রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৩)

প্রশ্ন-১। রসায়ন কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থের গঠন, পদার্থের ধর্ম এবং পদার্থের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে রসায়ন বলে।

প্রশ্ন-২। পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াসের কেন্দ্র ও এর সর্ববহিঃস্থ ইলেকট্রন স্তরের মধ্যবর্তী দূরত্বকে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বলে।

প্রশ্ন-৩। দহন তাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পদার্থের এক মোলকে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে দহন করলে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, তাকে ঐ পদার্থের দহন তাপ বলে।

প্রশ্ন-৪। তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মৌলের অণুতে পরমাণু কর্তৃক শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে নিজের দিকে আকর্ষণ করার তুলনামূলক ক্ষমতাকে সেই মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।

প্রশ্ন-৫। কোয়ান্টাম মেকানিক্স কি?
উত্তরঃ কোয়ান্টাম মেকানিক্স হলো এক ধরনের গাণিতিক হিসাব নিকাশ, যা দ্বারা পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করা হয়।

প্রশ্ন-৬। পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কাকে বলে?
উত্তরঃ পর্যায় সারণিতে গ্রুপ ও পর্যায় বরাবর মৌলসমূহের ধর্মের যে ক্রম পরিবর্তন লক্ষ করা যায় তাকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলে।

প্রশ্ন-৭। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল কী?
উত্তরঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে রাদারফোর্ড পরমাণুর গঠন সম্পর্কে যে মডেল প্রদান করেন তা রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল (সৌর মডেল) নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-৮। ইলেকট্রন কাকে বলে?
উত্তরঃ পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থিত নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান ঋণাত্মক চার্জযুক্ত স্থায়ী মৌলিক কণিকাকে ইলেকট্রন বলে।

প্রশ্ন-৯। আয়নিক বন্ধন শক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ আয়নিক যৌগের বন্ধনে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন যে স্থির বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা আবদ্ধ থাকে সে শক্তিকে আয়নিক বন্ধন শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১০। আইসোটোন কাকে বলে?
উত্তরঃ একাধিক পরমাণুর মধ্যে প্রোটন সংখ্যা ও ভর সংখ্যা ভিন্ন কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা একই হলে তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোন বলে। আইসোটোন হলো বিভিন্ন মৌলের পরমাণু।

প্রশ্ন-১১। দুই এর নিয়ম কী?
উত্তরঃ বিভিন্ন মৌলের পরমাণুসমূহ নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান এবং শেয়ারের মাধ্যমে পরমাণুসমূহের শেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রনের বিন্যাস লাভ করাকে দুই এর নিয়ম বলে।

প্রশ্ন-১২। রং কি?
উত্তরঃ রং হলো এক ধরনের জৈব ও অজৈব রাসায়নিক পদার্থ যা আলোক রশ্মির দৃশ্যমান অঞ্চলের নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণকে শোষণ করে।

প্রশ্ন-১৩। রাসায়নিক সার কাকে বলে?
উত্তরঃ কার্বন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস প্রভৃতি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত রাসায়নিক পদার্থ, যা মাটিতে উদ্ভিদের পুষ্টি প্রদান করে, তাকে রাসায়নিক সার বলে।

প্রশ্ন-১৪। ফেহলিং দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তরঃ সমআয়তনের কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণ ও ক্ষারীয় সোডিয়াম পটাসিয়াম টারটারেট (রোচিলি লবণ) দ্রবণ মিশ্রিত করলে যে নীল বর্ণের দ্রবণ তৈরি হয়, তাকে ফেহলিং দ্রবণ বলে।

প্রশ্ন-১৫। সংকট তাপমাত্রা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে তাপমাত্রায় বা তার নিম্নের যে কোনো তাপমাত্রায় কোনো গ্যাসে চাপ প্রয়োগ করলে তা তরলে পরিণত হয়, সে নির্দিষ্ট তাপমাত্রাকে ঐ গ্যাসের সন্ধি বা সংকট তাপমাত্রা বলে।

প্রশ্ন-১৬। যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মৌলের সর্বশেষ প্রধান শক্তিস্তরের মোট ইলেকট্রন সংখ্যাকে সেই মৌলের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে।

প্রশ্ন-১৭। স্ফুটনাংক কাকে বলে?
উত্তরঃ যে তাপমাত্রায় কোনাে তরল পদার্থের বাষ্পচাপ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের সমান হয় তাকে স্ফুটনাংক বলে।

প্রশ্ন-১৮। দ্রবণ তাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ এক মোল কোনো বস্তুকে যথেষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে দ্রবীভূত করলে তাপের যে পরিবর্তন হয়, তাকে সে বস্তুর দ্রবণ তাপ বলে।

প্রশ্ন-১৯। টলেন বিকারক এর সংকেত কি?

উত্তরঃ টলেন বিকারক এর সংকেত হল [Ag(NH3)2]NO3

প্রশ্ন-২০। ওয়াশিং মিশ্রণ কি?
উত্তরঃ ওয়াশিং মিশ্রণ হলো গাঢ় H2SO4 ও K
2Cr
2O
7 এর মিশ্রণ যা ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত কাচের যন্ত্রপাতি নিরাপদে পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *