পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১২)
প্রশ্ন-১। তড়িৎ বলরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ তড়িৎ ক্ষেত্রে একটি মুক্ত ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে এটি যে পথে পরিভ্রমণ করে তাকে তড়িৎ বলরেখা বলে।
প্রশ্ন-২। ভরকেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিটি বস্তুর মধ্যে এমন একটি বিন্দু আছে, যার মধ্য দিয়ে বল প্রয়োগ করলে বস্তুটি চলন গতি লাভ করবে। এই বিন্দুটিকেই বস্তুর ভরকেন্দ্র বলে।
প্রশ্ন-৩। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ একটি গতিশীল চুম্বক কিংবা বিদ্যুৎবাহী কুণ্ডলীর প্রভাবে একটি বদ্ধ তার কুণ্ডলীতে ক্ষণস্থায়ী বিদ্যুৎ চালক বল এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ উৎপন্ন হওয়ার পদ্ধতিকে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় আবেশ বা ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন বলে।
প্রশ্ন-৪। স্ক্রু গজ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে তারের ব্যাসার্ধ, সরু চোঙের ব্যাসার্ধ এবং ছোট দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায় তাকে স্ক্রু গজ বলে।
প্রশ্ন-৫। হাসপাতাল এলাকায় গাড়ির হর্ণ বাজানো নিষেধ কেন?
উত্তরঃ হাসপাতাল এলাকায় উচ্চ শব্দে হর্ণ বাজালে রোগীর হার্টে সমস্যা হয়। এছাড়া আরো অনেক অসুবিধা দেখা দেয়। তাই হাসপাতাল এলাকায় হর্ণ বাজানো নিষেধ।
প্রশ্ন-৬। ডাক্তারী থার্মোমিটারকে চরম থার্মোমিটার বলা হয় কেন? এ থার্মোমিটারের কাচনলের ছিদ্রে ভাঁজ থাকে কেন?
উত্তরঃ ডাক্তারী বা ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার শরীরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নির্দেশ করে বলে একে চরম থার্মোমিটার বলে।
শরীরের তাপমাত্রা গ্রহণ করে পারদ উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হয় এবং সংকোচ অতিক্রম করে যায়। শরীর হতে থার্মোমিটার তুলে দেখার সময় যাতে পারদ সংকুচিত হয়ে থার্মোমিটারের বাল্বে নেমে না যেতে পারে সে জন্য ডাক্তারী থার্মোমিটারে ভাঁজ তথা সংকোচ দেয়া হয়।
প্রশ্ন-৭। দ্রুতি ও বেগের একক একই হলেও এরা একই রাশি নয় কেন?
উত্তরঃ দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি। অন্যদিকে, বেগ ভেক্টর রাশি। বেগের মানই দ্রুতি। সময়ের সাথে কোন বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের হারকে দ্রুতি বলে। আবার, সময়ের সাথে কোন বস্তুর সরণের হারকে বেগ বলে। অর্থাৎ, কোন নির্দিষ্ট দিকে দ্রুতিই বেগ। এজন্যই দ্রুতি ও বেগের একক একই হলেও এরা একই রাশি নয়।
প্রশ্ন-৮। মেরুশক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ চুম্বক মেরুর যে ধর্মের জন্য আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল অনুভূত হয়, তাকে মেরুশক্তি বলে।
প্রশ্ন-৯। ক্যাথোড রশ্মি কাকে বলে?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক ক্ষরণ নলে বায়ুর চাপ 10-5m পারদস্তম্ভের সমান হলে বিদ্যুৎ ক্ষরণের জন্য ক্যাথোড তলের অভিলম্বভাবে যে ইলেকট্রন প্রবাহ অতি দ্রুতবেগে অ্যানোডের দিকে ছুটে যায়, তাকে ক্যাথোড রশ্মি বলে।
প্রশ্ন-১০। বিজ্ঞানীগণ পদার্থকে কয়টি ভাগে ভাগ করেছেন ও কী কী?
উত্তরঃ বিজ্ঞানীগণ পদার্থকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। এদের একটি মৌলিক পদার্থ এবং অপরটি হল যৌগিক পদার্থ।
প্রশ্ন-১১। খাঁটি বস্তু কাকে বলে? খাঁটি বস্তুর উদাহরণ
উত্তরঃ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয় রাসায়নিক সংযুক্তি ও ধর্মবিশিষ্ট পদার্থকে খাঁটি বস্তু বলে। যেমন– বিশুদ্ধ সোনা, বিশুদ্ধ পানি প্রত্যেকটিই খাঁটি বস্তু।
প্রশ্ন-১২। আন্তঃআণবিক শক্তি কী?
উত্তরঃ কোণ অণুর অভ্যন্তরীণ শক্তিকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলে। অর্থাৎ বস্তুর অণুসমূহ পরস্পরকে আকর্ষণের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে। তাকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলে।
প্রশ্ন-১৩। পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণ কেন সুষম ত্বরণের উদাহরণ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ আমরা জানি, ভূ-পৃষ্ঠের প্রভাবে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। যেহেতু ভূ-পৃষ্ঠে পৃথিবীর আকর্ষণ সর্বত্র সমান তাই অভিকর্ষজ ত্বরণকে সুষম ত্বরণ বলা যায়।
প্রশ্ন-১৪। প্রেশার কুকারে তাড়াতাড়ি রান্না করা যায় কেন?
উত্তরঃ প্রেশার কুকারে তাড়াতাড়ি রান্না করা যায় কারণ আবদ্ধ পাত্রে তাপের প্রভাবে বায়ুর চাপ বেড়ে যায়, ফলে তাড়াতাড়ি রান্না হয়।
প্রশ্ন-১৫। কঠিন পদার্থের দৈর্ঘ্য প্রসারণ কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ কঠিন পদার্থের দৈর্ঘ্য প্রসারণ পদার্থের দৈর্ঘ্য, ক্ষেত্রফল, আয়তন, পদার্থের উপাদান ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন-১৬। Slide calipers কি?
উত্তরঃ স্লাইড ক্যালিপার্স (Slide calipers) ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য পরিমাপের যন্ত্র। এই যন্ত্রের সাহায্যে এক মিলিমিটারের ভগ্নাংশ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্ন-১৭। পয়সনের অনুপাত কাকে বলে?
উত্তরঃ স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে পার্শ্ব বিকৃতি ও দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এ ধ্রুব সংখ্যাকে পয়সনের অনুপাত বলে। একে σ (সিগমা) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-১৮। মৌলিক রাশি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল রাশি স্বাধীন, অন্য কোনো রাশির উপর নির্ভর করে না তাকে মৌলিক রাশি বলে।
প্রশ্ন-১৯। আলফা রশ্মির ৪টি ধর্ম লিখ।
উত্তরঃ আলফা রশ্মির ৪টি ধর্ম নিচে দেওয়া হলো:
i. এ রশ্মি ধনাত্মক আধানযুক্ত।
ii. এটা তড়িৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিচ্যুত হয়।
iii. ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর এ রশ্মির প্রতিক্রিয়া আছে।
iv. এ রশ্মি প্রতিভা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রশ্ন-২০। কর্মদক্ষতা কী?
উত্তরঃ কোনো যন্ত্রের লভ্য কার্যকর শক্তি ও যন্ত্রের মোট প্রদত্ত শক্তির অনুপাতই হচ্ছে ঐ যন্ত্রের কর্মদক্ষতা।