রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৯)

প্রশ্ন-১. মোসলের সূত্র কি?
উত্তর : মোসলের সূত্রটি হলো– “পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলী তাদের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।”

প্রশ্ন-২. অক্সিজেনের যোজনী ২ কেন?
উত্তর : অক্সিজেন দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু যুক্ত করতে পারে অথবা কোন যৌগ থেকে দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু বা একযোজী পরমাণু অপসারণ করতে পারে তাই অক্সিজেনের যোজনী ২।

প্রশ্ন-৩. তেল কি?
উত্তর : তেল এমন একটি এস্টার ও স্নেহজাতীয় বস্তু যা সাধারণ তাপমাত্রায় তরল, পানির সাথে মিশে না কিন্তু জৈব দ্রাবকে মিশে যায়। এতে উচ্চমাত্রায় কার্বন ও হাইড্রোজেন রয়েছে।

প্রশ্ন-৪. জৈব রসায়ন কি?
উত্তর : জৈব রসায়ন হলো রসায়নের একটি শাখা যা হাইড্রোকার্বন ও হাইড্রোকার্বনের জাতকসমূহের গঠন, ধর্ম, সংযুক্তি এবং প্রস্তুতি বা সংশ্লেষণ আলোচনা করে।

প্রশ্ন-৫. সাবানায়ন কাকে বলে?
উত্তর : তেল বা চর্বিকে কস্টিক সোডা বা কস্টিক পটাস সহযোগে আর্দ্রবিশ্লেষণ করে সোডিয়াম বা পটাশিয়াম সাবান তৈরি করার প্রক্রিয়াকে সাবানায়ন বলে।

প্রশ্ন-৬. ফসিল ফুয়েল কাকে বলে?
উত্তর : বহু বছর আগে মাটির নিচে চাপা পড়া মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণী উচ্চ তাপ ও চাপে যে খনিজ প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলে পরিণত হয় তাদেরকে ফসিল ফুয়েল বা জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।

প্রশ্ন-৭. গ্যাসোহল কি?
উত্তর : গ্যাসোহল হলো এক প্রকার জৈব জ্বালানি যেখানে পেট্রোলের সাথে 10–20% ইথানল মিশ্রিত থাকে।

প্রশ্ন-৮. পলিমার কাকে বলে?
উত্তর : পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় একই যৌগের অসংখ্য অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে বৃহৎ অণু গঠন করে তাকে পলিমার বলে।

প্রশ্ন-৯. টলেন বিকারক কি?
উত্তর : অতিরিক্ত অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণে সিলভার নাইট্রেট যোগ করলে যে বর্ণহীন দ্রবণ উৎপন্ন হয় তাকে টলেন বিকারক বলা হয়।

প্রশ্ন-১০. ইউরিয়া ফরমালডিহাইড রেজিন কি?
উত্তর : ইউরিয়া ও ফরমালডিহাইডের (মিথান্যাল) বিক্রিয়ায় যে পলিঅ্যামাইড তৈরি হয় তাকে ইউরিয়া ফরমালডিহাইড রেজিন বলে। এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় প্লাস্টিক। এটি বাণিজ্যিক ‘ফরমিকা’ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-১১. মাস্টার্ড গ্যাস কি?
উত্তর : ইথিলিন গ্যাস সালফার ক্লোরাইডের সাথে যুক্ত হয়ে যে বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন করে তাকে মাস্টার্ড গ্যাস বলে।

প্রশ্ন-১২. কোনো মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কীভাবে জানা যাবে?
উত্তর : পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বা আকার নির্ণয়ের কোনো সূত্র নেই। তবে পর্যায় সারণি থেকে এর আকার সম্পর্কে জানা যায়। পর্যায় সারণির একই গ্রুপে উপর থেকে নিচের দিকে গেলে আকার বাড়ে। আর একই পর্যায়ের বাম থেকে ডানে গেলে পরমাণুর আকার কমে।

প্রশ্ন-১৩. আণবিক ভর কি?
উত্তর : অণুর উপাদান মৌলগুলোর পারমাণবিক ভরের যোগফলই হলো ঐ অণুর আণবিক ভর।

প্রশ্ন-১৪. হুন্ডের নীতি কি?
উত্তর : হুন্ডের নীতিটি হলো–সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটালে ইলেকট্রনগুলো এমনভাবে অবস্থান করে যেন তারা সর্বাধিক সংখ্যার অযুগ্ম বা বিজোড় অবস্থায় থাকে এবং সকল অযুগ্ম ইলেকট্রনের স্পিন একইমুখী থাকে।

প্রশ্ন-১৫. সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন কাকে বলে?
উত্তর : সমযোজী যৌগের অণুতে যে সকল ইলেকট্রন একটি বা দুটি পরমাণুতে আবদ্ধ না থেকে দুয়ের অধিক পরমাণুর মধ্যে বিস্তৃত এলাকায় পরিভ্রমণরত থাকে, এদেরকে সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন বলে।

প্রশ্ন-১৬. ডেরলিন কাকে বলে?
উত্তর : নিম্ন আণবিক ভর বিশিষ্ট অ্যালডিহাইড বা মিথান্যালের জলীয় দ্রবণকে অতি নিম্ন চাপে উত্তপ্ত করলে যে শক্ত পলিমার উৎপন্ন হয় তাকে ডেরলিন বলে।

প্রশ্ন-১৭. র‌্যাডিক্যাল (Radical) কাকে বলে?
উত্তর : যেসব পরমাণুগুচ্ছ স্বাধীনভাবে না থেকে একসাথে মৌলিক পদার্থের পরমাণুর মতো যৌগ গঠনে অংশ নেয় তাদেরকে র‌্যাডিক্যাল (Radical) বলে।

প্রশ্ন-১৮. আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব মৌলের প্রোটন সংখ্যা সমান, কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা বিভিন্ন হয় তাকে আইসোটোপ বলে।

প্রশ্ন-১৯. মিশ্র পদার্থ কাকে বলে? মিশ্র পদার্থের উদাহরণ
উত্তর : যে পদার্থে একের অধিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে তাকে মিশ্র পদার্থ বলে। যেমন, বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ। এতে মৌলিক ও যৌগিক উভয় ধরনের পদার্থ রয়েছে।

প্রশ্ন-২০. খাবার লবণ কী ধরনের পদার্থ এবং কেন?
উত্তর : খাবার লবণ হচ্ছে মূলত সোডিয়াম ক্লোরাইড নামক একটি যৌগিক পদার্থ। যেহেতু খাবার লবণ ভাঙলে সোডিয়াম ও ক্লোরিন নামক দুটি ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাই খাবার লবণ একটি যৌগিক পদার্থ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *