালিফেটিক জৈব যৌগসমূহকে ফ্যাটি এসিড বলে।
উদাহরণ : এসিটিক এসিড (CH3COOH), ফরসিক এসিড (HCOOH) ইত্যাদি।
নামকরণ : ফ্যাটি এসিডের অণুতে কয়টি কার্বন পরমাণু বিদ্যমান, সে অনুসারে এদের নামকরণ করা হয়। সমসংখ্যক কার্বন পরমাণুবিশিষ্ট অ্যালকেনের নামের শেষে e বাদ দিয়ে oic acid যোগ করে নামকরণ করা হয়। যেমনঃ–
- HCOOH = মিথানয়িক এসিড (Methane-e+oic acid).
- CH3COOH = ইথানয়িক এসিড (Ethane-e+oic acid).
জৈব এসিড ও খনিজ এসিডের মধ্যে পার্থক্য কি? (What is the difference between organic acid and mineral acid?)
যেসব জৈব যৌগ এসিড হিসেবে কাজ করে তাকে জৈব এসিড বলে। আর যেসব এসিড খনিজ পদার্থ থেকে পাওয়া যায় তাকে খনিজ এসিড বলে। জৈব এসিড দুর্বল প্রকৃতির এসিড। আর খনিজ এসিড শক্তিশালী প্রকৃতির এসিড। জৈব এসিড হলো টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড ইত্যাদি। আর খনিজ এসিড হলো সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড ইত্যাদি। জৈব এসিড এক ধরণের জৈব যৌগ। আর খনিজ এসিড এক ধরণের অজৈব যৌগ। জৈব এসিড জারক পদার্থ নয়। তবে কিছু গাড় খনিজ এসিড জারক পদার্থ হিসেবে কাজ করে। যেমন গাড় সালফিউরিক এসিড। জৈব এসিড এর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক কম। তবে খনিজ এসিডের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বেশি। জৈব এসিড দেরিতে বিক্রিয়া করে। খনিজ এসিড তাড়াতাড়ি বিক্রিয়া করে।