মৃত পশু হারাম হলেও মৃত মাছ হারাম নয় কেন?

আমরা জানি, মৃত কোন প্রাণীর মাংশ ভক্ষন করা আমাদের ইসলাম ধর্মে জায়েজ নেই। এজন্য অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারে কেন মৃত প্রাণীতে ক্ষতিকর দিক থাকলে মৃত মাছে ক্ষতিকর দিক নেই?

আসুন জেনে নিই আসল ঘটনা, কেন মৃত মাছ ইসলামে জায়েজ?

 স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে যায় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরেই মাংসের সাথে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেকারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে মাছ পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, যা কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত। কেননা মাছ পানি (H2O) থেকে শুধু অক্সিজেন বিশ্লিষ্ট করে গ্রহণ করে এতে কোন কার্বন থাকেনা, এবং শারীরিক প্রক্রিয়ার পরেও কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়না। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে মাছের মৃত্যু হলেও তার ভেতর ক্ষতিকর কোন উপাদান থাকে না। তাই মৃত মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর নয়।
কুরআনে বলা হয়েছে,
  • তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত পশু – সূরা মায়েদাহঃ (৫:৩)
  • তোমাদের জন্য সমুদ্র শিকার ও তা খাওয়া হালাল করা হয়েছে – সূরা মায়েদাহ (৫:৯৬)
হাদিসে বলা হয়েছে,
হযরত ইবনে উমর(রা) হতে বর্ণিত। রাসূলাল্লাহ(সা) বলেনঃ আমাদের জন্য দু’প্রকার মৃত জন্তু এবং দু’প্রকার রক্ত ভক্ষণ করা হালাল করা হয়েছে। মৃত জন্তু হলো মাছ ও পংগপাল। আর রক্ত হলো কলিজা এবং প্লীহা। – (ইবনে মাজাহ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *